হিন্দুধর্মে ঈশ্বর এবং লিঙ্গ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হিন্দুধর্মে ঈশ্বরের লিঙ্গ কখনো কখনো একটি পুরুষ দেবতা হিসেবে কল্পণা করা হয়, যেমন কৃষ্ণ (বামে), বা নারী দেবী, যেমন লক্ষ্মী (মাঝে), বা উভলিঙ্গ যেমন অর্ধনারীশ্বর (শিব-পুরুষ ও পার্বতীর-নারী যৌগিক), অথবা নিরাকার এবং অলিঙ্গিক ব্রহ্ম (বৈশিক পরম সত্ত্বা ও একত্ব হিসেবে)

হিন্দুধর্মে ঈশ্বর ও লিঙ্গের ধারণাবিন্যাসের বৈচিত্র্যময় পন্থা বিদ্যমান। অনেক হিন্দু ধর্মাবলবম্বী অলিঙ্গিক, নৈর্ব্যক্তিক, পরম সত্ত্বা ব্রহ্মায় বিশ্বাস করেন। অন্যান্য হিন্দু ঐতিহ্যে ঈশ্বরকে উভলিঙ্গ (উভয় নারী এবং পুরুষ) কিংবা শুধু পুরুষ বা নারী হিসেবে কল্পনা করা হয়, যেখানে লিঙ্গ উপাসকগণ লিঙ্গযুক্ত ঈশ্বরের ধারণা অস্বীকার করেন না।[১][২]

শাক্তধর্মে ঈশ্বরকে নারী রূপে ধারণা করা হয়। ভক্তি ঐতিহ্যে পুরুষ এবং নারী উভয় দেবতা বিদ্যমান। প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ভারতীয় পুরাণে হিন্দু দেবসভায় প্রতিটি পুরুষ দেব একেকজন নারী দেবীর সঙ্গে যুগলাবদ্ধ অবস্থায় থাকেন।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বেদে ব্যাপকভাবে পুরুষ এবং নারী সত্ত্বার কথা উল্লেখ রয়েছে। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দে রচিত ঋগ্বেদের প্রারম্ভিক মন্ডলগুলোয় ঈশ্বরকে উভলিঙ্গ বলা হয়েছে। ঋগ্বেদের বিশ মন্ডলের মধ্যে ষষ্ঠ, সপ্তম ও দশম মন্ডলে ভোরের দেবী ঊষার প্রশংসা করা হয়েছে এবং দেবী ঊষাকে সর্বাজ্ঞে পূজা করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।[৪]

ঊষার স্তুতি:
হে স্বর্গদুহিতে! আহলাদকর জ্যোতির সাথে প্রকাশিত হও, দিনে দিনে আমাদের প্রভূত সৌভাগ্য এনে দাও এবং অন্ধকার দূর কর।
হে নেত্রী ঊষা! সমস্ত প্রাণীর চেষ্টিত ও জীবন তোমাতেই আছে, কেন না তুমি অন্ধকার দূর কর। হে বিভাবরি! তুমি বৃহৎ রথে এস; হে বিচিত্র ধনযুক্তে! আমাদের আহ্বান শ্রবণ কর।
হে ঊষা! মনুষ্যের যে বিচিত্র অন্ন আছে তা তুমি গ্রহণ কর; এবং যে যজ্ঞনির্বাহকেরা তোমাকে স্তুতি, করে সে শুভকর্মাদের হিংসারহিত যজ্ঞে আনয়ন কর।
হে ঊষা! তুমি অন্তরীক্ষ হতে সকল দেবগণকে সোমপানাথে আনয়ন কর। হে ঊষা! তুমি আমাদের অশ্বগোযুক্ত এবং প্রশংসনীয় ও বীর্যসম্পন্ন অন্ন প্রদান কর।

