খন্ডলের মিষ্টি
অন্যান্য নাম | খন্ডলের রসগোল্লা[১] |
---|---|
ধরন | নাস্তা |
প্রকার | মিষ্টান্ন |
উৎপত্তিস্থল | খন্ডল, ফেনী, বাংলাদেশ |
অঞ্চল বা রাজ্য | ফেনী জেলা |
সংশ্লিষ্ট জাতীয় রন্ধনশৈলী | বাংলাদেশ |
প্রস্তুতকারী | যোগল চন্দ্র দাস |
পরিবেশন | গরম অথবা ঠান্ডা |
প্রধান উপকরণ | ছানা, চিনির সিরাপ |
অনুরূপ খাদ্য | রসগোল্লা |
খন্ডলের মিষ্টি বাংলাদেশের ফেনী জেলার খন্ডল নামক স্থানে উৎপন্ন একটি মিষ্টি যা ফেনী অঞ্চলে বিখ্যাত এবং খুবই জনপ্রিয়।[২] এটি মূলত রসগোল্লার একটি ভিন্ন সংস্করণ।[১] এ মিষ্টিটির বিশেষত্ব হল বাংলাদেশের অন্যান্য সব মিষ্টি ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় খাওয়া হলেও খন্ডলের মিষ্টি ঠান্ডা খাওয়ার পাশাপাশি গরম গরমও খাওয়া হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রায় গত ৫০ বছর ধরে ঐতিহ্য ধরে রেখে তৈরি হচ্ছে পরশুরামের খন্ডলের মিষ্টি। অতীত ঘেঁটে জানা যায়, স্বাধীনতার পরপরই স্থানীয় কবির আহাম্মদ পাটোয়ারী বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের খন্ডল হাইস্কুলের পাশে ছোট একটি মিষ্টির দোকান দেন। ওই দোকানে কারিগর হিসেবে কাজ নেন কুমিল্লার যোগল চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি। অল্পদিনের মধ্যেই তার তৈরি সুস্বাদু মিষ্টির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। একসময় এলাকার নামেই তা পরিচিত হয়ে ওঠে খন্ডলের মিষ্টি নামে।
উপকরণ
[সম্পাদনা]প্রস্তুত প্রণালী
[সম্পাদনা]খন্ডলের মিষ্টি তৈরিতে গরুর খাঁটি দুধ যা থেকে ছানা তৈরি করা হয়, সামান্য ময়দা ও চিনি ব্যবহার করা হয়। মিষ্টির সঙ্গে অন্য কোনো রাসায়নিক উপাদান মেশানো হয় না। দুধের সঙ্গে সামান্য ময়দা ব্যবহার করা হয় ছানাকে গাঢ় করার জন্য। প্রথমে দুধ ও ময়দার মিশ্রণ থেকে ছানা তৈরি করা হয়। এরপর ছানা থেকে তৈরি করা হয় মন্ড, মন্ড থেকে হয় গোলাকার মিষ্টি। এরপর সে মিষ্টি তেলে ভেজে তা চিনি দিয়ে তৈরি সিরাপে ডুবিয়ে রাখা হয়।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "খন্ডলের রসগোল্লা"। ৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৪।
- ↑ "ফেনীর ঐতিহ্যবাহী খন্ডলের মিষ্টি অপূর্ব সৃষ্টি"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৪।
- ↑ "ফেনীর ঐতিহ্যবাহী খন্ডলের মিষ্টি অপূর্ব সৃষ্টি-তৈরির প্রক্রিয়া"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-০৪।