বাংলাদেশ স্কাউটস
বাংলাদেশ স্কাউটস | |||
---|---|---|---|
![]() | |||
প্রধান অফিস | ৬০, অঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোড, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ | ||
অবস্থান | ২৩°৪৪′১৫.৪০″ উত্তর ৯০°২৪′৩৮.৫০″ পূর্ব / ২৩.৭৩৭৬১১১° উত্তর ৯০.৪১০৬৯৪৪° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪′১৫.৪০″ উত্তর ৯০°২৪′৩৮.৫০″ পূর্ব / ২৩.৭৩৭৬১১১° উত্তর ৯০.৪১০৬৯৪৪° পূর্ব | ||
দেশ | বাংলাদেশ | ||
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৭২ | ||
Defunct | সরকারি | ||
সদস্য | ১৪,৭৪,৪৬০ | ||
প্রধান স্কাউট | আব্দুল হামিদ | ||
প্ৰধান জাতীয় কমিশনার | মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খাঁন | ||
অন্তর্ভুক্তি | বিশ্ব স্কাউট সংস্থা | ||
| |||
ওয়েবসাইট বাংলাদেশ স্কাউটস | |||
বাংলাদেশ স্কাউটস হলো বাংলাদেশের জাতীয় স্কাউট সংগঠন। এই অঞ্চলে স্কাউটিং কর্মকান্ড শুরু ১৯১৪ সালে তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের ব্রিটিশ ভারতীয় শাখার অংশ হিসাবে। পরে পাকিস্তান বয় স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এখানে স্কাউটিংয়ের কার্যক্রম চলে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্কাউট এসোসিয়েশন নামে জাতীয় পর্যায়ে স্কাউটিংয়ের সংগঠন গড়ে উঠে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক স্কাউট আন্দোলনের সদস্য হয়। পরে ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ স্কাউট এসোসিয়েশনের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস। ২০১৫ সালের হিসাবে বাংলাদেশে মোট স্কাউটের সংখ্যা ১,৪৭৪,৪৬০ জন।[১]
পরিচ্ছেদসমূহ
ইতিহাস[সম্পাদনা]
আধুনিক বাংলাদেশে স্কাউটিং আন্দোলন শুরু হয় স্কাউট এসোসিয়েশনের ব্রিটিশ ভারতীয় শাখার অংশ হিসেবে। ভারত বিভাগের পরে পাকিস্তান বয় স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত এখানে স্কাউটিংয়ের কার্যক্রম চলে।
১৯৫৮ সালে পাকিস্তান বয় স্কাউটের দ্বিতীয় জাতীয় জাম্বুরী ৪০০০ স্কাউট সদস্য নিয়ে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান বয় স্কাউটের পঞ্চম জাতীয় জাম্বুরীতে মৌচাকে অবস্থিত পূর্ব পাকিস্তান বয় স্কাউট এর নতুন ট্রেনিং সেন্টারের মাঠ ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ বয় স্কাউট অ্র্যাসোসিয়েশন করা হয়।[২] ১৯৭২ সালের ৮-৯ এপ্রিল সারাদেশের স্কাউট নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি। ঐ বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে উক্ত সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে।[৩] এর আগে প্রবীণ স্কাউটার সলিমুল্লাহ ফাহমীর নেতৃত্বে ২২মে ১৯৪৮ সালে ঢাকায় গঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল স্কাউট এসোসিয়েশন।[৪]
বিশ্ব স্কাউট সংস্থা (WOSM) ১৯৭৪ সালের ১ জুন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতিকে ১০৫ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[৪] তবে ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল সভায় পুনরায় এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস।[৫] মেয়েদের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্যে জাতীয় কাউন্সিল ১৯৯৪ সালের ২৪ মার্চ একাদশ সভায় বিশ্ব স্কাউট সংস্থার অনুমোদনক্রমে গার্ল-ইন-স্কাউটিং চালু করে বাংলাদেশে।[৩][৪]
কার্যাবলি[সম্পাদনা]
এক নজরে বাংলাদেশ স্কাউটস[সম্পাদনা]
[৬] best
স্কাউট ধাপসমূহ[সম্পাদনা]
কাব স্কাউট
স্কাউট[সম্পাদনা]
রোভার স্কাউট[সম্পাদনা]
পারদর্শিতা ব্যাজ[সম্পাদনা]
স্কাউটদের পারদর্শিতার বিষয় বিবেচনা করে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার পারদর্শিতা ব্যাজ প্রদান করা হয়ে থাকে।এর মাধ্যমে একজন স্কাউট কতটুকু পারদর্শী তা বোঝা যায়।
==স্কাউট অঞ্চলসমূহ==মোট 13 টি অঞ্চল -
- ঢাকা অঞ্চল *রাজশাহী অঞ্চল *চট্টগ্রাম অঞ্চল *সিলেট অঞ্চল *খুলনা অঞ্চল *বরিশাল অঞ্চল *কুমিল্লা অঞ্চল *দিনাজপুর অঞ্চল *ময়মনসিংহ অঞ্চল *রেলওয়ে অঞ্চল
- নৌ অঞ্চল
- এয়ার অঞ্চল
- রোভার অঞ্চল
স্কাউটদের প্রার্থনা সংগীত[সম্পাদনা]
বাদশা তুমি দ্বীন ও দুনিয়ার হে পরওয়ার দেগার....