— ঋগ্বেদ, ০১।০৪৮

প্রাচীন বৈদিক সাহিত্যে ঊষা ব্যতীত পৃথিবী, অদিতি (দেবতাদের মাতা, প্রাচুর্য), সরস্বতী (নদী, পুষ্টি), বাক (শব্দ, কথা), এবং নৃতির (মৃত্যু, ধ্বংস) কথা উল্লেখ রয়েছে। একইভাবে বেদে ইন্দ্র (বৃষ্টি, বাজ), অগ্নি (আগুন), বরুণ (সূর্য, আইন), সাবিত্রী (সূর্য), সোম (পানীয়) প্রভৃতি পুরুষ দেবতাদের স্পষ্টরূপে চিত্রায়িত করা হয়েছে। ঋগ্বেদে ইন্দ্র এবং অগ্নি এই দুই দেবতা সবচেয়ে বেশি উল্লিখিত হন এবং এরা উভয়ে পুরুষ। সূর্য তৃতীয় শ্রদ্ধেয় দেবতা এবং ইনিও পুরুষরূপে উল্লিখিত। সকল দেব-দেবীর প্রার্থনা প্রতীকী আগুন (অগ্নি যজ্ঞ) দ্বারা সংগঠিত হয়। মন্ত্র দ্বারা অগ্নির শক্তি প্রার্থনা করা হয়। দেবতা ইন্দ্র আগুনের শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং দেবতা সূর্য আগুনের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ম্যাক্স মুলার বলেন, ঋগ্বেদে দেবদেবীর মধ্যে কেউ উচ্চতর বা নিকৃষ্টতর নন। যখন মন্ত্রশক্তির মধ্যে পার্থক্য দেখা দেয়, তখন প্রায় সবাই সর্বোচ্চ এবং পরম হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন।

গ্রস উল্লেখ করেন, প্রাচীন ও মধ্যযুগের হিন্দু সাহিত্য ব্যাপকভাবে দেবতা, দেবী ও ঈশ্বরের উভলিঙ্গিক রূপ উপস্থাপন করে। এর ফলে একাধিক একেশ্বরবাদী ধর্মের মধ্যে বৈপরীত্য দেখা দেয়, যেখানে ঈশ্বর প্রায়ই "পুরুষের" সমার্থক এবং ঈশ্বরবাদ পুরুষবাদের পরিপূরক হয়ে থাকে। হিন্দুধর্মে দেবী-চিত্রাবলী এই অর্থ প্রকাশ করেনা যে পুরুষ দেবতাগণ নেই। বরং প্রাচীন সাহিত্যে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবেই এই দুই লিঙ্গের উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। হিন্দুধর্মে দেবী শক্তিশালী, সুন্দরী, আত্মবিশ্বাসী এবং জীবনীশক্তির প্রতীক। পুরুষ দেবতাগণ সক্রিয় হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন, আর নারী দেবীগণ তাদের অনুপ্রেরণাদায়ী। এখানে দেবীদের শিল্পকলা, সংস্কৃতি, শিক্ষাদান, আনন্দ, আধ্যাত্মিকতা এবং স্বাধীনতার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে দেখানো হয়।

অর্থাৎ। প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে ঈশ্বর কেবল পুরুষ বা নারীর ধারণা নয়। এখানে দেবতার উভলিঙ্গ ধারণাও পাওয়া যায়।

ব্রহ্মা[সম্পাদনা]

হিন্দুধর্মের প্রধান দার্শনিকগোষ্ঠী তাদের দর্শনের মূল হিসেবে পরম মহাজাগতিক সত্ত্বা ব্রহ্মাকে স্থান দান করেন, যিনি মূলত অলিঙ্গিক বিশেষ্য।[৫] জিমার উল্লেখ করেন, এই পরম মহাজাগতিক সত্ত্বা "লিঙ্গ নির্ণয়যকারী যোগ্যতা এবং সমস্ত সীমাবদ্ধতা ও ব্যক্তিস্বতন্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের" উর্ধ্বে।[৫] ব্রহ্মা পরম মহাজাগতিক আত্মা, চরম বাস্তবতা, স্বয়ং অদ্বিতীয়। এটি একটি লোকোত্তর ধারণা, যেখানে সর্ব গুণাবলী, রূপ, লিঙ্গ, বৈশিষ্ট্য, ক্ষমতা, জ্ঞান এবং স্বয়ংসত্ত্বা অন্তর্ভুক্ত। ব্রহ্মার পরম মহাজাগতিক আত্মাস্বয়ং অদ্বিতীয়তার ধারণা বেদে এবং উপনিষদে, বিশেষত বৃহদারণ্যকোপনিষদ্‌[৬]ছান্দোগ্যোপনিষদে[৭] বিশদভবে পাওয়া যায়।

