আবু সাঈদ চৌধুরী
আবু সাঈদ চৌধুরী | |
|---|---|
| দ্বিতীয় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি | |
| কাজের মেয়াদ জানুয়ারি ১২, ১৯৭২ – ডিসেম্বর ২৪, ১৯৭৩ | |
| প্রধানমন্ত্রী | শেখ মুজিবুর রহমান |
| পূর্বসূরী | শেখ মুজিবুর রহমান |
| উত্তরসূরী | মোহাম্মদউল্লাহ |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ৩১ জানুয়ারি ১৯২১ টাঙ্গাইল জেলা, বাংলা, ব্রিটিশ রাজ |
| মৃত্যু | আগস্ট ২, ১৯৮৭ (বয়স ৬৬) লন্ডন, যুক্তরাজ্য |
| জাতীয়তা | বাঙালি |
| রাজনৈতিক দল | আওয়ামী লীগ |
আবু সাঈদ চৌধুরী (৩১ জানুয়ারি ১৯২১ - ২ আগস্ট ১৯৮৭) বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।[১] এছাড়া, এর পূর্বে তিনি বিভিন্ন সময় ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এর দায়িত্ব ও পালন করেছেন।[২]
জন্ম এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]আবু সাঈদ চৌধুরীর ১৯২১ সালের ৩১শে জানুয়ারী টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি গ্রামের এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[২] জমিদার পরিবার ছাড়াও, তার পিতা আবদুল হামিদ চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার ছিলেন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য তাকে খান বাহাদুর উপাধি প্রদান করেছিল।
তিনি টাঙ্গাইল এর বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ১৯৪০ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে তিনি লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করেন।[২]
পেশাজীবন
[সম্পাদনা]আবু সাঈদ ১৯৪৭ সালে কলকাতা হাই কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন। দেশভাগের পরে ১৯৪৮ সালে ঢাকা হাই কোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।[২] ১৯৬০ সালে আবু সাঈদ চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তানের অ্যাডভোকেট জেনারেল নিযুক্ত হন। ১৯৬১ সালের ৭ জুলাই তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান তাকে অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করেন এবং দুই বছর পরে ঢাকা হাই কোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পান। তিনি পাকিস্তানের সাংবিধানিক কমিশনের সদস্য (১৯৬০-৬১) এবং বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (১৯৬৩-৬৮) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আবু সাঈদ ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।[২] একাত্তরের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অধিবেশনে যোগদানের জন্য জেনেভা যান। সেখানে জেনেভার একটি পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ছাত্রের মৃত্যু সংবাদ দেখে বিচলিত হয়ে ২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক শিক্ষা সচিবকে পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে প্রেরিত এক পত্রে লেখেন, “আমার নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর পর আমার ভাইস চ্যান্সেলর থাকার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম”।[৩] মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে জেনেভা থেকে তিনি লন্ডন যান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট হন। একাজে তিনি বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন।[৪]

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
[সম্পাদনা]স্বাধীনতার পরে আবু সাঈদ বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালের ১০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন।[২] একই বছর তিনি পদত্যাগ করেন এবং একজন মন্ত্রীর পদমর্যাদায় বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ সালের ৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় তিনি বন্দর ও নৌপরিবহন মন্ত্রী ছিলেন। ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫ সালে মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পরে তিনি মোশতাক আহমেদ মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী হন এবং একই বছরের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।[২]
জাতিসংঘ কমিটি
[সম্পাদনা]আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যের অবসান এবং তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। [২] ১৯৮৫ সালে তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।[১] বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’ ডিগ্রি প্রদান করে।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৮৭ সালের ২ আগস্ট লন্ডনে হৃদেরাগের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগবাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 "Death anniversary of Abu Sayeed Chowdhury today"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৭।
- 1 2 3 4 5 6 7 8 এনামুল হক (২০১২)। "চৌধুরী, বিচারপতি আবু সাঈদ"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর (সম্পাদকগণ)। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন ৯৮৪৩২০৫৯০১। ওসিএলসি 883871743। ওএল 30677644M।
- ↑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর- রফিকুল ইসলাম; পৃষ্টা: ২০০
- ↑ "Archived copy"। ৭ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১২।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: শিরোনাম হিসাবে আর্কাইভকৃত অনুলিপি (লিঙ্ক) - ↑ Ap (৩ আগস্ট ১৯৮৭)। "Abu Sayeed Chowdhury, 66; Was President of Bangladesh"। The New York Times। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৬।
| রাজনৈতিক দপ্তর | ||
|---|---|---|
| পূর্বসূরী শেখ মুজিবুর রহমান |
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জানুয়ারি ১২, ১৯৭২ - ডিসেম্বর ২৪, ১৯৭৩ |
উত্তরসূরী মোহাম্মদ মোহাম্মাদুল্লাহ |
| এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
- উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: শিরোনাম হিসাবে আর্কাইভকৃত অনুলিপি
- ১৯২১-এ জন্ম
- ১৯৮৭-এ মৃত্যু
- বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
- বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো
- টাঙ্গাইল জেলার রাজনীতিবিদ
- মোশতাক আহমেদের মন্ত্রিসভার সদস্য
- কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- শেখ মুজিবুর রহমানের চতুর্থ মন্ত্রিসভার সদস্য
- বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- টাঙ্গাইল জেলার ব্যক্তি
- প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতার প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ
- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী