কক্সবাজার সরকারি কলেজ
![]() | |
নীতিবাক্য | আঁধার ছেড়ে আলোর পথে |
---|---|
ধরন | সরকারি কলেজ |
স্থাপিত | ১৯৬২ |
ইআইআইএন | ১০৬৩১৭ |
অধ্যক্ষ | প্রফেসর মোহাম্মদ সোলাইমান |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ১০০+ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৭০+ |
শিক্ষার্থী | ১৩,০০০+ |
অবস্থান | মুহুরীপাড়া, ঝিলংজা, কক্সবাজার , ২১°২৫′২৩″ উত্তর ৯২°০১′০৮″ পূর্ব / ২১.৪২৩০৯০° উত্তর ৯২.০১৮৭৮৮° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | গ্রামীণ |
পোশাকের রঙ | কলেজের পোশাক: সাদা শার্ট, কালো প্যান্ট |
সংক্ষিপ্ত নাম | কসক / CGC |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | www |
![]() |
কক্সবাজার সরকারি কলেজ কক্সবাজার জেলার সর্ববৃহত্ এবং সর্বাধিক ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ এবং কক্সবাজারে স্বীকৃত প্রথম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ।
অবস্থান
[সম্পাদনা]কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংঝা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়ায় এই কলেজটি অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কক্সবাজার সরকারি কলেজ ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে স.আ.ম শামসুল হুদা চৌধুরীকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে কক্সবাজার হাই স্কুল ভবনে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ নিয়ে কক্সবাজার সরকারি কলেজের যাত্রা শুরু হয় যা বর্তমানে ১৮.৯২ একর ভূমির উপর অবস্থিত। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ হতে কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান কোর্স চালু হয়। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে কক্সবাজার কলেজে স্নাতক পর্যায়ে কলা ও বাণিজ্য বিভাগ চালু হয় এবং ১৯৭০-৭১ শিক্ষাবর্ষ হতে স্নাতক পর্যায়ে বিএসসি কোর্স চালু হয়। ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ সরকার কক্সবাজার কলেজকে জাতীয়করণ করে এবং তখন হতে এ কলেজ কক্সবাজার সরকারি কলেজ নামে পরিচিত হয়ে আসছে।
বর্তমানে কক্সবাজার সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় বারো হাজার। ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ হতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ক্রমে কলেজে অনার্স কোর্স চালু হয়। বর্তমানে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা ও গণিত-এই ১৩টি বিষয়ে অনার্স এবং ৬টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা কোর্স অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়াও কক্সবাজার সরকারি কলেজে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি এবং বিএ/বিএসএস প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। কলেজে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষসহ মোট শিক্ষকের পদ রয়েছে ৬৬টি। এছাড়াও ৭০ এর অধিক ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী কর্মরত রয়েছে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসি এর ফলাফলে সেরা দশ কলেজের মধ্যে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সম্মানজনক অবস্থান রয়েছে বিগত কয়েক বছর ধরে। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষাসমূহে প্রতিবছরই ছাত্র-ছাত্রী তাদের প্রতিভার উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেই চলেছে।
বর্তমানে কলেজটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজে উন্নীত হয়েছে।
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]কলেজটিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা এবং মানবিক শিক্ষা এই তিন বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিকের পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু আছে।
অনার্সে চালু কোর্সসমূহ:
- বাংলা
- ইংরেজি
- ইতিহাস
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- হিসাববিজ্ঞান
- ব্যবস্থাপনা
- পদার্থবিদ্যা
- রসায়ন
- উদ্ভিদবিদ্যা
- প্রাণিবিদ্যা
- গণিত
মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) ফাইনাল পর্বের চালু কোর্সসমূহ:
- বাংলা
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
- হিসাববিজ্ঞান
- উদ্ভিদবিদ্যা
একাডেমিক ভবন
[সম্পাদনা]- প্রশাসনিক ভবন
- বাণিজ্য ভবন
- স্বাধীনতা ভবন
- সমাজবিজ্ঞান ভবন
- ভৌতবিজ্ঞান ভবন
- উদ্ভিদবিদ্যা ভবন
- একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা হল
এছাড়া সম্প্রসারিত নতুন বিজ্ঞান ভবন, ২৪০ আসন বিশিষ্ট ২টি ছাত্রী হোস্টেল, অধ্যক্ষ নিবাস, পুকুর সংলগ্ন মসজিদ নিয়ে এখানে মোট ১১টি ভবন রয়েছে।
সুযোগ সুবিধা
[সম্পাদনা]কক্সবাজার সরকারি কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ৩টি সুদৃশ্য কম্পিউটার ল্যাব এবং ১১টি মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম রয়েছে। এছাড়া একটি বিদেশি ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (FLTC) রয়েছে। জেলা পরিষদের সার্বিক সহযোগিতায় নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন ফি জমাদানের জন্য কলেজ ক্যাম্পাসে বেসিক ব্যাংকের একটি কালেকশন বুথ রয়েছে। ইউএনএইচসিআর প্রদত্ত ১টি বাস এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত ২টি বাসসহ মোট ৩টি কলেজ বাস রয়েছে। এছাড়াও কলেজে একটি বিশাল খেলার মাঠ আছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- কলেজের ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |