মুক্তাগাছার মন্ডা
![]() মুক্তাগাছার মন্ডা | |
অন্যান্য নাম | মন্ডা |
---|---|
প্রকার | মিষ্টি |
উৎপত্তিস্থল | বাংলাদেশ |
অঞ্চল বা রাষ্ট্র | ময়মনসিংহ |
প্রস্তুতকারী | রাম গোপাল পাল |
প্রধান উপকরণ | ছানা, চিনি, গুড় |
ভিন্নতা | গুড়ের মন্ডা |
মুক্তাগাছার মন্ডা হল প্রকার মিষ্টি যা প্রধান উপাদান হিসাবে দুধ, চিনি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। প্রস্তুতিতে বেশ কয়েকটি অতিরিক্ত উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় প্রথম ১৮২৪ সালে এই মিষ্টির প্রচলন হয়।[১] এটির প্রস্তুতপ্রণালী মণ্ডার আবিষ্কারক গোপাল পালের বংশধরদের দ্বারা প্রকাশ করা হয়নি।[২][৩][৪]মন্ডাকে ২০২৪ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকার দ্বারা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[৫][৬]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]
১২৩১ বঙ্গাব্দে (১৮২৪ খ্রিঃ) রাম গোপাল পাল স্বপ্নে মিষ্টি তৈরির রেসিপি পান।[৭] তিনি এই মিষ্টি তৈরি করে মুক্তাগাছার বড় জমিদারদের একজন মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর নিকট পেশ করেন। বর্তমানে গোপাল পাল পরিবারের পঞ্চম বংশধর শ্রী রামেন্দ্রনাথ পাল ভ্রাতৃদ্বয় এই মিষ্টির ব্যবসা পরিচালনা করেন। রামেন্দ্রনাথ বলেন, জমিদার বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক এবং আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। সেখানে আগত অতিথিদের মন্ডা দিয়েই আপ্যায়ন করা হতো।[৮] তবে শেরপুরেও মন্ডা উৎপাদিত হয়।[৯]
অতিথি আপ্যায়ন
[সম্পাদনা]উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধানচন্দ্র রায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ ব্যাক্তিদেরকে মুক্তাগাছার জমিদার বাড়িতে আপ্যায়ন করা হয়েছে এই মণ্ডা দিয়ে। রাশিয়ার জোসেফ স্তালিনকে মণ্ডা পাঠালে তিনি মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করেন এবং পাকিস্তানের আইয়ুব খান একে “পূর্ব পাকিস্তানকা মেওয়া“ বলতেন। আবদুল হামিদ খান ভাসানী মণ্ডার স্বাদে বিমুগ্ধ হয়ে তিনি চীনের মাও ৎসে-তুং এর জন্যও নিয়ে গিয়েছিলেন। মাও ৎসে-তুং এর স্বাদের প্রশংসা করেন।[১০]
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী, দ্বিতীয় এলিজাবেথ কেও আপ্যায়ন করা হয়েছে মণ্ডা দিয়ে।[১০]
জিয়াউর রহমান, কাদের সিদ্দিকী ও কামাল হোসেন এর প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল মণ্ডা।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "মুক্তাগাছার মন্ডা"। দৈনিক ইনকিলাব। ১৪ জুন ২০২৩। ২৬ মে ২০২৪ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Sweetmeat Monda: A rich tradition"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৭-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-১৯।
- ↑ "Six sweetmeats which branding Bangladesh"। daily-sun.com। দ্য ডেইলি সান। ২০১৭-০৮-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৮-১৯।
- ↑ "মুক্তাগাছার মণ্ডা: আসল কোনটা?"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯।
- ↑ "মুক্তাগাছার মণ্ডার জিআই পণ্য স্বীকৃতি, সর্বমহলে সন্তুষ্টি"। দৈনিক যুগান্তর। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "জিআই হিসেবে অনুমোদন পেল যে ৪ পণ্য"। ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪।
- ↑ "'স্বপ্নে পাওয়া' রেসিপিতে দুই'শ বছর ধরে মিষ্টিপ্রেমীদের পছন্দের শীর্ষে মুক্তাগাছার মন্ডা"। ঢাকা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২২।
- ↑ "মুক্তাগাছার মণ্ডা: আসল কোনটা?"। প্রথম আলো। ১০ জুলাই ২০১৭। ১৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "শেরপুরের মণ্ডা দেশজুড়ে"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। জানুয়ারি ২৮, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৩০, ২০২১।
- ↑ ক খ গ "ব্যবসা বাণিজ্য"। ময়মনসিংহ উপজেলা। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০২০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |