শামী কাবাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শামী কাবাব
উৎপত্তিস্থলদক্ষিণ এশিয়া
অঞ্চল বা রাজ্যদক্ষিণ এশিয়া
সংশ্লিষ্ট জাতীয় রন্ধনশৈলীভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান
প্রধান উপকরণমাংস অথবা মাছ এবং মসলা

শামী কাবাব হল কাবাবের একটি স্থানীয় প্রকার, যা দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্থানীয় রান্না। এটি ভারতীয় উপমহাদেশ তথা দক্ষিণ এশীয় রান্নার অংশ এবং আধুনিক ভারতীয়, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশী খাবারগুলির মধ্যে একটি জনপ্রিয় খাবার।

এটি মাংসের কিমা (সাধারণত গরুর মাংস বেশি ব্যবহার করা হয়) ছোট ছোট পেটি করে তৈরি, তবে মাঝে মাঝে মেষশাবক বা মাটন, ছোলা বাটা, ডিম এবং মশলা একসাথে দেওয়া হয়। শামী কাবাব নাস্তা বা ক্ষুধা নিবারক হিসাবে খাওয়া হয়। শামী কাবাব বিশেষত ঢাকা, দাক্ষিণাত্য, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, উত্তর প্রদেশ এবং সিন্ধু অঞ্চলে অতিথিদের জন্য পরিবেশন করা হয়।

শামী কাবাব পুরো দক্ষিণ এশিয়া উপমহাদেশের একটি জনপ্রিয় বিকালের নাস্তা। এটি প্রায়শই লেবুর রস দিয়ে সাজানো হয় এবং সাইড সালাদ হিসাবে কাটা কাঁচা পেঁয়াজের সাথে পরিবেশন করা হয় এবং পুদিনা বা ধনিয়া দিয়ে তৈরি চাটনি দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি ঈদ উদযাপনের সময় শের খুরমার সাথে পরিবেশন করা হয়।

তৈরি[সম্পাদনা]

শামী কাবাব তৈরির জন্য প্রথমে মাংস (গরুর মাংস বা খাসি বা ভেড়ার মাংস), বুটের ডাল (ছানা ডাল), গরম মসলা (গরম মশলা, কাঁচামরিচ, দারচিনি, লবঙ্গ, তেজপাতা), হলুদ, সামান্য লবণ স্বাদ মতো ও পানি দিয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করতে হয়। মাংস সেদ্ধ হলে গেলে তা শিলপাটা বেটে বা কিমা মেশিনে কিমা করে নিতে হয়। এরপর পেঁয়াজ কুচি, মরিচ গুঁড়ো, ডিম, কাটা সবুজ ধনিয়া, কাটা সবুজ মরিচ এবং কাটা পুদিনা পাতা মাংসের সাথে ভাল ভাবে মেখে নিয়ে গোল গোল চ্যাপ্টা টিকিয়ার মতো তৈরি করে নিতে হয়।[১] গরম মশলার জায়গায় গরম মসলা গুঁড়ো (গ্রাউন্ড মশলা) ব্যবহার করা যেতে পারে। এরপর এগুলো কড়াই বা প্যানে তেল দিয়ে লালচে করে ভেজে নিলেন শামী কাবাব তৈরি হয়ে গেল।

বর্তমানে উপমহাদেশের নিরামিষ ও আমিষ ভোজীরা শামী কাবাব তৈরির বিভিন্ন নতুন পদ্ধতি ও রেসিপি উদ্ভাবন করেছে। রাধুনীর নিজের ইচ্ছা মত শামী কাবারের রেসিপি সাজানো যেতে পারে।

পরিবেশন[সম্পাদনা]

শামি কাবাবগুলিতে কেচপ (এক ধরনের টমেটোর চাটনি), গরম সস, মরিচ রসুনের সস, রাইতা বা চাটনি সহ রোটির সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে। কাবাবগুলি পরিবেশন করার আগে এগুলি পেটানো ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে লালচে করে ভাজা হয়। এগুলি হায়দরাবাদে সাধারণ ভাত বা চাপাতি দিয়ে খাওয়া হয়। বাংলাদেশে বিকেলের নাস্তা হিসেবে বেশি পরিবেশিত হয়।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ঘরেই তৈরি করুন শামী কাবাব"দৈনিক যুগান্তর। সালমা ইসলাম। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুলাই ২০১৯