বিরল উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৮′১২″ উত্তর ৮৮°৩২′১৭″ পূর্ব / ২৫.৬৩৬৬৭° উত্তর ৮৮.৫৩৮০৬° পূর্ব / 25.63667; 88.53806
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিরল
উপজেলা
মানচিত্রে বিরল উপজেলা
মানচিত্রে বিরল উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৮′১২″ উত্তর ৮৮°৩২′১৭″ পূর্ব / ২৫.৬৩৬৬৭° উত্তর ৮৮.৫৩৮০৬° পূর্ব / 25.63667; 88.53806 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাদিনাজপুর জেলা
আয়তন
 • মোট৩৫৩.৫৮ বর্গকিমি (১৩৬.৫২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০০১)[১]
 • মোট২,৫৭,৯২৫
 • জনঘনত্ব৭৩০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫২১০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ২৭ ১৭
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

বিরল বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা

দিনাজপুর একটি সীমান্তবর্তী জেলা। এই জেলার বিরল উপজেলা টি জেলা সদর হতে প্রায় ৯ কিমি পশ্চিমে অবস্থিত।

অবস্থান, আয়তন ও সীমানাঃ[সম্পাদনা]

প্রশাসনিক এলাকাঃ[সম্পাদনা]

বিরল উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন রয়েছে।

  1. বিরল ইউনিয়ন
  2. আজিমপুর ইউনিয়ন
  3. ফরক্কাবাদ ইউনিয়ন
  4. ধামইর ইউনিয়ন
  5. শহরগ্রাম ইউনিয়ন
  6. ভান্ডারা ইউনিয়ন
  7. বিজোড়া ইউনিয়ন
  8. ধর্মপুর ইউনিয়ন
  9. মঙ্গলপুর ইউনিয়ন
  10. রানীপুকুর ইউনিয়ন
  11. পলাশবাড়ী ইউনিয়ন
  12. রাজারামপুর ইউনিয়ন

ইতিহাসঃ[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিক ঘটনা এ উপজেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫-৫৬) সংঘঠিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর পাকবাহিনী বিজোড়া ইউনিয়নের বহলায় ৩৭ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৫ ডিসেম্বর বগুলাখারীতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এছাড়াও উপজেলার বহবল দীঘিতে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে প্রায় ১০০ পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলায় ১টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ১টি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

জনসংখ্যার উপাত্তঃ[সম্পাদনা]

বিরল উপজেলার জনসংখ্যা ২,৫৭,৯২৫ জন (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)।

( পুরুষ লোক সংখ্যা- ১,৩০,১৬০ জন।)

( মহিলা লোক সংখ্যা- ১,২৭,৭৬৫ জন।)

ধর্মভেদে জনসংখ্যাঃ

  • মুসলিম ১৮৮৯০৯ জন
  • হিন্দু ৬৪৪৫৩ জন
  • বৌদ্ধ ৭৭ জন
  • খ্রিস্টান ৯৩২ জন
  • এবং অন্যান্য ৩৫৫৪ জন

এ উপজেলায় মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্ম ছাড়াও অনেক উপজাতী আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে। যেমন সাঁওতাল, ওরাওঁ, মুন্ডা, মালো, মাহালী ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ[সম্পাদনা]

বিরল উপজেলায় মহাবিদ্যালয়/কলেজ রয়েছে ১০ টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৮ টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৭ টি, মাদ্রাসা ১৭ টি।

কলেজ সমূহঃ[সম্পাদনা]

ক্রমিক নং নাম প্রতিষ্ঠাকাল EIIN
মুন্সিপাড়া আদর্শ কলেজ ১৯৯৯ ১৩১৯৯১
মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয় ১৯৯৪ ১২০১৯৯
ধুকুরঝাড়ী কলেজ ১৯৯৪ ১২০২০০
আজিতপুর টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ২০০৪ ১৩৩০৬৯
জগতপুর কলেজ ১৯৯৫ ১২০২০২
কাঞ্চন নিউ মডেল কলেজ ১৯৯৯ ১২০২০৩
পূনর্ভবা টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজ ২০১১ ১৩৩১২৯
বিরল সরকারী কলেজ ১৯৫৯ ১২০১৯৭
বিরল মহিলা কলেজ ১৯৯৫ ১২০২০১
১০ বোর্ডহাট কলেজ ১৯৯৪ ১২০১৯৮

মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহঃ[সম্পাদনা]

ক্রমিক নং নাম প্রতিষ্ঠাকাল EIIN
রুদ্রপুর মেসনা এস.সি. দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৯ ১২০১৪৯
ধুকুরঝাড়ী দ্বি- মুখি উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬১ ১২০১৩৯
ফরক্কাবাদ এন.আই উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৩ ১২০১৪২
আজিমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯৩ ১২০১৫৮
বালান্দোর উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯৪ ১২০১৬৫
বেতুড়া দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৬৪ ১২০১৪৩
মোহনা মঙ্গলপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৫৪ ১২০১৩৭
উত্তর বিষ্ণুপুর ভি,এম.এস.সি উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৪৫ ১২০১৩৫
উত্তর মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৫ ১২০১৭০
১০ জিনইর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯২ ১২০১৫৭
১১ রাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯২ ১২০১৫৬
১২ পাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় ২০০২ ১২০১৭৯
১৩ রামপুর হাট উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯৪ ১২০১৬৮
১৪ মুন্সিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬০ ১২০১৩৮
১৫ কালিয়াগঞ্জ এস, সি উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৮২ ১২০১৫৩
১৬ চৌধুরীডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৩ ১২০১৫৯
১৭ কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৭ ১২০১৪৬
১৮ কাশিডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৪ ১২০১৬৬
১৯ দঃমাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৪ ১২০১৬২
২০ বিস্তইড় উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৪ ১২০১৬৯
২১ ধর্মপুর্ ইউ,সি,উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৬ ১২০১৪৪
২২ মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৫ ১২০১৬৭
২৩ ঢেরাপাটিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৩ ১২০১৬০
২৪ তেঘরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০০০ ১২০১৭৭
২৫ কানাইবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৮১ ১২০১৩৪
২৬ সারাঙ্গাই পলাশবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৭১ ১২০১৫০
২৭ চকের হাট উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৩ ১২০১৬১
২৮ করলা মাধববাটী উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৮ ১২০১৪৭
২৯ বিরল পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৪৮ ১২০১৩২
৩০ মখলেশপুর উচ্চবিদ্যালয় ১৯৬২ ১২০১৪০
৩১ বিরল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৮৮ ১২০১৩৩
৩২ বহবলদিঘী উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯০ ১২০১৫৫
৩৩ বিরল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৭৭ ১২০১৫২
৩৪ বেতুড়া আইডিয়াল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ১২০১৭৬
৩৫ দক্ষিন মেড়াগাও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২০০১ ১২০১৭৮
৩৬ পুলহাট বটতলা নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ১২০১৭২
৩৭ এস আর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৯ ১২০১৭৪
৩৮ উত্তর দারাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯৯ ১২০১৭৫
৩৯ আলহাজ কছিম উদ্দীন আহাম্মেদ উচ্চ বিদ্যলয় ১৯৮৮ ১২০১৫৪
৪০ বিজোড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ১৯৪৮ ১২০১৩৬
৪১ হালজায় উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৪ ১২০১৬৩
৪২ কাজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৯৪ ১২০১৬৪
৪৩ নাড়াবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১২০১৭৩
৪৪ পশ্চিম শংকরপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৭৪ ১২০১৫১
৪৫ ফুলবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৮ ১২০১৪৮
৪৬ রঘুপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৩ ১২০১৪১
৪৭ সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৭ ১২০১৪৫
৪৮

মাদ্রাসা সমুহঃ

ক্রমিক নং নাম প্রতিষ্ঠাকাল EIIN
আগ্রা বালিয়াদিগি গফুরিয়া দারুসুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা ১২০১৮১
আটঘেরা দাখিল মাদ্রাসা ২০০১ ১২০১৯৬
বোর্ডহাট দারুল ঊলুম দাখিল মাদ্রাসা ১৯৯৪ ১২০১৯১
দেওয়ানজি দীঘি ঈদ্গাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ১৯৭৬ ১২০১৮৩
জগতপুর দাখিল মাদ্রাসা ১৯৯৪ ১২০১৯২
কালিয়াগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা ১৯৯৫ ১২০১৯৩
কামদেবপুর দাখিল মাদ্রাসা ১২০১৮৪
কাজীপাড়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা ১৯৮৩ ১২০১৮৫
নাড়াবাড়ী সালফিয়া দাখিল মাদ্রাসা ১৯৮৮ ১২০১৮৮
১০ ওকরা রাহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা ১২০১৯০
১১ পশ্চিম শংকরপুর নুরুল হুদা দাখিল মাদ্রাসা ১৯৯৬ ১২০১৯৪
১২ সিঙ্গুন দারুল হুদা দাখিল মাদ্রাসা ১৯৭৫ ১২০১৮২
১৩ ভারাডাঙ্গী দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা ১৯৯২ ১২০১৮৯
১৪ বিরল দারুস সুন্নাত আলিম মাদ্রাসা ১৯৮৪ ১২০১৮৬
১৫ বুনিয়াদপুর সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসা ১৯৬৩ ১২০১৮০
১৬ মঙ্গলপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা ১৯৮৬ ১২০১৮৭
১৭


অর্থনীতিঃ[সম্পাদনা]

এ অঞ্চলের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর।ধান,ভুট্টা,গম, লিচু এখানকার প্রধান অর্থকরী ফসল। এ উপজেলার মাধববাটী, দক্ষিণ মাধবপুর গ্রাম লিচু চাষের জন্য বিখ্যাত।

নদী সমূহঃ[সম্পাদনা]

বিরল উপজেলায় ৩ টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে পুনর্ভবা নদী, টাঙ্গন নদী এবং তুলাই নদী।[২]

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বঃ[সম্পাদনা]

বিশেষ জায়গাঃ[সম্পাদনা]

  • কড়ই বিল
  • ধর্মপুরের শালবন
  • দীপশিখা মেটিস্কুল

বিনোদনের জায়গাঃ[সম্পাদনা]

  • জীবন মহল
  • চঞ্চল রিসোর্ট

তথ্যসূত্রঃ[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে বিরল উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১১ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫।

বহিঃসংযোগঃ[সম্পাদনা]