ঘোল
ঘোল বা মাঠা হচ্ছে ছানার জল যা বিভিন্ন দেশে একটি উপাদেয় পানীয় হিসেবে পরিচিত। দুধ হতে ছানা অপরাসরণের পর অবশিষ্ঠাংশই ঘোল নামে পরিচিত। এতে দুধের কেজিন প্রোটিন ভিন্ন আর সকল উপাদানই বিদ্যমান। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের সলপ ইউনিয়নে তৈরি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু ঘোল ও মাঠা সারা বাংলাদেশে বিখ্যাত। এতে কেজিন ছাড়া আর সকল উপাদানই বিদ্যমান। এটি মূলত পনির উৎপাদনের একটি প্রধান উপজাত।
উৎপাদন
[সম্পাদনা]দুধে খাদ্য উপযোগী অম্ল জাতীয় পদার্থ যেমন লেবুর রস প্রভৃতি যোগ করলেই দুধের কেজিন প্রোটিন জমাট বেঁধে যায়। জমাট বাঁধা অংশটুকুই ছানা হিসেবে পনির তৈরির জন্য অপসারণ করা হয়। অবশিষ্ট তরল পদার্থই ঘোল। প্রাকৃতিক ভাবে দুধ রেখে দিলে এতে ল্যাকটিক এসিড উৎপাদনকারী ব্যাক্টেরিয়া সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এই জাতীয় ব্যাক্টেরিয়া দুধের শর্করা ব্যবহার করে ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে যা দুধের অম্লত বাড়িয়ে দেয় (pH কমায়)দেয়। অম্লীয় মাধ্যমে দুধের কেজিন প্রোটিন জমাট বাধে। রয়ে যাওয়া তরল অংশই ঘোল।
পুষ্টিগুণ
[সম্পাদনা]পনির উৎপাদনের একটি উপজাত হলেও ঘোলে দুধের কেজিন ভিন্ন আর সকল উপাদানই বিদ্যমান। বিধায় এর পুষ্টিগুন অপরিসীম। তাছাড়া এটি পনিরের তুলনায় সস্তা। এছাড়াও শরীরের মেদ কমাতেও এটি সাহায্য করে। প্রতিদিন ঘোল (মাঠা) পানে শরীরের অতিরিক্ত মেদ হ্রাস পায়। এতে দুধের প্রোটিন থাকে না বলে যাদের দুধ পানে সমস্যা হয় তারা ঘোল পানে দুধের অন্যান্য প্রয়োজনিয় উপাদান পেতে পারেন।
অন্যান্য ব্যবহার
[সম্পাদনা]শুধু খাদ্য ছাড়াও ঘোলের আরও ভিন্ন ব্যবহার রয়েছে। ঘোলে দুধের শর্করা থাকে ফলে এটি ভিনেগার উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এটি আমাদের শরীরের জন্যে খুবই উপকারি। এটি খেলে আমরা প্রয়োজনীয় শক্তি পাব।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |