ভোলা সরকারি কলেজ
ভোলা সরকারি কলেজ | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | |
![]() | |
যুগিরঘোল, ভোলা- চরফ্যশন সড়ক সংলগ্ন | |
স্থানাঙ্ক | ২২°৪০′১৪″ উত্তর ৯০°৩৯′২৩″ পূর্ব / ২২.৬৭০৪৮৮° উত্তর ৯০.৬৫৬২৫৯° পূর্ব |
তথ্য | |
ধরন | সরকারী |
নীতিবাক্য | হে প্রভু জ্ঞান দাও |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৬২ |
বিদ্যালয় জেলা | ভোলা |
অধ্যক্ষ | মোঃ মহিউদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত) [১] |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ৬৩২৪ |
ভাষা | বাংলা |
শিক্ষায়তন | ১৫.৬ একর |
ক্যাম্পাসের ধরন | শহর |
ক্রীড়া | ফুটবল, ক্রিকেট, হকি |
শিক্ষা বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল |
অন্তর্ভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
যোগাযোগ নং | ০৪৯১-৬১৮২২,৬১২৯৯ |
ওয়েবসাইট | www |
ভোলা সরকারি কলেজ ভোলা শহরের যুগিরঘোল, ভোলা- চরফ্যাসন সড়ক সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভোলা সরকারি কলেজ বরিশাল বিভাগ এর নামকরা কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং জেলার প্রধান কলেজ। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ভোলা জেলার প্রাচীনতম এবং দক্ষিণ বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। ১৯৭৯ সালে জাতীয়করণকৃত এই প্রতিষ্ঠানটি "জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০" এর আলোকে মানসম্মত আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার নিরন্তন প্রচেষ্টা চালিয়ে এই দ্বীপ জেলায় জ্ঞান এর আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ কলেজে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। কলেজটি নয়নাভিরাম ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘেরা। এই কলেজ বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।[২][৩][৪] জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শ্রেষ্ঠ কলেজগুলোর মধ্যে ভোলা সরকারী কলেজ প্রথম সারিতে অবস্থান করছে। প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে আসছে। শিক্ষকদের তত্বাবধায়ন ও নিবিড় পরিচর্যার ফলে কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট এবং মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। দেশ-বিদেশে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা সুনাম কুড়িয়ে যাচ্ছে এবং ভালো অবস্থানে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে।
প্রতিষ্ঠার পটভূমি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব আব্দুল আজীজ এবং কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তির উদ্যোগে ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে একাদশ বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ নিয়ে বেসরকারি রুপে ভোলা কলেজ যাত্রা শুরু করে। ১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ডিগ্রি (পাস) কোর্স চালু হয়। ১৯৭৯ সালের ৭ই মে কলেজটিকে জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৬২ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পর্যায়ের ক্লাসসমূহ অনুষ্ঠিত হত। বর্তমান আব্দুর রব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অতঃপর ভোলার বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের অক্লান্ত ও নিরলস প্রচেষ্টায় কলেজের নাম এ ক্রয়কৃত জমিতে টিনের ঘর নির্মাণ করে কলেজটির কার্যক্রম পুরোমাত্রায় চালু হয়। ১৯৬৬-৬৭ খ্রিষ্টাব্দে পাকা ভবনের নির্মাণ কাজ চালু হয় এবং পরবর্তী সময় পাকা ভবনটি বিভিন্ন রুপ সংস্কার হয়ে বর্তমান রূপ লাভ করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]একাডেমিক ভবনঃ ছয়টি একাডেমিক ভবন রয়েছে, সবচেয়ে পুরাতন ভবনটিতে দর্শন বিভাগ,প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগ,উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ,রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ,ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ,গণিত বিভাগ এবং বিজ্ঞান ভবনে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ,রসায়ন বিভাগ,শহীদ নাঈম ভবনে অর্থনীতি বিভাগ,ইতিহাস বিভাগ,ইসলাম শিক্ষা বিভাগ, মাঠের দক্ষিণ পাশের ভবনে ব্যবস্থাপনা বিভাগ,হিসাববিজ্ঞান বিভাগ এবং ছায়াবীথির সামনে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ,বাংলা বিভাগ,সমাজ কর্ম বিভাগ এবং প্রশাসনিক ভবনের পাশের ভবনটিতে ইংরেজি বিভাগ রয়েছে।
[সম্পাদনা]ছাত্র ছাত্রীদের আবাসন
[সম্পাদনা]কলেজে 'শাহবাজখান ছাত্রাবাস' ও 'কবি নজরুল ইসলাম ছাত্রাবাস' নামে দুইটি ছাত্রাবাস আছে। এছাড়াও ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ২টি ছাত্রাবাস নির্মাণাধীন রয়েছে। আবাসন ও ছাত্রাবাস কমিটির তত্ত্বাবধানে ছাত্রাবাসগুলো পরিচালিত হয়। এছাড়াও ছাত্রদের জন্য ২০ শয্যা বিশিষ্ট ডরমেটরী রয়েছে, ছাত্রীদের জন্য একটি ৫ তলা ছাত্রীনিবাস রয়েছে ।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মাঠ
[সম্পাদনা]কলেজের অভ্যন্তরেই বিশাল আকৃতির ঐতিহাসিক কলেজ মাঠ অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]ভোলা সরকারি কলেজ এর গ্রন্থাগার বরিশাল বিভাগের প্রাচীনতম গ্রন্থাগার এর মধ্যে একটি। কলেজে একটি কেন্দ্রীয় ও ১৬টি বিভাগীয় সেমিনার গ্রন্থাগার রয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ১৫৭১৮টি এবং বিভাগীয় সেমিনার গ্রন্থাগার গুলোতে প্রায় ২০,০০০ বই রয়েছে। এছাড়াও ছাত্র ছাত্রীদের জন্য কলেজ গ্রন্থাগারে দৈনিক, সাপ্তাহিক,পাক্ষিক এবং মাসিক পত্রপত্রিকার ব্যবস্থা রয়েছে।"পাঠচক্র" নামে একটি সংগঠন রয়েছে, যে সংগঠনটি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত বই নিয়ে আলোচনা করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অনুষদ ও বিভাগসমূহ
[সম্পাদনা]
- বাংলা বিভাগ
- ইংরেজি বিভাগ
- দর্শন বিভাগ
- ইতিহাস বিভাগ
- অর্থনীতি বিভাগ
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ
- সমাজকর্ম বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ
- প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
- হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ
- ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
- মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ
- ইসলামী শিক্ষা বিভাগ
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
অন্যান্য অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাসমূহ
[সম্পাদনা]
- কলেজে ১টি মসজিদ রয়েছে।
- ছাত্র ও ছাত্রীদের পৃথক মিলনায়তন রয়েছে।
- কলেজে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ([বিএনসিসি]) সেনা শাখায় যোগদান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
- রোভার স্কাউট ও যুব রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম চালু আছে। আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
- বাঁধন (স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন), ভোলা সরকারি কলেজ ইউনিট, বরিশাল জোন।
- নিজস্ব সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে।
- ক্যান্টিন
- পাঠচক্র সংগঠন
- শহীদ মিনার
- বিজ্ঞানাগার
- এথিকস ক্লাব(দর্শন বিভাগ)
- বিতর্ক ক্লাব
- বোটানিকাল গার্ডেন
- বিজ্ঞান ক্লাব
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আরও ১২ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ"। ৮ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "ভোলা সরকারি কলেজ - Barisalpedia"। www.barisalpedia.net.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Welcome To Bhola Govt. College"। Bhola Govt College। ২০১৯-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
- ↑ "এবারও জেলায় ভোলা সরকারি কলেজ সেরা"। দৈনিক যুগান্তর। ২০১৯-০৮-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
- ভোলা সরকারি কলেজ - অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।