পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘ
Congregation a Sancta Cruce
সংক্ষেপেসি.এস.সি.
নীতিবাক্য
লাতিন: Ave crux spes unica

জাপানি: আমাদের একমাত্র আশা ক্রুশকে আঁকড়ে ধরুন

গঠিত১ মার্চ ১৮৩৭; ১৮৭ বছর আগে (1837-03-01)
প্রতিষ্ঠাতাবাসিল মরো
ধরনপোপের আওতাধীন খ্রিস্টীয় ধর্মসভা (পুরুষদের জন্য)
উদ্দেশ্যঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান, তাঁর জন্য ভালোবাসা ও সেবার ব্রত প্রতিষ্ঠা এবং ফলশ্রুতিতে আত্মার মুক্তি
সদরদপ্তরভিয়া ফ্রামুরা ৮৫, ০০১৬৮ রোম, ইতালি
সদস্যপদ (২০১৭)
১৪৫৪ জন সদস্য (৭৯৩ জন যাজক)
সুপিরিয়র জেনারেল
ফাদার রবার্ট লুইস এপিং, সিএসসি
ওয়েবসাইটholycrosscongregation.org

পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘ (ইংরেজি: Congregation of Holy Cross বা লাতিন: Congregatio a Sancta Cruce) হল প্রয়াত বাসিল মরো কর্তৃক ১৮৩৭ সালে ফ্রান্সের ল্য মঁসে প্রতিষ্ঠিত রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভুক্ত যাজক ও অযাজক মিশনারিদের একটি ধর্মসভা।[১]

ফাদার মরো বর্তমানে তিনটি স্বতন্ত্র ধর্মসভায় বিভক্ত সিস্টারদের ম্যারিয়ানাইটও প্রতিষ্ঠা করেন - ম্যারিয়ানাইটস অব হলি ক্রস (ল্য মঁস, ফ্রান্স), সিস্টার্স অব হলি ক্রস (নটর ডেম, ইন্ডিয়ানা) এবং সিস্টার্স অব হলিক্রস (মন্ট্রিয়ল, কুইবেক, কানাডা)। [১]

সুপেরিয়র জেনারেল[সম্পাদনা]

  1. ফা. বেসিল মরো, সিএসসি (১৮৩৭–১৮৬৬)
  2. রেভ. পিয়েরে দুফাল, সিএসসি (১৮৬৬–১৮৬৮)
  3. ফা. এডওয়ার্ড সোরিন, সিএসসি (১৮৬৮–১৮৯৩)
  4. ফা. গিলবার্ট ফ্রাঙ্কাইস, সিএসসি (১৮৯৩-১৯২৬)[কখন?]
  5. ফা. জেমস ওয়েসলি ডোনাহু, সিএসসি (১৯৩৬–১৯৩৮)
  6. ফা. অ্যালবার্ট কাজিনো, সিএসসি (১৯৩৮–১৯৫০)
  7. ফা. ক্রিস্টোফার ও'টুল, সিএসসি (১৯৫০–১৯৬২)
  8. ফা. জার্মেইন-মেরি লালান্দে, সিএসসি (১৯৬২–১৯৭৪)
  9. ফা. টম ব্যারোস, সিএসসি (১৯৭৪–১৯৮৬)
  10. ফা. ক্লড গ্রু, সিএসসি (১৯৮৬–১৯৯৮)
  11. ফা. হিউ ক্লিয়ারি, সিএসসি (১৯৯৮-২০১০)
  12. ফা. রিচার্ড ওয়ার্নার, সিএসসি (২০১০-২০১৬)
  13. ফা. রবার্ট এপিং, সিএসসি (২০১৬– বর্তমান)

ধর্মপ্রদেশ, ধর্মজেলা ও ভিকারিয়েত[সম্পাদনা]

অবস্থান[সম্পাদনা]

পবিত্র ক্রুশের যাজক অর্থাৎ ফাদার এবং ব্রাদাররা সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে রয়েছেন। নিম্নোক্ত দেশগুলোতে তাদের ব্যাপক সক্রিয়তা রয়েছে (প্রথম বন্ধনীর মধ্যে দেশসমূহে সংঘ প্রথম যে সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল):

[১]

বাংলাদেশে পবিত্র ক্রুশ সন্ন্যাস সংঘের মিশন[সম্পাদনা]

ভারতের উদ্দেশ্যে হলি ক্রসের প্রথম মিশনারি দলটি ইংল্যান্ড হতে সমুদ্র পথে যাত্রা শুরু করে ১৮৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি। সেই দলে ছিলেন তিনজন ব্রাদার, তিনজন সিস্টার, একজন যাজক ও একজন সেমিনারিয়ান।[টীকা ১] দলটি কলকাতা পৌঁছায় ১৮৫৩ সালের মে মাসে। তারপর ফাদার ভেরিট সিস্টারদের নিয়ে ঢাকায় যান এবং সেমিনারিয়ান ও ব্রাদাররা চলে যান নোয়াখালীতে। শীঘ্রই ফাদার ভেরিট নোয়াখালীর যাজক হিসেবে যোগদান করেন, যে পদের দায়িত্বাধীনে সিলেটআগরতলা এলাকায় মিশনের কার্যক্রমও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ডিসেম্বর ১৮৫৩ তে চট্টগ্রাম মিশনের সদরদপ্তরে পরিণত হয়।

পূর্ব বাংলার মিশনকে সেইসময় বলা হতো প্রশ্নাতীতভাবেই দক্ষিণ এশিয়ার এবং সম্ভবত পুরো বিশ্বের সবচেয়ে নিরবলম্বন মিশন। কারণ এই ভূখণ্ডে বসবাস ও মিশনারি কার্যক্রম পরিচালনা এতটাই কঠিন ও ভয়ংকর ছিল যে, অন্য কোন খ্রিস্টান মিশনারি সংঘ এখানে কাজ করার আগ্রহ পেতো না। যদিও এটাকে পূর্ব বাংলা মিশন বলা হতো, গির্জার আওতাধীন এলাকা এবং পূর্ব বাংলার রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক পরিসীমা পরস্পর থেকে যথেষ্ট পৃথক ছিল। পূর্ব বাংলা রাজনৈতিকভাবে সর্বপ্রথম পৃথক হয় ১৯০৫ সালে, পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের অংশ হিসেবে।

এই ভূখন্ডে রোমান ক্যাথলিক গির্জার আওতাধীন এলাকাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হতো ভিকারিয়েত অব ইস্ট বেঙ্গল, যেটি ১৮৪৫ সালে ভ্যাটিকান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রথম সুপিরিয়র ছিলেন বিশপ থমাস ওলিফ, একজন আইরিশ জেসুইট। এই ভিকারিয়েতের অধীনে ছিল বর্তমানের ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশ, ময়মনসিংহের ধর্মপ্রদেশ ও চট্টগ্রাম ধর্মপ্রদেশের আওতাধীন এলাকা; একইসাথে ভারতের আসাম রাজ্যের বিশাল অংশ ও আগরতলার বিশপের এলাকা এবং আরাকান (বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য)। এটি ছিল বিশাল ভূখণ্ড; কিন্তু পবিত্র ক্রুশ সংঘ যখন ১৮৫৩ সালে আগমন করে, তখন মাত্র তিনজন ক্যাথলিক যাজক সেখানে কাজ করতেন- একজন পর্তুগীজ অগাস্টিনিয়ান এবং দুজন তরুণ আইরিশ যাজক। দুই আইরিশই ১৮৫৪ সালে রোগে ভুগে মারা যান। পূর্ব বাংলায় তখন প্রায় ১৩০০০ রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান ছিল। তবে ঢাকায় রোমের অধীনে কোন গির্জা বা চ্যাপেল ছিল না।[২]

প্রতিষ্ঠানসমূহ[সম্পাদনা]

উচ্চশিক্ষা[সম্পাদনা]

পোর্টল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়

মাধ্যমিক শিক্ষা[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

ব্রাজিল[সম্পাদনা]

কানাডা[সম্পাদনা]

চিলি[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  1. এর পূর্বে ১৮৫২ সালের নভেম্বরে সমুদ্রযাত্রা শুরুর প্রথম চেষ্টা করা হয়, কিন্তু প্রবল জ্বরে দুজন যাজকের মৃত্যু এবং ঝড়ের কারণে সেটি স্থগিত হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "History", Congregation of Holy Cross
  2. "Archived copy"। ২০১১-০৫-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-০৪