বিষয়বস্তুতে চলুন

আটোয়ারী উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৬°১৮′২০″ উত্তর ৮৮°২৭′২৩″ পূর্ব / ২৬.৩০৫৫৬° উত্তর ৮৮.৪৫৬৩৯° পূর্ব / 26.30556; 88.45639
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আটোয়ারী
উপজেলা
মানচিত্রে আটোয়ারী উপজেলা
মানচিত্রে আটোয়ারী উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৬°১৮′২০″ উত্তর ৮৮°২৭′২৩″ পূর্ব / ২৬.৩০৫৫৬° উত্তর ৮৮.৪৫৬৩৯° পূর্ব / 26.30556; 88.45639 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাপঞ্চগড় জেলা
আয়তন
 • মোট২০৯.৯২ বর্গকিমি (৮১.০৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৩২,৯৪৬জন[]
সাক্ষরতার হার
 • মোট৫১.৮৫
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৭৭ ০৪
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

আটোয়ারী বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

নামকরণ

[সম্পাদনা]

আটোয়ারী নামকরণ নিয়ে একটি প্রবাদ আছে- “নাগর নদীর তীরে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের আটটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়। সংগঠিত এ আটটি যুদ্ধ (এইটওয়ার) শব্দাবলীর অনুসরণে আটোয়ারী নামে উদ্ভব হয়েছে।” প্রকৃতপক্ষে, এ প্রবাদের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই।

উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ

[সম্পাদনা]
ক্রম নং. পদবী নাম
০১ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ শূণ্য পদ
০৪ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুসফিকুল আলম হালিম
০২ ভাইস চেয়ারম্যান শূণ্য পদ
০৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শূণ্য পদ

অবস্থান ও আয়তন

[সম্পাদনা]

এই উপজেলার উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে বোদা উপজেলাপঞ্চগড় সদর উপজেলা, দক্ষিণে ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাবালিয়াডাঙ্গী উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ

প্রশাসনিক এলাকা

[সম্পাদনা]

আটোয়ারী ৬টি ইউনিয়ন এবং ৬১ টি মহল্লা/মৌজা এবং ৬৪টি গ্রাম নিয়ে গঠিত।

উপজেলার ইউনিয়নগুলো হচ্ছে -

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

আটোয়ারী নামকরণ নিয়ে একটি প্রবাদ আছে- “নাগর নদীর তীরে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের আটটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়। সংগঠিত এ আটটি যুদ্ধ (এইটওয়ার) শব্দাবলীর অনুসরণে আটোয়ারী নামে উদ্ভব হয়েছে।” প্রকৃতপক্ষে, এ প্রবাদের কোন ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। এক সময় আটোয়ারী উপজেলা দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমার অন্তর্ভুক্ত ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত এ অঞ্চলের লোকসংখ্যার ঘনত্ব ছিল অত্যন্ত কম। গরু-মহিষের গাড়ী ছিল একমাত্র যানবাহন যা দ্বারা মানুষ যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্য করত। পঞ্চগড় হতে পশ্চিমে ভারত লক্ষীপুর গ্রাম হয়ে ভারতের বর্ধমার সড়ক পর্যন্ত ও পঞ্চগড় হতে অপর একটি রাস্তা পূর্ব ও উত্তর পর্যন্ত হলদীবাড়ী, সিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি পর্যন্ত ছিল কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে অত্র এলাকার ব্যবসায়ীগণ পশ্চিমে ইসলামপুর ও দাসপাড়া হাট এবং পূর্বে হলদীবাড়ী, মাটিগাড়া হাট, জলপাইগুড়ি ও সিলিগুড়ি পর্যন্ত ব্যবসা-বাণিজ্য করত। বর্তমান পঞ্চগড় হতে গোয়ালপাড়া হয়ে সোজা পশ্চিমে ভারত সীমান্তে নাগর নদী পর্যন্ত একটি রাস্তা গেছে। এক সময় এ রাস্তাটির নাম রাজার সড়ক হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমান আটোয়ারী থানার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ধামোর, তোড়েয়া ও মীর্জাপুর এর ব্যবসায়ীগণ রাজার সড়ক হয়ে দাসপাড়া হাট ও ইসলামপুরে ব্যবসা-বাণিজ্য করত। অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে রাজার সড়কের উভয় পার্শ্বে ফতেহপুর ও গিরাগাঁও এর পশ্চিমাঞ্চল নাগর নদী পর্যন্ত বন-জঙ্গলে আচ্ছাদিত রাজার সড়কে ব্যবসায়ী ও সাধারণ লোকেরা চোর-ডাকাতের দ্বারা বারংবার আক্রান্ত হতে থাকে এবং কয়েকটি ডাকাত দল বনাঞ্চলে স্থায়ীভাবে আস্তানা গড়ে তোলে। ব্রিটিশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে এ অবস্থার কথা আনা হলে দিনাজপুর জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাগর নদীর তীরে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ১৯০৩ সালে এ পুলিশ ফাঁড়িটি ফতেহপুর গ্রামে স্থাপিত হয়। ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার এ পুলিশ ফাঁড়িটিকে আটোয়ারী থানা নামকরণ করে নাগর নদীর তীরে আটোয়ারী নামক স্থানে স্থাপন করে। আটোয়ারী থানাটি থানা এলাকার একেবারে উত্তর-পশ্চিম কোণে অবস্থিত হওয়ায় থানা অন্য এলাকাগুলি যেমন-বলরামপুর, রাধানগরের দূরত্ব অনেক বেশি হয়। ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দারুন অসুবিধা দেখা দেয়। এ সমস্যার প্রেক্ষিত ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ সরকার আটোয়ারী থানাকে স্থানান্তরিত করে সমগ্র থানার মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত রাধানগর ইউনিয়নে স্থানান্তর করে। কালক্রমে আটোয়ারী থানাই আটোয়ারী উপজেলা হিসেবে রূপান্তরিত হয়।

বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ীহাটে জমিদারদের স্বেচ্ছাচারমূলক তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে কৃষকগণ সংগঠিত হন, যা রাজনৈতিক ইতিহাসে "তোলাবাটি" আন্দোলন নামে খ্যাত হয়। এই আন্দোলন আটোয়ারীতেও ছড়িয়ে পড়ে। নেতৃত্বদানের দায়ে গ্রেফতারবরন করেন এবং তিনমাস বন্দী জীবন কাটান কৃষক নেতা কম্পরাম সিং। তোলাবটি আন্দোলন শেষ না হতেই সমগ্র উত্তরবঙ্গের সাথে ১৯৪৬ সালে আটোয়ারী উপজেলায় তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েএবং কম্পরাম সিং সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন।[]

নদীসমূহ

[সম্পাদনা]

আটোয়ারী উপজেলায় ৫টি নদী রয়েছে।

নদীগুলো হচ্ছে -

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে আটোয়ারী উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারী ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. হোসেন, সেলিনা; ইসলাম, নুরুল, সম্পাদকগণ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭)। "কম্পরাম সিং" (ছাপা)বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত বিতীয় সংস্করণ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১০৮। 
  3. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯
  4. মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক (ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি। ঢাকা: কথাপ্রকাশ। পৃষ্ঠা ৬১৭। আইএসবিএন 984-70120-0436-4 
  5. "খাল ও নদী"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০২০-১০-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]