জিমার সংস্কৃত ভাষায় লিঙ্গের ধারণা এবং হিন্দুধর্মে ব্রহ্ম ও ঈশ্বরের ধারণার সম্পর্ক সুস্পষ্ট করেন এভাবে-

এটা অবশ্যই বুঝতে হবে যে, সংস্কৃতে ব্যাকরণগত লিঙ্গ সবসময় শারীরিক লিঙ্গের লক্ষণ নয়। লিঙ্গ ক্রিয়াকে বুঝায়, যৌনতার রূপকে বা ব্যক্তিকে বুঝায়। এক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি পুংলিঙ্গ এবং আরেকটি থেকে স্ত্রীলিঙ্গ হতে পারে। ব্রহ্মাকে জীবনের "গর্ভ" হিসেবেও গণ্য করা যেতে পারে। খ্রিস্টানধর্ম মতে ব্যক্তি" এবং নারী" সমানভাবে "ঈশ্বরের নারীরূপ" (হিন্দুধর্মে) বলে গণ্য হয়। নিশ্চিতভাবেই ব্রহ্মা ব্যাকরণগতভাবে ক্লীব হলেও সব ধরনের বিভেদের মূল। এর মূল এবং প্রকৃতি যথাক্রমে পুংলিঙ্গ এবং স্ত্রীলিঙ্গ, কিন্তু "ঈশ্বর" এর কোনটাই নন। [হিন্দুধর্ম মতে] তাঁর লিঙ্গভেদ করা যায়না।

— Heinrich Zimmer, ভারতীয় শিল্প ও সভ্যতায় পৌরাণিক কাহিনী ও প্রতীক[৫]

পৌরাণিক[সম্পাদনা]

হিন্দু পুরাণে অসংখ্য দেবদেবী অন্তর্ভুক্ত। এই রূপক কাহিণীগুলো বিশ্বাস ও মূল্যবোধ দিয়ে ঈশ্বর ও লিঙ্গের সমন্বয় করে। উদাহরণস্বরূপ। বিষ্ণু পুরাণে এধরনের পৌরাণিক পাঠ রয়েছে যেখানে পুরুষ দেবতার সঙ্গে নারী দেবীর নাম প্রতীকীরূপ দ্বারা বর্ণনা করা হয়। গল্পের একটি উদ্ধৃতাংশ নিম্নরূপঃ[৮]

দক্ষের কন্যা দ্বারা ধর্মের বংশধর ছিল নিম্নরূপ: শ্রদ্ধার (নিষ্ঠা) পুত্র কামদেব (ইচ্ছা); লক্ষ্মীর (সম্পদ, সমৃদ্ধি) পুত্র দর্প (গর্ব); ধৃতির (সাহস) পুত্র নিয়ম (আজ্ঞা); তুষ্টি র(ভিতরের সান্ত্বনা) পুত্র সন্তোষ (তৃপ্তি); পুষ্টির (সমৃদ্ধি) পুত্র লোভ (অর্থলোলুপতা); মেধার (জ্ঞান, অভিজ্ঞতা) কোলে শ্রুত (পবিত্র ঐতিহ্য); ক্রিয়ার (কঠিন কাজ, শ্রম) কোলে দন্ড, নিয়ম ও বিনয় (বিচার, রাজনীতি, ও শিক্ষা); বুদ্ধির (মেধা) কোলে বোধ (জ্ঞান); লজ্জার (নম্রতা) পুত্র বিনয় (ভাল আচরণ); বপুর (শরীর, শক্তি) পুত্র ভবিষ্য (অধ্যবসায়) জন্মগ্রহণ করে। শান্তি ক্ষমার জন্ম দিয়েছেন; সিদ্ধি (শ্রেষ্ঠত্ব) সূখের (রমণ); এবং কীর্তি (মহিমান্বিত) যশের (খ্যাতি) জন্ম দিয়েছেন। এরা সকলেই ধর্মের পুত্র। যাদের মধ্যে কামদেব ও তাঁর স্ত্রী নন্দীর (পুলক) পুত্র ছিল হর্ষ (আনন্দ)।

অধর্মের স্ত্রী (কলঙ্ক, ভুল, মন্দ) ছিল হিংস (সহিংসতা), যার ছেলে অনৃত (মিথ্যা) এবং মেয়ে নিকৃত (ব্যভিচার): তাদের মিলনে দুই পুত্র ভয় ও নরক এবং দুই কণ্যা মায়া ও বেদনা জন্মায়। এরাও পরস্পর বিবাহিত হলে ভয়-মায়ার পুত্র মৃত্য এবং নরক-বেদনার পুত্র দুঃখের জন্ম হয়। মৃত্যুর পুত্র ছিল ব্যাধি, জরা, শোক, তৃষ্ণা ও ক্রোধ। এদেরকে দুর্দশার লক্ষণ বলা হয়। তাঁরা সকলে সঙ্গিনীহীন, বংশধরহীন ও বংশবৃদ্ধিতে অক্ষম। তারা এই পৃথিবীর ধ্বংসের কারণ হিসাবে কাজ করে।

— বিষ্ণু পুরাণ, অধ্যায় ৭,[৮]

উদাহরণ[সম্পাদনা]

শ্রুতি ও অদ্বৈত[সম্পাদনা]

শ্রুতি ঐতিহ্য কখনও কখনও অদ্বৈতবাদ অনুসরণ করে এবং নৈর্ব্যক্তিক, পরম, নিরাকার, অলিঙ্গিক ব্রহ্মার নারী-পুরুষ সব রূপেই বিশ্বাস করে। ঈশ্বর হিসেবে ব্রহ্মা নির্গুণ ও স্বগুণ উভয়ই। অদ্বৈত বেদান্তে ব্রহ্মাই ঈশ্বর। শ্রুতি মতামত অনুযায়ী, স্বগুণ ব্রহ্মা ঐশ্বরিক বৈশিষ্ট্য বা এরূপ যেকোন বেশিষ্ট্যের অধিকারী হতে পারে।

শিব ও বিষ্ণু[সম্পাদনা]

বৈষ্ণব এবং শৈবধর্মে যথাক্রমে বিষ্ণু ও শিব পুরুষ রূপে মূর্ত হয়। এসব ধর্মমতে ঈশ্বর লিঙ্গের ধারণার উর্ধ্বে থাকেন এবং পুরুষরূপ পূজা (উপাসনা) করার জন্য একটি প্রতীক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য প্রতীক কেবল পুরুষরূপেই সীমাবদ্ধ নয়। এটা বিভিন্ন রূপ ও আকার হতে পারে। যেমন, শৈব এবং বৈষ্ণবমতে ঈশ্বর নারী-পুরুষ চিত্ররূপেও পূজিত হন, উদাহরণ: শিবলিঙ্গ, শালগ্রাম (শালগ্রামশিলা) ইত্যাদিতে। এসব সাহিত্যে লিঙ্গহীন হিসাবে ঈশ্বরের প্রকৃত নীতিকে বিষ্ণু সহস্রনাম স্তোত্র হিসেবে জপ করা হয়।

এভাবে, বিষ্ণু সহস্রনাম স্তোত্রে প্রথম কয়েক নাম কেবল বিষ্ণুর বৈশিষ্ট্যই বর্ণনা করেনা, বরং এগুলো অপুরুষবাচকও হয়।

শক্তি[সম্পাদনা]

শাক্তমত হিন্দুধর্মের একটি সম্প্রদায় যারা শক্তি অথবা দেবী মাতার পুং বা উভলিঙ্গিক দেবত্ব প্রত্যাখ্যান না করেই তার সকল রূপের আরাধনা করে (এটা অবশ্য শক্তির অনুপস্থিতিতে নিষ্ক্রিয় বলে গণ্য করা হয়)। এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ শাক্তমতে, মহাদেবী বা দেবীর পূজা করা হয়। এন এন ভট্টাচার্য ব্যাখ্যা করেছেন যে যারা একটি নারীবাদ হিসাবে এককভাবে পরম সত্ত্বার উপাসনা করে, তাদের শাক্ত বলা হয়।

শৈব দার্শনিকগণ, যেমন শিব সুব্রামানিয়াম বলেন, শক্তমতের বিকল্প ব্যাখ্যা হলো, নারীরূপই পুংরূপের একমাত্র বাহন।

রাধা ও কৃষ্ণ[সম্পাদনা]

শক্তি ও শক্তিমানের সাধারণ ভেদ হলো শেষেমেষ উভয়ই একই বলে স্বীকৃত হয়।[৯] প্রতিটি দেবতার সঙ্গী, 'স্ত্রী' বা শক্তি রয়েছে এবং এই শক্তি ছাড়া কখনও কখনও তারা মৌলিক ক্ষমতাহীন।[১০] কিছু ভক্তিমতে হিন্দুধর্মের উপাসকগণ ঈশ্বরকে একজোড়া হিসাবে উভয় লিঙ্গের উপাসনা করেন।[১১][১২]

বৈষ্ণব দৃষ্টিকোণ থেকে ঐশ্বরিক নারী শক্তিকে শক্তির একটি মহান উৎস হিসেবে বোঝা হয়, যেমন শক্তিমান। সীতা রামের জন্য; লক্ষ্মী নারায়ণের জন্যে; রাধা তার কৃষ্ণের জন্য সৃষ্টি হয়েছেন। এ হিসেবে সঙ্গীনীগণই তাদের সঙ্গীর শক্তির উৎস।[১৩][১৪][১৫]

মণিপুরী বৈষ্ণবদের বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্য হল, দুই লিঙ্গ পূজা একসঙ্গে করা হয়। উপাসকগণ শুধু কৃষ্ণ বা শুধু রাধার উপাসনা করেন না, বরং একত্রে রাধা-কৃষ্ণর উপাসনা করেন। এই মতের ধর্মীয় উৎসব হলো পল্লী অনুষ্ঠান রাস উৎসব[১৬]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. John Renard (1999), Responses to 101 Questions on Hinduism, Paulist, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮০৯১৩৮৪৫৬, pages 74-76
  2. গুগল বইয়ে What is Hinduism?, পৃ. PR17,, Hinduism Today, Hawaii
  3. The Concept of Shakti: Hinduism as a Liberating Force for Women
  4. Rigveda Hymn VI.64.5, HH Wilson (Translator), Trubner & Co London, page 7
  5. Heinrich Robert Zimmer (1972), Myths and Symbols in Indian Art and Civilization, Princeton University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৬৯১০১৭৭৮৫, pages 123-128
  6. Original Sanskrit: बृहदारण्यकोपनिषद् Wikisource;
    English Translation Hymn 1.4.10: Brihadaranyaka Upanishad - 1.4.10 pages 145-146;
    English Translation Hymn 4.4.5: Brihadaranyaka Upanishad - 4.4.5 pages 712-713;
  7. Original Sanskrit: सर्वं खल्विदं ब्रह्म तज्जलानिति शान्त उपासीत । अथ खलु क्रतुमयः पुरुषो यथाक्रतुरस्मिँल्लोके पुरुषो भवति तथेतः प्रेत्य भवति स क्रतुं कुर्वीत ॥ १ ॥ (छान्दोग्योपनिषद् Wikisource);
    English Translation 1: All this indeed is Brahman. From It the universe comes forth, in It the universe merges, and in It the universe breathes. Therefore a man should meditate on Brahman with a calm mind. Now, a man consists of free will. As he wills in this world, so does he become. Let him, with this knowledge in mind, form his free will. (Chandogya Upanishad The Sandilya Doctrine - 3.14.1);
    English Translation 2: Chandogya Upanishad III.xiv.1 GN Jha (Translator), page 151
  8. Vishnu Purana Chapter 7
  9. Surendranath Dasgupta,A History of Indian Philosophy (1991) p. 31
  10. Santilata Dei, Del Santilata, Vaisnavism in Orissa (1988) p. 167
  11. Beck, Guy L. (২০০৫)। Alternative Krishnas: regional and vernacular variations on a Hindu deity। Albany, N.Y: State University of New York Press। পৃষ্ঠা p. 68আইএসবিএন 0-7914-6415-6 
  12. Kakoli Basak, (1991) Rabindranath Tagore, a Humanist - p. 11
  13. Rosen 2002, পৃ. 54
  14. Dave Symmons (1998), This is Hinduism, Nelson Thornes, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৪৮৭৩০৯৩৩, page 20
  15. Stella Kramrisch (1975), The Indian Great Goddess, History of Religions, Vol. 14, No. 4, pages 260-263
  16. Schwartz 2004, পৃ. 35