গুড়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গুড়
Jaggery, bd.jpg
বাংলাদেশে তৈরি খেজুরের গুড় যা শুধুমাত্র শীত মৌসুমে পাওয়া যায়
উৎপত্তিস্থলবাংলাদেশ, ভারত
অঞ্চল বা রাজ্যদক্ষিণ এশিয়া
প্রধান উপকরণআখের রস , খেজুরের রস , তালের রস

গুড় আখ কিংবা খেজুরের রস হতে তৈরি করা এক প্রকারের মিষ্টদ্রব্য। তালের রস হতেও গুড় তৈরি করা হয়। আখ, খেজুর এবং তাল গাছের রস ঘন করে পাক দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। গুড় প্রধানত ৩ প্রকার; ঝোলাগুড়, পাটালিগুড়, চিটাগুড়।

প্রস্তুত প্রণালী[সম্পাদনা]

আখের রস জ্বাল দেওয়া হচ্ছে
আখের রস আগুনে জ্বাল দিয়ে, রস ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে।
আখের রসে জ্বাল দেওয়া হচ্ছে

প্রথমে আখের বা খেজুরের রস একটি বড় খোলা পাত্রে ছেঁকে রাখা হয়। পরে সময় নিয়ে, বড় একটি চুলায় তা জ্বাল দিতে হয়, এতে জলীয় অংশ বাষ্প হয়ে যায়। ধীরে ধীরে রসের রং লালচে হতে শুরু করে এবং টেনে আসে। এরপর এই উত্তপ্ত রস শীতল করা হয়, অবশেষে গুড় পাওয়া যাবে। এ রসকে গুড় না বানিয়ে চিনিও বানানো যায়। গুড় চিনির থেকে কম মিষ্টি হলেও বেশি পুষ্টিকর। চিনির জন্য দুবার ফোটালে ঘন কালচে একটু তিতকুটে ভেলি গুড় (second molasses) পড়ে থাকে। আরো বেশি বার চিনি বের করে নিলে থাকে চিটে গুড় (Blackstrap molasses), যার মধ্য প্রচুর ভিটামিন থাকলেও তেতো বলে সাধারণত গরুকে খাওয়ানো হয়।

বিভিন্ন রকম গুড়[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের একটি দোকানে বিক্রির জন্যে রাখা পাটালি গুড়
  1. ঝোলা গুড়
  2. ভেলি গুড়
  3. চিটে গুড়
  4. নলেন গুড় (খেজুর গুড়)
  5. পাটালী গুড় (জমাট বাঁধা)
  6. হাজারী গুড় (সাদা খেজুর গুড়)

পরিবেশন প্রণালী[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে গুড় দিয়ে পিঠা, পায়েস ইত্যাদি সুস্বাদু নাস্তা তৈরি করা হয়। গুড়ের সন্দেশ এদেশে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মিষ্টান্ন

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]