হিজল
হিজল Barringtonia acutangula | |
---|---|
![]() | |
হয়ান কিয়েম লেকে হিজল গাছ | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Ericales |
পরিবার: | Lecythidaceae |
গণ: | Barringtonia |
প্রজাতি: | B. acutangula |
দ্বিপদী নাম | |
Barringtonia acutangula (L.) Gaertn. |
হিজল (বৈজ্ঞানিক নাম:Barringtonia acutangula) মাঝারি আকারের ডালপালা ছড়ানো দীর্ঘজীবী গাছ। সংস্কৃত নাম নিচুল। এ ছাড়া জলন্ত, নদীক্রান্ত এসব নামেও হিজলগাছ পরিচিত।[১] বাকল ঘনছাই রঙের ও পুরু। হিজলের বিষাক্ত অংশ হলো ফল, যা মারাত্মক বমনকারক।
আদি নিবাস[সম্পাদনা]
হিজল গাছের আদি নিবাস বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া, মালয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া।[১]
আকার[সম্পাদনা]
হিজল মাঝারি ধরনের। ডালপালার বিস্তার চারদিকে। সাধারণত জলজ কাদা, পানিতে এই গাছ জন্মে[২]। বীজ থেকে গাছ হয়। উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ মিটার।[১]
ফুল[সম্পাদনা]
হিজল ফুল ফোটে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে। হিজল ফুল দেখতে খুবই সুন্দর। হালকা গোলাপি রঙের ১০-১২ সেমি লম্বা পুষ্পদণ্ডের মাঝে অসংখ্য ফুল ঝুলন্ত অবস্থায় ফোটে। গভীর রাতে ফুল ফোটে, সকালে ঝরে যায়। ফুলে একধরনের মিষ্টি মাদকতাময় গন্ধ আছে।[১]
ব্যবহার[সম্পাদনা]
হিজলগাছের প্রাণশক্তি প্রবল। বন্যার পানি কিংবা তীব্র খরাতেও টিকে থাকে। এমনকি পানির নিচে কয়েক মাস নিমজ্জিত থাকলেও হিজলগাছ বেঁচে থাকে। তাই হাওর অঞ্চলে এ গাছের ডাল মাছের অভয়ারণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।[১]
গ্যালারি[সম্পাদনা]
in Kolkata, West Bengal, India.
fruits in Kolkata, West Bengal, India.
fruits in Kolkata, West Bengal, India.
flower buds in Kolkata, West Bengal, India.
Tree in Hyderabad, India.
Flowers in Hyderabad, India.
Flowers in Hyderabad, India.
Flower buds in Hyderabad, India.
Flowers in Hyderabad, India.
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ বিলের বুকে হিজলের সারি[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], সুমনকুমার দাশ, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ১৯, ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে, ১৯৮৮; পৃষ্ঠা-৫০, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