দৈনিক ইত্তেফাক
![]() | |
ধরন | দৈনিক |
---|---|
ফরম্যাট | সংবাদ পত্রিকা ও অনলাইন সংস্করণ |
মালিক | ইত্তেফাক গ্রুপ অব পাবলিকেশন্স লিমিটেড |
প্রতিষ্ঠাতা | মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং ইয়ার মোহাম্মদ খান |
প্রকাশক | মহিবুল আহসান শাওন |
সম্পাদক | তাসমিমা হোসেন[১] |
প্রতিষ্ঠাকাল | ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৩ |
ভাষা | বাংলা, ইংরেজি (শুধুমাত্র অনলাইন) |
সদরদপ্তর | ৪০, কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২০৫ বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | অফিসিয়াল ওয়েবসাইট |

দৈনিক ইত্তেফাক বাংলাদেশের প্রাচীনতম দৈনিকগুলোর একটি। ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫৩ সালে[২] দৈনিক ইত্তেফাক সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়, তখন এটি ছিলো সাপ্তাহিক। এটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়ে থাকে। ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া[৩]। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী এ পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তাসমিমা হোসেন।
পরিচ্ছেদসমূহ
নিয়মিত আয়োজন[সম্পাদনা]
দৈনিক ইত্তেফাকের নিয়মিত আয়োজনে আছে-
- প্রথম পাতা
- শেষ পাতা
- অন্যান্য খবর
- সম্পাদকীয়
- দৃষ্টিকোণ
- চিঠিপত্র
- বিশ্ব সংবাদ
- রাজধানীর আশেপাশে
- অনুশীলন (শিক্ষাবিষয়ক পাতা)
- খেলার খবর
- ইত্তেফাক সাময়িকী (সাহিত্য ও শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক)
- আইটি কর্ণার
- তথ্যপ্রযুক্তি
- শেয়ার বাজার
- রাশিফল
- অর্থনীতি
- বন্দর নগরী
- স্বাস্থ্য পরিচর্যা
- তরুণকন্ঠ
- মহিলা অঙ্গন
- ক্যাম্পাস
- কচি-কাঁচার আসর
- ধর্মচিন্তা
- কড়চা
- আনন্দ বিনোদন
- এই ঢাকা।[৪]
মালিকানার হাতবদল[সম্পাদনা]
ইত্তেফাক এর প্রকাশনা শুরু হয় ১৯৫৩ সনের ২৪ ডিসেম্বর হতে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও ইয়ার মোহাম্মাদ খান এর হাত ধরে। ইয়ার মোহাম্মাদ খান হলেন এর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক। তবে তাঁরা দুজনেই সক্রিয় রাজনীতি ও পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে ব্যস্ত থাকায়, তাঁরা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিঞাকে সম্পাদক নিয়োগ করেন। ১৯৫৪ এর সাধারণ নির্বাচন ও যুক্তফ্রন্টের জয়ে ইত্তেফাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আইয়ুব খান হতে ইয়াহিয়া খান পর্যন্ত সকল সামরিক শাসনের বিরোধিতা করে। ফলে, আইয়ুব খান ১৯৬৬ সনের ১৭ জুন হতে ১১ জুলাই এবং এরপর ১৯৬৬ সনের ১৭ জুলাই হতে ১৯৬৯ সনের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এর প্রচারনা বন্ধ রাখেন। মানিক মিঞাকেও কয়েকবার জেলে যেতে হয়।[৫]
মানিক মিঞা ১৯৬৯ সনের ১ জুন মারা যান এবং তাঁর দুই ছেলে মইনুল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হাতে নেন। পাকিস্তান আর্মি ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ ইত্তেফাকের অফিস পুড়িয়ে ফেলে এবং পুনরায় এর প্রকাশনা (পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে) শুরু হতে ঐ বছরের ২১ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। [৬] বাংলাদেশের স্বাধিনতার পর ১৯৭৫ সনের ১৭ জুন ইত্তেফাকের জাতীয়করণ হয়, নুরুল ইসলাম পাটোয়ারি প্রধান সম্পাদক হন এবং ঢাকার ১ রামকৃষ্ণ মিশনস্থ নিউ নেশন প্রেস হতে প্রকাশিত হতে থাকে।
মানিক মিঞার ছেলেদেরকে ১৯৭৫ সনের ২৪ অগাস্ট মালিকানা ফিরিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য মানিক মিঞার দুই মেয়ে ১২ শতাংশ মালিকানা পান যদিও ২ ছেলেই তা ব্যবস্থাপনা করে আসছিলেন। দুই ভাই দীর্ঘস্থায়ী বিবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং তাঁরা দুজনে পালাক্রমে এই প্রভাবশালী পত্রিকা পরিচালনা করেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে কয়েক দফা বন্ধও হয়েছিল ইত্তেফাক। ২০০৭-২০০৮ সনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জরুরি অবস্থা চলাকালে পুরো নিয়ন্ত্রণ নেন ওই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা মইনুল হোসেন। ২০১০ সনের ২ মে বিকেলে ঢাকার শেরাটন হোটেলে দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তি সই হয় এবং ছোট ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও দুই মেয়ে (ও তাঁদের সন্তানেরা) মালিকানা গ্রহণ করেন। বিনিময়ে বড় ছেলে মইনুল হোসেন ১০ কোটি টাকা ও ইত্তেফাক ভবনের পুরা মালিকানা পান।[৫]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "ইত্তেফাকের প্রথম নারী সম্পাদক তাসমিমা হোসেন"। দৈনিক যুগান্তর। ৫ জুলাই ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৯।
- ↑ লশকর বাউজী, সাপ্তাহিক লিখনী। "মানিক মিয়া ও দৈনিক ইত্তেফাক"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, দৈনিক ইত্তেফাক (০১ জুন ২০১৪)। "মানিক মিয়া : অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস"। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- ↑ ক খ বাংলাপিডিয়া। "ইত্তেফাক, দৈনিক"।
- ↑ দৈনিক ইনকিলাব। "দৈনিক ইত্তেফাক"।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে দৈনিক ইত্তেফাক সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |