ইসলামিয়া সরকারি কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসলামিয়া সরকারি কলেজ
ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত১৯২১ (1921)
অধ্যক্ষড.এস.ইউ.এম.এ. রাজ্জাক
শিক্ষার্থী৫০০০+
অবস্থান,
বাংলাদেশ
মানচিত্র

ইসলামিয়া সরকারি কলেজ বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি সিরাজগঞ্জ সদরে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি সিরাজগঞ্জ জেলার সবচেয়ে পুরনো কলেজ। কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।[১][২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯২১ সালে কওমী মাদ্রাসা হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ইসলামিয়া ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (আইএ কলেজ) হিসেবে এর নামকরণ করা হয়। ১৯৮৪ সালে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে বর্তমান ইসলামিয়া সরকারি কলেজ নামকরণ করা হয়।[৩]

দেশের উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার যমুনা বিধৌত এবং চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহী জনপদ। তাঁত সমুদ্ধ এ জেলায় রবীন্দ্র স্মৃতি বিজরিত কাচারি বাড়িসহ বেশ কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এবং এখানে জন্মেছেন মাওলানা ভাসানী, রজনীকান্ত সেন, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী, শহীদ এম মনসুর আলী, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, এ‌কে ইফাজউ‌দ্দিন (‌টেংলাহাটা), ডাঃ এম এ মতিন, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোঃ নাসিম, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, প্রকৌশলী তানভীর শা‌কিল জয় সহ আরো অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব। এদের পূণ্য ভূমি হিসেবে খ্যাত সিরাজগঞ্জ শিক্ষা, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও রাজনীতির ক্ষেত্রে দেশব্যাপি আজ অবধী অবদান রেখে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জ শহরের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী প্রয়াত মওলানা কোরবান আলীর উদ্যোগে এবং স্থানীয় জনগনের অকৃপণ সাহায্য-সহযোগিতায় আজকের এই কলেজটি ১৮৮৯ খ্রিঃ একটি সিনিয়র মাদ্রাসা নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯২১ সালে এটি (আইএ কলেজ) ইসলামিয়া ইন্টারমিডিয়েট কলেজে রূপান্তরিত হয়। ১৯৭২ সালে কলেজটি ‘ইসলামিয়া কলেজ’ নামে পরিচিতি পায়। প্রয়াত উপ-প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ এম এ মতিন এর সহযোগিতায় এবং সাবেক অধ্যক্ষ সর্বজন শ্রদ্ধেয় মোঃ দীন আমীন সাহেব ও তার সহকর্মীদের প্রানপণ প্রচেষ্টায় ১৯৮৪ খ্রিঃ কলেজটি সরকারীকরণ হয়। বর্তমানে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রী (পাস) এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, বাংলা ও ব্যবস্থাপনা বিষয় সমূহে অনার্স কোর্স চালু আছে। বর্তমানে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীর প্রায় ৫ সহশ্রাধিক বাউবি-এর অধীনে উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রী (পাস) কোর্সে পড়ালেখা করছে প্রায় ৭০০ (সাতশত) শিক্ষার্থী। বর্তমানে ৩৩ জন দক্ষ ও মেধাবী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক মানুষ গড়ার এক মহান ব্রত নিয়ে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন শহরের সবচেয়ে প্রাচীন এই কলেজটিতে

শিক্ষাক্রম[সম্পাদনা]

ইসলামিয়া সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজটিতে বিবিএ, বিএসসি অনার্স কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে।

বিভাগ[সম্পাদনা]
  • ইংরেজি
  • বাংলা
  • হিসাব বিজ্ঞান
  • ব্যাবস্থপনা
  • সমাজকর্ম
  • ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
  • দর্শন
  • অর্থনীতি
  • ইতিহাস

অবকাঠামো[সম্পাদনা]

কলেজটির কলা ভবনের ২য় তলায় একটি ছোট গ্রন্থাগার রয়েছে। কলেজ প্রাঙ্গণে একটি বিশাল মাঠ রয়েছে যা বছরের বেশির ভাগ সময় পানিতে ডুবে থাকে। এছাড়াও এখানে একটি মসজিদ রয়েছে। যা সিরাজগঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের সাথে অবস্থিত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সিরাজগঞ্জে কলেজের মাঠ দখল করে প্রভাবশালীদের মাছ চাষ"Daily Inqilab (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২০ 
  2. "Sirajganj News"Sirajganj News 24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-২০ 
  3. "ইসলামিয়া সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ সদর, সিরাজগঞ্জ"sirajganj.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০১-০৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]