সরকারি সংগীত কলেজ, ঢাকা
![]() | |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৬৩ |
ইআইআইএন | ১০৮২৪৯ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২৫ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৮ |
শিক্ষার্থী | ২০০ |
অবস্থান | , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
সংক্ষিপ্ত নাম | সংগীত কলেজ মিউজিক কলেজ জি এম সি |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
সরকারি সংগীত কলেজ বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় অবস্থিত একটি বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই কলেজটি বাংলাদেশে সঙ্গীত বিষয়ে একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান যেখানে ঢাকা বোর্ডের অধীনে 'ইন্টারমেডিয়েট অব মিউজিক' ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সঙ্গীতের ৫ টি বিষয়ে 'স্নাতক'ও 'স্নাতক' (সম্মান) শ্রেণীর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]উপমহাদেশের অন্যতম খ্যাতিমান শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী ও সঙ্গীতজ্ঞ, একুশে ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত পণ্ডিত বারীণ মজুমদারসহ কয়েকজন গুণী মানুষের স্বপ্ন ও কর্মসাধনায় ১৯৬৩ সালের ১০ নভেম্বর ভিত গড়ে উঠেছিল সংগীত কলেজের।[১] পরে এটি বর্তমান আগারগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয়।
ভর্তি
[সম্পাদনা]মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক (আই.মিউজ) এবং স্নাতক (বি.মিউজ) ও স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়, কণ্ঠ পরীক্ষা দিতে হয়, উত্তীর্ণদেরকে স্ব স্ব যোগ্যতার ভিত্তিতে বিষয় বরাদ্দ করা হয়ে থাকে।
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]প্রতিষ্ঠানটিতে এইচএসসি, ডিগ্রি, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতোই পাঠ্যক্রমে পরিচালিত হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সংগীত সম্পর্কিত বিষয়গুলো পড়তে হয় অতিরিক্ত হিসেবে। এর মধ্যে শুধু উচ্চাঙ্গ সংগীত বিষয়টি বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া সংগীতের অন্য তিনটি বিষয়ের (লোক, রবীন্দ্র, নজরুল সংগীত) মধ্য থেকে অতিরিক্ত হিসেবে যে কোনো একটি বিষয় অধ্যয়ন করতে হয় তাদের।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড ঢাকার পাঠ স্বীকৃতক্রমে দুই বছর মেয়াদী উচ্চ মাধ্যমিক আই.মিউজ বা আই.এ। আই.মিউজের আবশ্যিক বিষয় — বাংলা, ইংরেজি ও উচ্চাঙ্গ সংগীত। নৈর্বাচনিক বিষয় — ইতিহাস, অর্থনীতি ও পৌরনীতি। সংগীত বিষয় — লোকসংগীত, নজরুল সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীত। আই.এতে আই.মিউজের আবশ্যিক উচ্চাঙ্গ সংগীত বাদে সব বিষয় আছে। এছাড়া রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তিন বছর মেয়াদী 'ব্যাচেলর অব মিউজিক', চার বছর মেয়াদি 'স্নাতক (সম্মান) এবং দুই বছর মেয়াদী 'মাস্টার্স অব মিউজিক'।
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]সরকার সংগীত কলেজ গ্রন্থাগারে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রায় দশ সহস্রাধিক বই ও সাময়িকী রয়েছে। বিশেষত সংগীত বিষয়ের উপর বিভিন্ন মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ এ পাঠাগারটিকে বিশিষ্টতা দিয়েছে। এছাড়া এটির অডিও সেকশনে বিভিন্ন ধারা ও বিভিন্ন শিল্পীর গানের সিডি রয়েছে।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষক
[সম্পাদনা]প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই কম। এইচএসসি, মাস্টার্স ও ডিগ্রি কোর্সে ১১০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক আছেন ২৫ জন।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ আতাতুর্ক কামাল পাশা (১১ নভেম্বর ২০১৭)। "সরকারি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়"। সমকাল। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।