রংপুর সিটি কর্পোরেশন
রংপুর সিটি কর্পোরেশন | |
---|---|
ধরন | |
ধরন | |
মেয়াদসীমা | ৫ বছর |
ইতিহাস | |
শুরু | ২৮ জুন ২০১২ |
নতুন অধিবেশন শুরু | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ |
নেতৃত্ব | |
রুহুল আমিন মিয়া | |
নির্বাচন | |
ফার্স্ট-পাস্ট-দ্য-পোস্ট ভোটদান | |
সর্বশেষ নির্বাচন | ২০২২ |
পরবর্তী নির্বাচন | ২০২৭ |
সভাস্থল | |
নগর ভবন, রংপুর | |
ওয়েবসাইট | |
rpcc.gov.bd |
রংপুর সিটি কর্পোরেশন বাংলাদেশের রংপুরের স্থানীয় সরকার সংস্থা এবং দেশের দশম সিটি কর্পোরেশন। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) বিল, ২০০৯-এর মাধ্যমে প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো রংপুর পৌরসভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। এর আয়তন ২০৫.৭০ বর্গ কিলোমিটার[১]।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ মে ৫০.৫৬ বর্গকিলোমিটারের রংপুর পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। প্রথম চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন রংপুরের তৎকালীন কালেক্টর ই জি গ্লোজিয়ার। ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে ডিমলার জমিদার রাজা জানকীবল্লভ সেন রংপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাজহাটের জমিদার গোপাল লাল রায় ১৯১৪-১৯২৩ সালে রংপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও মৌলভী বদির উদ্দিন আহমেদ (১৯৪৯-১৯৫২), অ্যাডভোকেট মাহাতাব উদ্দিন খান (১৯৫৫-১৯৬০,১৯৭৪-১৯৭৭),অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আফজাল (১৯৭৭-১৯৮২,১৯৮৪-১৯৮৬,১৯৮৭-১৯৮৮), মুক্তিযোদ্ধা অপিল উদ্দিন আহমেদ (১৯৮৮-১৯৯১), সাবেক এমপি শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু (১৯৯৩-১৯৯৯), কাজী মো. জুননুন (১৯৯৯-২০০৪) পর্যায়ক্রমে একাধিকবার এ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সবশেষ পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন একেএম আব্দুর রউফ মানিক (২০০৪-২০১২)। ২০১২ সালে শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সালে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মেয়র নির্বাচিত হন।
১৮৯২ সালে ডিমলার জমিদারের দানকৃত বাগানবাড়ির জমিতে গড়ে তোলা হয় রংপুর পৌর ভবন। ১৯৮৬ সালে রংপুর পৌরসভাকে 'ক' শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। এ পৌরসভাকে তখন ৫০ দশমিক ৫৬ বর্গকিলোমিটারে সম্প্রসারিত করা হয়েছিল।২০১২ সালের ২৮ জুন স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) বিল, ২০০৯-এর মাধ্যমে রংপুর পৌরসভাকে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ৪ লেনের রাস্তার কাজ হয় রংপুরের প্রবেশদ্বার মডার্নমোড় থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত মহাসড়ক এবং সাথে সাথে মেইন শহরের রাস্তাকেও ৪ লেনে উন্নীত করেন মেয়র শরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টু।
প্রশাসন
[সম্পাদনা]রংপুর সিটি করপোরেশনের আয়তন ২০৫.৭০ বর্গকিলোমিটার। এই আয়তনের মধ্যে রংপুর সদরের ১০টি, কাউনিয়া সারাই ও পীরগাছার কল্যাণীসহ ১২টি ইউনিয়ন মিলে ১১২টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ৭টি ইউনিয়ন পূর্ণাঙ্গ ও ৫টি আংশিক রয়েছে। তবে সেনানিবাসকে সিটি করপোরেশনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৩টি, সেগুলি হলো:
- বুড়িরহাট
- চাব্বিশ হাজারী
- পানাডার দীঘি
- উত্তম
- হাজির হাট
- সিও বাজার
- ধাপ
- কেল্লাবন্দ
- রাধাবল্লব
- শিমুলবাগ-সাগরপাড়া
- কেরানিপাড়া
- মুন্সীপাড়া
- লালকুঠি লেন
- খলিফাপাড়া
- জুম্মাপাড়া
- জাহাজ কোম্পানি
- নবাবগঞ্জ
- বেতপট্টি-তালতলা
- কোটকিপাড়া
- পর্যটন পাড়া
- মর্ডান
- আশরতপুর
- আলমনগর
- রবার্টসনগঞ্জ
- দর্শনা
- লালবাগ
- খামারপাড়া
- ইসলামপুর
- পীরজাবাদ
- পার্বতীপুর
- মাহিগঞ্জ
- তাজহাট
- গণেশপুর
- বাবু খাঁ
- ডিসি মোড়
- আদর্শপাড়া
- মিস্ত্রি পাড়া
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]