বিষয়বস্তুতে চলুন

বোদা উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৬°১২′৪৬″ উত্তর ৮৮°৩৩′৩৮″ পূর্ব / ২৬.২১২৭৮° উত্তর ৮৮.৫৬০৫৬° পূর্ব / 26.21278; 88.56056
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বোদা
উপজেলা
মানচিত্রে বোদা উপজেলা
মানচিত্রে বোদা উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৬°১২′৪৬″ উত্তর ৮৮°৩৩′৩৮″ পূর্ব / ২৬.২১২৭৮° উত্তর ৮৮.৫৬০৫৬° পূর্ব / 26.21278; 88.56056 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাপঞ্চগড় জেলা
আয়তন
 • মোট৩৪৯.৪৭ বর্গকিমি (১৩৪.৯৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[]
 • মোট২,০০,৬৯৩
 • জনঘনত্ব৫৭০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫১.৮৭%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৭৭ ২৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

বোদা উপজেলা বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

অবস্থান ও আয়তন

[সম্পাদনা]

এ উপজেলার উত্তরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাদেবীগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে দেবীগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে আটোয়ারী উপজেলাপঞ্চগড় সদর উপজেলা

নামকরণ

[সম্পাদনা]

বরদেশ্বরী বা বদেশ্বরী মন্দিরটি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের দেঃ ভিঃ বদেশ্বরী মৌজার প্রায় ২.৭৮ একর জমিতে (মন্দির ও পার্শবর্তী অংশসহ) অবস্থিত। হিন্দু ধর্মের ১৮টি পুরাণের মধ্যে স্কন্দ পুরাণ একটি। সেই স্কন্দ পুরাণে কাশি খণ্ডের ৮৮তম অধ্যায়ে বর্ণিত হয়েছে যে, একবার রাজা দক্ষ একটি যজ্ঞানুষ্ঠান করেন। ভোলানাথ শিব হলেন রাজা দক্ষের মেয়ে সতীর স্বামী। রাজা দক্ষ কখনই শিবকে জামাই হিসেবে মেনে নেননি। কারণ মহাবীর শিব সর্বদাই ছিলেন উদাসীন এবং ধ্যানমগ্ন থাকতেন। উক্ত যজ্ঞানুষ্ঠানে মুনি-ঋষিগণ ও অন্যান্য দেবতাগণ নিমন্ত্রিত হলেও রাজা দক্ষ তার মেয়ে দেবী সতীকে ও জামাতা ভোলানাথ শিবকে নিমন্ত্রণ করেন নি। শিবের সহধর্মিনী দেবী সতী এই কষ্ট সহ্য করতে না পেরে তার পিতা দক্ষের শিবহীন যজ্ঞে নিজের প্রাণ বলিদান দেন। শিব তার সহধর্মিনী সতীর মৃত্যুতে শোকে উন্মাদ হন। তার সহধর্মিনীর শবদেহটি কাঁধে নিয়ে পৃথিবীর সর্বস্তরে উন্মাদের ন্যায় ঘুরতে থাকেন এবং প্রলয়ের সৃষ্টি করেন। সে মুহূর্তে দেবতাদের আকুল আবেদনে বিষ্ণুদেব তাঁর সুদর্শনচক্র নিক্ষেপ করেন। চক্রের স্পর্শে সতীর শবদেহটি ৫১টি খণ্ডে বিভক্ত হয়। শবের ৫১টি খণ্ডের মধ্যে বাংলাদেশে পড়ে ০২টি খন্ড। একটি চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে এবং অপরটি পঞ্চগড় এর বরদেশ্বরীতে বা বদেশ্বরীতে। মহামায়ার খন্ডিত অংশ যে স্থানে পড়েছে তাই পীঠস্থান রূপান্তরিত হয়েছে। বরদেশ্বরী মহাপীঠ অন্যতম পীঠস্থান। পরবর্তীতে, পাল রাজারা এখানে একটি মন্দির ও একটি দুর্গ নির্মাণ করেন। উক্ত মন্দিরের নাম অনুযায়ী বোদা নামকরণ করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। করতোয়া নদীর তীর ঘেঁষে নির্মিত বরদেশ্বরী বা বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দিরটি এখনও প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের নিদর্শন বহন করে।[]

প্রশাসন

[সম্পাদনা]
ক্রম নং. পদবী নাম
০১ উপজেলা চেয়ারম্যান শূণ্য পদ
০২ ভাইস চেয়ারম্যান শূণ্য পদ
০৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শূণ্য পদ
০৪ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোলেমান আলী

প্রশাসনিক এলাকা

[সম্পাদনা]

এই উপজেলার ইউনিয়ন সমূহ হল -

  1. ঝলইশালশিরি ইউনিয়ন
  2. ময়দানদিঘি ইউনিয়ন
  3. বেংহারি ইউনিয়ন
  4. কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়ন
  5. বড়শশী ইউনিয়ন
  6. মাড়েয়া ইউনিয়ন
  7. চন্দনবাড়ী ইউনিয়ন, বোদা
  8. বোদা ইউনিয়ন
  9. সাকোয়া ইউনিয়ন
  10. পাঁচপীর ইউনিয়ন

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

জনসংখ্যার উপাত্ত

[সম্পাদনা]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা]

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বোদা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। যেটি বর্তমানে সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে রূপান্তরিত হয়েছে।

বোদা উপজেলায় একটি সরকারি কলেজ রয়েছে, যা পাথরাজ সরকারি কলেজ নামে পরিচিত। কলেজটিকে ২০১৮ সালে সরকারিকরণ করা হয়।

এছাড়া উপজেলাটিতে বোদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ নামক বালিকা বিদ্যালয় এবং বোদা মহিলা মহাবিদ্যালয় নামক একটি সনামধন্য মহিলা কলেজ রয়েছে।

অর্থনীতি

[সম্পাদনা]

অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, বাদাম, মরিচ উল্লেখযোগ্য।

শিল্প প্রতিষ্ঠান

[সম্পাদনা]

এখানে অটো রাইস মিল এবং জুট মিল আছে ।

নদীসমূহ

[সম্পাদনা]

বোদা উপজেলায় ৩টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে করতোয়া নদী, টাঙ্গন নদী এবং পাথরাজ নদী[][]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

[সম্পাদনা]

বিবিধ

[সম্পাদনা]

বোদা উপজেলার প্রাণকেন্দ্র নাসির মন্ডল হাট

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বোদা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারী ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "ইতিহাসের আলোকে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলা"Ajkerreport.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৩-০২। ২০২২-০৯-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৯ 
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯
  4. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]