লালমাই চন্ডী মন্দির
লালমাই চন্ডী মন্দির বা চন্ডীমূড়া মন্দির বাংলাদেশের কুমিল্লা শহরের লালমাই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত একটি প্রাচীন হিন্দু মন্দির।[১]মন্দিরটি কালী দেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত। নিকটবর্তী স্থানে মহেশ্বর শিবের উদ্দেশ্যে নিবেদিত একটি মন্দির রয়েছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]দেবী চন্ডী যখন শম্ভ নিশম্ভ নামক দুই অসুরের সাথে যুদ্ধ করছিলেন তখন বেশ কিছু অসুর জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গায় পালিয়ে আসে। দেবী তখন এখানে অসুরদের বধ করেন। দেবীর দেহতাপের ফলে পাহাড়ের মাটির রঙ লাল হয়। ফলে এই পাহাড়ের নাম লালমাই পাহাড় হয়।
হনুমান যখন গন্ধমাদন পর্বতকে তার জায়গায় ফেরত রাখতে যাচ্ছিলেন । তখন কুমিল্লার কাছে লমলম সাগরের উপর দিয়ে যেতে যেতে সাগরের রূপ দেখে তিনি আনমনা হয়ে গেলে পর্বতের একটি ক্ষুদ্র অংশ লালমাই পাহাড়ের জায়গায় এসে পড়ে। ফলে লালমাই পাহাড়ের সৃষ্টি হয়। পাহাড়ের নিচে লমলম নদী আছে।একে লমলম সাগর বলা হয় । [২]
মহারাজা দেবখড়গ তার রাণী প্রভাবতীর ইচ্ছাতে এই মন্দির ও একটি শিব মন্দির তৈরি করেন। তিনি নিজে বৌদ্ধ ও তার রাণী হিন্দু ছিলেন। নিজে বৌদ্ধ হয়েও তিনি মা চন্ডীর উপাসনা করতেন। এরপর সময়ের সাথে সাথে মন্দির দুটি হারিয়ে যায়। ত্রিপুরার যুবরাজ চম্পক রায় দেওয়ানের ভগ্নি দ্বিতীয়া দেবী এই মন্দিরের পুনঃনির্মাণ করেন । তিনি পাহড়ের দক্ষিণ-পূর্বে একটি দিঘী খনন করেন। যার নাম দূতিয়ার দীঘি । মুক্তিযুদ্ধের পরে ১৯৭২ সালে মন্দিরের সেবায়েত শ্রীমৎ আত্মানন্দ গিরি মহারাজ স্বপ্নে মন্দির দুটির কথা জানতে পারেন। তিনি মন্দির দুটিকে উদ্ধার করে সংস্কার করেন।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "সদর দক্ষিণ উপজেলা"। sadarsouth.comilla.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০।
- ↑ "লালমাই-ময়নামতির মহাতীর্থ চন্ডীমুড়া"। Risingbd Online Bangla News Portal (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০।
- ↑ "মহাতীর্থ চন্ডীমুড়া সেবাশ্রম - মন্দির দর্শন"। mandirdarshanbd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩০।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |