গাইবান্ধা সরকারি কলেজ
![]() | |
ধরন | সরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ১ জুলাই ১৯৪৭ |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড |
ইআইআইএন | ১২১১৮৪ |
অধ্যক্ষ | খলিলুর রহমান |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৬১ জন |
শিক্ষার্থী | ১৩,৩০২ জন |
স্নাতক | ১০৪৪৩ জন |
স্নাতকোত্তর | ১১৯৯ জন |
অন্যান্য শিক্ষার্থী | ১৬৬০ জন |
ঠিকানা | কলেজ রোড, পশ্চিম গোবিন্দপুর , , ৫৭০০ , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে, ১৩.৩৯ একর (৫.৪২ হেক্টর) |
ভাষা | বাংলা |
সংক্ষিপ্ত নাম | জিজিসি |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
গাইবান্ধা সরকারি কলেজ, গাইবান্ধা বাংলাদেশের গাইবান্ধার একটি সরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি পশ্চিম গোবিন্দপুরের কলেজ রোডে অবস্থিত এবং ১ জুলাই, ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[১] বর্তমানে এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখায় শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়া, স্নাতক (পাস) কোর্স, ১৪টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৪টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু আছে।[২] ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, এখানে মোট ১৩,৩০২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]
১৯৪৭ সালে ১ জুলাই গাইবান্ধা সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। তখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অস্বিনী কুমার চৌধুরী ৭ জন শিক্ষক ও ২৩ জন ছাত্র নিয়ে কলেজটি শুরু করেছিলেন, যেখানে শুধুমাত্র মানবিক শাখা চালু ছিল। প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ফণিভূষণ রায়। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অধ্যক্ষ এন.সি. সেন এবং বাংলাদেশের প্রথম স্পীকার শাহ আব্দুল হামিদ কলেজটির উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। ১৯৮০ সালের ১লা মার্চ কলেজটি জাতীয়করণ হয়,[৪] এবং তখন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ছিলেন গিয়াস উদ্দিন।
বর্তমানে ১৩.৩৯ একর জমির ওপর কলেজটি অবস্থিত, যেখানে বিভিন্ন ভবন সুন্দরভাবে সাজানো আছে। কলেজের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দুটি বড় পুকুর রয়েছে, আর উত্তর প্রান্তে একটি পুরানো টিনশেড ভবন রয়েছে, যা কলেজের ঐতিহ্য বহন করে। ৫০-এর দশকে এই ভবনেই দিবারাত্রি ক্লাস হত।
উপলব্ধ কোর্স
[সম্পাদনা]বর্তমান কলেজে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক (পাশ), স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর কোর্সে শিক্ষা প্রদান করা হয়।[২][১]
- উচ্চ মাধ্যমিক
- বিজ্ঞান
- মানবিক
- বাণিজ্য
- ব্যাচেলর ডিগ্রি (পাস) কোর্স
- বিএ (পাস)
- বিএসএস (পাস)
- বিএসসি (পাস)
- বিবিএস (পাস)
- সিসি
- ব্যাচেলর ডিগ্রি অনার্স কোর্স
- বাংলা
- ইংরেজি
- ইতিহাস
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- দর্শন
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- অ্যাকাউন্টিং
- ব্যবস্থাপনা
- পদার্থবিদ্যা
- রসায়ন
- উদ্ভিদবিদ্যা
- প্রাণীবিদ্যা
- গণিত
- মাস্টার্স ফাইনাল কোর্স
- বাংলা
- ইংরেজি
- ইতিহাস
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- দর্শন
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- অ্যাকাউন্টিং
- ব্যবস্থাপনা
- পদার্থবিদ্যা
- রসায়ন
- উদ্ভিদবিদ্যা
- প্রাণীবিদ্যা
- গণিত
- মাস্টার্স প্রিলিমিনারি কোর্স
- ইতিহাস
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- উদ্ভিদবিদ্যা
শিক্ষার্থী ও আসন
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে ১৬৬০ জন, স্নাতক (পাশ) কোর্সে ১৯১১ জন, স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ৮৫৩২ জন, স্নাতকোত্তর কোর্সে ১১৯৯ জন মিলে মোট ১৩৩০২ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে।[৩]
ফলাফল ও র্যাংকিং
[সম্পাদনা]২০১৮ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ র্যাংকিংয়ে রংপুর অঞ্চলের সেরা দশটি কলেজের মধ্যে একটি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[৫]
২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এইচএসসি পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণ করেছে ১৩১০৯ জন, পাস করেছে ১১৯৭৯ জন, ফেল করেছে ১১৩০ জন, এ+ পেয়েছে ৩০৪০ জন, শতকরা পাস করেছে ৯১.৩৮%, শতকরা এ+ পেয়েছে ২৩.১৯ %।[৬]
২০২৪ সহপাঠী কলেজ র্যাংকিং অনুযায়ী, কলেজটি জাতীয় পর্যায়ে ১০৪ তম, দিনাজপুর বোর্ডে ৬ষ্ঠ, রংপুর বিভাগে ৭ম এবং গাইবান্ধা জেলায় ১ম স্থানে রয়েছে।[৬]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ সাধারণ তথ্য। "গাইবান্ধা সরকারি কলেজ"। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ ক খ "National University :: College Details"। www.nubd.info। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-২৩।
- ↑ ক খ স্তরভিত্তিক শিক্ষার্থী সংখ্যা ২০২৪। "গাইবান্ধা সরকারি কলেজ"। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "At a Glance"। Gaibandha Govt. College (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-২৩।
- ↑ "র্যাংকিংয়ে সেরা ৭৬ কলেজকে পুরস্কৃত করল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়"। thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-১৬।
- ↑ ক খ "gaibandha-govt-college"। সহপাঠী। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]