সেজদা লওহে হাজার বার আমার, হে পরওয়ার দেগার...
চাঁদ সুরুজ আর গ্রহ তারা, জ্বীন ইনসান আর ফেরেস্তারা দিন ও রজনী গাহিছে তারা....
মহিমা তোমার হে পরওয়ার দেগার...
তোমার নূরের রওশনি পরশি উজ্জ্বল হয় যে রবি ও শশি..রংগিন হয়ে ওঠে বিকশি... ফুল সে বাগিচার... হে পরওয়ার দেগার।।
বিশ্ব ভুবনে যা কিছু আছে... তোমার কাছে করুনা যাচে..তোমার মাঝে মরে ও বাচে.... জীবনও সবার.. হে পরওয়ার দেগার।।
বাদশা তুমি দ্বীন ও দুনিয়ার... হে পরওয়ার দেগার।।।
আইন ও মূলমন্ত্ৰ[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ স্কাউট আন্দোলন প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত।
- কাব স্কাউটস - ৬ থেকে ১১ বছর।
- স্কাউটস - ১১ থেকে ১৭ বছর।
- রোভার স্কাউটস - ১৭ থেকে ২৫ বছর।
তবে রেলওয়ে, নৌ এবং এয়ার অঞ্চলের চাকরিজীবিদের জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে।[৩]
স্কাউট আইন[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের স্কাউটদের এর ৭টি আইন মেনে চলতে হয়, এগুলো হলো -
- স্কাউট আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী,
- স্কাউট সকলের বন্ধু,
- স্কাউট বিনয়ী ও অনুগত,
- স্কাউট জীবের প্রতি সদয়,
- স্কাউট সদা প্রফুল্ল,
- স্কাউট মিতব্যয়ী,
- স্কাউট চিন্তা, কথা ও কাজে নির্মল।
মূলমন্ত্র[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ স্কাউটসের মূলমন্ত্র :
- কাব স্কাউটের মূলমন্ত্র: যথাসাধ্য চেষ্টা করা
- স্কাউটের মূলমন্ত্র: সদা প্রস্তুত
- রোভার স্কাউটের মূলমন্ত্র: সেবা
স্কাউট প্রতিজ্ঞা[সম্পাদনা]
আমি আমার আত্নমর্যাদার উপর নির্ভর করে প্রতিজ্ঞা করছি যে,
- স্রষ্টা ও আমার দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে
- সর্বদা অপরকে সাহায্য করতে
- স্কাউট আইন মেনে চলতে
আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
মুলনীতিসমূহ[সম্পাদনা]
স্কাউটিং এর মূলনীতি তিনটি -
১. স্রষ্টার প্রতি কর্তব্য পালন (Duty to God)
২. অপরের প্রতি কর্তব্য পালন (Duty to Others)
৩. নিজের প্রতি কর্তব্য পালন (Duty to Self)
ইউনিফর্ম[সম্পাদনা]
যে কেউ স্কাউট আন্দোলনের শপথ নিলেই তাকে স্কাউট ইউনিফর্ম পরিধান করতে হয়। ইউনিফর্ম গণতন্ত্ৰের চিহ্ন এবং একাত্ববোধের পরিচয় বহন করে। কাব স্কাউটস, স্কাউটস, রোভার স্কাউটস এবং প্ৰশিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্ৰ ইউনিফর্ম রয়েছে। ছেলেদের জন্য ছাঁই রংয়ের শার্ট এবং গাঢ় নেভি ব্লু রংয়ের ট্ৰাউজার; মেয়েদের জন্য ছাঁই রংয়ের জামা, গাঢ় নেভি ব্লু ট্ৰাউজার এবং ওড়না। মহিলা প্ৰশিক্ষক ছাঁই রংয়ের শাড়ি এবং গাঢ় নেভি ব্লু ব্লাউজ পরিধান করে থাকেন। প্ৰত্যেক স্কাউটকে কালো সু, নেভি ব্লু ক্যাপ এবং স্বতন্ত্ৰ স্কার্ফ পরিধান করতে হয়। সকল স্কাউট এর দলীয় স্কার্ফ পরিধান বাধ্যতামূলক।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্র[সম্পাদনা]
জাতীয় স্কাউট প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ (NSTC) গাজীপুরের মৌচাকে অবস্থিত। এখানে ২০০৭সালের নভেম্বর মাসে স্কাউট জাদুঘর প্ৰতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০টি আঞ্চলিক স্কাউট প্ৰশিক্ষণ কেন্দ্ৰ রয়েছে। এগুলো হলোঃ
নাম | স্থান | ছবি |
---|---|---|
বাহাদুরপুর (রোভার স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র), | গাজীপুর | ![]() |
মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ | ||
কাপ্তাই, রাঙামাটি | ||
দশমাইল, দিনাজপুর | ||
সিলেট আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।, | লক্ষণাবন্দ, সিলেট। | ![]() |
রুপাতলি, বরিশাল | ||
লালমাই, কুমিল্লা | ||
পুলেরহাট, খুলনা | ||
নওদাপুর, রাজশাহী | ||
নওদাপাড়া, বগুড়া |
জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি[সম্পাদনা]
নাম | তারিখ | স্থান |
---|---|---|
১ম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি | ২১–২৯ জানুয়ারি ১৯৭৮ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
২য় জাতীয় স্কাউট ও ৫ম APR জাম্বুরি | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৮০ – ৬ জানুয়ারি ১৯৮১ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
৩য় জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি | ২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৫ – ৪ জানুয়ারি ১৯৮৬ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
৪র্থ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি | ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৯ – ৩ জানুয়ারি ১৯৯০ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
৫ম জাতীয় স্কাউট ও ১৪তম APR জাম্বুরি | ৫–১২ জানুয়ারি ১৯৯৪ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
৬ষ্ঠ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি | ৫–১১ ফেব্ৰুয়ারি ১৯৯৯ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
৭ম জাতীয় স্কাউট ও ৪র্থ সার্ক (SAARC) জাম্বুরি | ৫–১২ জানুয়ারি ২০০৪ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
৮ম জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি | ১৪–২২ জানুয়ারি ২০১০ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
৯ম জাতীয় স্কাউট ও ১ম SAANSO (South Asian Association of National Scout Organization) স্কাউট জাম্বুরি | ২০১৪ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
১ম জাতীয় কমিউনিটি বেইজড স্কাউট ক্যাম্প | ২০১৫ | NSTC, মৌচাক, গাজীপুর |
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Triennal review: Census as at 1 December 2010" (PDF)। বিশ্ব স্কাউট সংস্থা। ৩১ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-১৩।
- ↑ Keith Larson। "Bangladesh Boy Scout Mail"। Scouts on Stamps Society International। ২৩ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "বাংলাদেশ স্কাউটস"। বাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৩১, ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "History of Bangladesh Scouts"। Pakistan Philatelic Net Club। ৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৫।
- ↑ "বাংলাদেশে স্কাউটিং"। দৈনিক আমার দেশ। ৪ জুলাই ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্ৰিল, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ বাংলাদেশ স্কাউটস সদস্য স্তর বই
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- আইন,প্রতিজ্ঞাওমটো -বাংলাদেশ স্কাউটস
- বাংলাদেশ স্কাউটস - বাংলাপিডিয়া
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে বাংলাদেশ স্কাউটস সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |