সিরাজুল ইসলাম (নোয়াখালীর রাজনীতিবিদ)
সিরাজুল ইসলাম | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৫ |
অন্তর্ধান | ৩০ আগস্ট ২০১৯ |
অবস্থা | রাষ্ট্রীয় মর্যাদা |
মৃত্যু | ২৯ আগস্ট ২০১৯ | (বয়স ৮৩–৮৪)
সমাধি | লরেন্স গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান |
মাতৃশিক্ষায়তন | কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ |
পেশা | সাংবাদিকতা রাজনীতিবিদ |
কর্মজীবন | ১৯৫৪-২০১৯ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
পিতা-মাতা |
|
সিরাজুল ইসলাম (১৯৩৫ - ২৯ আগস্ট ২০১৯) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও সংসদ সদস্য। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লীগের প্রার্থী হয়ে নোয়াখালী-১৩ (হাতিয়া-রামগতি) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নোয়াখালী-১৩ কে বিবর্তন করে বর্তমানে নোয়াখালী-৬ ও লক্ষ্মীপুর-৪ গঠন করা হয়েছে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি একই সংসদীয় এলাকা থেকে পাকিস্তান জাতীয় গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদান ছিলো। [১][২]
জন্ম ও শিক্ষা জীবন
[সম্পাদনা]সিরাজুল ইসলাম, ১৯৩৫ সালে বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আলহাজ্ব আমিন উদ্দিন পাটোয়ারী এবং মাতা সরাফাতুন্নেছা। ১৯৫১ সালে রামগতি বিবিকে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্টিকুলেশন, ১৯৫৪ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন [৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সিরাজুল ইসলাম ১৯৫৪ সাল থেকে দৈনিক ইত্তেফাকের নোয়াখালী সংবাদদাতা হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলি দেখার জন্য করাচি যান। সেখানে তার সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম পরিচয় হয় এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। তিনি নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বৃহত্তর রামগতি থানা (বর্তমান রামগতি-কমলনগর) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তার বাড়িতে যান। সিরাজুল ইসলাম ২৫ মার্চ কালো রাতে বাড়িতে ছিলেন। এলাকায় থাকা নিরাপদ নয় ভেবে তিনি বেগমগঞ্জ হয়ে ভারতে চলে যান আগরতলা যুব প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর ভারত থেকে মাইজদী হয়ে রামগতি পৌঁছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে যুদ্ধে অংশ নেন।[৩]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]সিরাজুল ২৯ আগস্ট ২০১৯ সালে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ৩০ আগস্ট ২০১৯ সালে তার জন্মস্থান গ্রাম চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে দাফন করা হয়। [১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৩০ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "সাবেক সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম আর নেই"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯।