ঢাকা সিটি কলেজ
প্রাক্তন নামসমূহ | ঢাকা নাইট কলেজ |
---|---|
নীতিবাক্য | জাতি নির্মাণ |
ধরন | বেসরকারি |
স্থাপিত | ১৯৫৭ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | |
ইআইআইএন | ১০৭৯৭৫ |
চেয়ারম্যান | সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী |
অধ্যক্ষ | কাজী নেয়ামুল হক |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ২০০ |
শিক্ষার্থী | আনু. ৫০০০ |
ঠিকানা | বাড়ি #৮৮, সড়ক #২, ধানমন্ডি , , , ২৩°৪৪′২৪″ উত্তর ৯০°২২′৫৮″ পূর্ব / ২৩.৭৩৯৯° উত্তর ৯০.৩৮২৭° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ভাষা | ইংরেজি, বাংলা |
পোশাকের রঙ | কালো, ধূসর এবং কার্ডিনাল লাল |
ওয়েবসাইট | www |
ঢাকা সিটি কলেজ ঢাকা শহরের ধানমন্ডির কুদরত-ই-খুদা সড়কে অবস্থিত একটি বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতি বছর উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে ঢাকা বোর্ডের সেরা দশ কলেজের মধ্যে ঢাকা সিটি কলেজ অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রসারে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি অর্জন করেছে আলোকসম্ভব কৃতিত্ব এবং নিজেকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। [১][২] এখানে এইচএসসি, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য পড়া যায়। কলেজটি বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]স্থানীয় শিক্ষাবিদ এবং সমাজকর্মীদের পৃষ্ঠপোষকতায় কলেজটি ১৯৫৭ সালে পাকিস্তান শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন কলেজের কার্যক্রম প্রথমে ওয়েস্ট এন্ড উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং তারপর ঢাকা কলেজে চালানো হয়। তখন এটি "ঢাকা নাইট কলেজ" নামে পরিচিত ছিল। ১৯৭০ সালে, কলেজটি ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ২ নং সড়কের নিজস্ব চত্বরে স্থানান্তরিত হয়।
খান বাহাদুর আবদুর রহমান এবং আতাউর রহমান খান, দুজনেই কলেজ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। কলেজের পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান খানে আলম খান ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালীন একাডেমিক ভবনগুলির উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছিলেন।
অবস্থান
[সম্পাদনা]ঢাকা শহরের নিউমার্কেট মোড় থেকে উত্তর দিকে সাইন্স ল্যাবরেটরী ওভারব্রীজ সংলগ্ন ধানমন্ডি ২নং সড়কের প্রবেশ মুখের সাথেই হাতের ডান পাশে প্রধান সড়কের পাশে এই কলেজটি অবস্থিত।
শিক্ষা ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অন্যতম এই কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজটিতে বিবিএ, বিএসসি, বিএসএস এবং বিএতে অনার্স করার ব্যবস্থা রয়েছে।
বিভাগ
[সম্পাদনা]- বাংলা
- মার্কেটিং
- ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং
- হিসাববিজ্ঞান
- ব্যবস্থাপনা
- ইংরেজি
- বিবিএ (প্রফেশনাল)
- অর্থনীতি
- ব্যবসায় শিক্ষা (উচ্চ মাধ্যমিক)
- বিজ্ঞান (উচ্চ মাধ্যমিক)
- মানবিক (উচ্চ মাধ্যমিক)
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই)
পাঠদানের সময়
[সম্পাদনা]প্রভাতি শাখায় সকাল ৭.৩০টা থেকে এবং দিবা শাখায় দুপুর ১২.৩০টা থেকে ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। প্রভাতি শাখায় ছাত্রী এবং দিবা শাখায় ছাত্র পড়ানো হয়।
কলেজ ভবন
[সম্পাদনা]কলেজ ভবন ৪টি। প্রতিটি ভবন ৬ তলা বিশিষ্ট। কলেজের নিচতলায় পশ্চিম পাশে ৬টি কাউন্টার রয়েছে। কলেজের নিচতলার উত্তর পাশে সিড়ি রয়েছে। ভবনের ৪র্থ তলায় সিএসই ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।এছাড়াও কলেজ ভবনটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং লিফট এর ব্যবস্থাও রয়েছে। কলেজের নিচতলায় রয়েছে বিশাল বড় এক গ্যারেজ।
এক নজরে কলেজ ভবনঃ
- কলেজ ভবন ৪টি, প্রতিটি ভবন ৬ তলা বিশিষ্ট।
- কলেজের নিচতলায় গাড়ি পার্কিংয়ে জায়গা রয়েছে।
- কলেজের নিচতলায় পশ্চিম পাশে ৬টি কাউন্টার রয়েছে, এই কাউন্টারগুলো থেকে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
- কলেজের নিচতলার উত্তর পাশে সিড়ি রয়েছে।
- কলেজের নিচতলার পশ্চিম পাশে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
- ভবনের ৪র্থ তলায় সিএসই ডিপার্টমেন্ট রয়েছে।
- ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে টয়লেটের ব্যবস্থা রয়েছে।
ভর্তির যোগ্যতা
[সম্পাদনা]- একাদশে বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৫.০০
- বাণিজ্য বিভাগের জন্য ৪.৫০
- মানবিক বিভাগের জন্য ৩.৫০
শ্রেণিকক্ষ
[সম্পাদনা]প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ৬০-৭৫ জন ছাত্র-ছাত্রী বসতে পারে। প্রত্যেকটি ক্লাসরুম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত।
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]কলেজটিতে একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। কার্যদিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত গ্রন্থাগারটি খোলা থাকে।
- কলেজটিতে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী রয়েছে।
- লাইব্রেরীতে কোর্স সংশ্লিষ্ট অসংখ্য বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে।
- লাইব্রেরীটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
- ছাত্র-ছাত্রীদের লাইব্রেরী ব্যবহার করতে কার্ড করে নিতে হয় ।
- বাসায় বই নিয়ে যাওয়া যায়।
- নির্দিষ্ট সময়ের পরে বই ফেরৎ দিতে হয়।
- বই হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে জরিমানা প্রদান করতে হয়।
- কার্যদিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইব্রেরীটি খোলা থাকে।
ড্রেস কোড
[সম্পাদনা]উচ্চমাধ্যমিক অধ্যয়নরত ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত পোশাক হচ্ছে সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট এবং কালো অক্সফোর্ড সু। ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক হচ্ছে সাদা সালোয়ার, কামিজ এবং ক্রস ওড়না। বিভিন্ন বিভাগে অনার্সে অধ্যয়নরত ছাত্রীদের পোশাক সাদা সালোয়ার, কামিজ, ওড়না। এছাড়া বিবিএ (প্রফেশনাল) অধ্যয়নরত ছাত্রদের নির্ধারিত পোশাক হচ্ছে একুয়া কালার শার্ট, কালো প্যান্ট, কালো সু এবং ছাত্রীদের সাদা সালোয়ার, কামিজ এবং ওড়না। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ভর্তির একটি নির্দিষ্ট সময় পর আইডিকার্ড দেয়া হয়।
বৃত্তির ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]উচ্চ-মাধ্যমিক, স্নাতক এবং সম্মান কোর্সের ক্ষেত্রে কলেজ পরীক্ষার প্রথম ৩ জন শিক্ষার্থীদের ৫০% টিউশন ফি ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সরকার ঘোষিত অন্যান্য বৃত্তিগুলোও রয়েছে।
সহ-শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষা সফর, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ইত্যাদিতে ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে রয়েছে আটটি ক্লাব। যথাঃ-
- ১.বিজ্ঞান ক্লাব
- ২.ইংলিশ ল্যাংুয়েজ ক্লাব
- ৩.বিজনেস ক্লাব
- ৪.কালচারাল ক্লাব
- ৫.নেচার ক্লাব
- ৬.ফটোগ্রাফি ক্লাব
- ৭.ডিবেট ক্লাব
- ৮.রোবার ক্লাব
উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]- আগুন, গায়ক-গীতিকার এবং বাচসাস পুরস্কার বিজয়ী অভিনেতা।
- বাসবাবা সুমন, কণ্ঠশিল্পী, গিটারবাদক, এবং বাংলাদেশী রক ব্যান্ড অর্থহীন-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
- মাহিয়া মাহি, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- মারিয়া নূর রওশন, টেলিভিশন উপস্থাপক, রেডিও ব্যক্তিত্ব এবং মডেলিংয়ের জন্য বাবিসাস পুরস্কার বিজয়ী।
- নিশাত মজুমদার, এভারেস্ট পর্বত জয় করা প্রথম বাংলাদেশী মহিলা।
- সাঈদ খোকন, রাজনীতিবিদ এবং ঢাকার মেয়র।
- শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
- সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, খ্যাতিমান চক্ষু বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের সদস্য।
- রুবয়েত ইসলাম,প্রিন্সিপাল ডাটা সাইন্টিস্ট,নাসা,আমেরিকা।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ http://www.dhakacitycollege.edu.bd/
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]