পলাশবাড়ী উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৫°১৭′৩″ উত্তর ৮৯°২১′১৪″ পূর্ব / ২৫.২৮৪১৭° উত্তর ৮৯.৩৫৩৮৯° পূর্ব / 25.28417; 89.35389
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পলাশবাড়ী
উপজেলা
Palashbari
ডাকনাম: পলাশবাড়ী
পলাশবাড়ী রংপুর বিভাগ-এ অবস্থিত
পলাশবাড়ী
পলাশবাড়ী
পলাশবাড়ী বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
পলাশবাড়ী
পলাশবাড়ী
বাংলাদেশে পলাশবাড়ী উপজেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°১৭′৩″ উত্তর ৮৯°২১′১৪″ পূর্ব / ২৫.২৮৪১৭° উত্তর ৮৯.৩৫৩৮৯° পূর্ব / 25.28417; 89.35389 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
জেলাগাইবান্ধা জেলা
আয়তন
 • মোট১৮৫.৩৩ বর্গকিমি (৭১.৫৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট২,৩১,৭৫৫
 • জনঘনত্ব১,৩০০/বর্গকিমি (৩,২০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৩৩.৬৯% (২০০১)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫৭৩০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৩২ ৬৭
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

পলাশবাড়ী বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]

পলাশবাড়ী উপজেলা ২৫°১১´ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫°১৯´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°১৬´ পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৮৯°৩২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। ১৯০.৬৭ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটির উত্তরে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলাসাদুল্লাপুর উপজেলা, দক্ষিণে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা; পূর্বে গাইবান্ধা সদর উপজেলাসাঘাটা উপজেলা, পশ্চিমে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]


রংপুর ও বগুড়া মোটামুটি ১০০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যবর্তী স্থান হল এই পলাশবাড়ী ৷ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছাতে দুই দিন আটকে রাখতে সমর্থ হয় পলাশবাড়ীবাসী ৷ এখানে পলাশবাড়ী সড়ক ও জনপদ বিভাগের পেছনে একটি বদ্ধভূমি স্মৃতিসৌধ আছে ৷এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এখানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে আসেন ডাক্তার জসিম উদ্দিন ৷ পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এই জায়গাটি দেখে গিয়ে নিজের বাড়ির নাম রাখেন পলাশবাড়ী ৷ রংপুর ও বগুড়ার মাঝামাঝি স্থানে একটি নান্দনিক পার্ক তৈরি হয় যা ড্রিমল্যান্ড নামে পরিচিত ৷

জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]

২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী পলাশবাড়ীর মোট জনসংখ্যা ২৬০৮০৬; যার মধ্যে ৫০.৫৪% পুরুষ ও ৪৯.৪৬% মহিলা। মুসলমান ৯২.৪৮ %, হিন্দু ৭.০২% ও অন্যান্য ০.৫%।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

শিক্ষার হার বেশ কম, মাত্র ১৯.৫%। এখানে ২০৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে; তার মধ্যে সরকারি ৮৪টি, বেসরকারি রেজিস্টার্ড ১২১টি, কমিউনিটি ১টি, অনিবন্ধিত বেসরকারি ০৪টি, কিন্ডারগার্টেন ২৪টি, এনজিও প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র ১৯৯টি ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসা ০৭টি, উচ্চ মাদ্রাসা সংযুক্ত ইবতেদায়ী ১৮টি। এখানে বিদ্যালয় গমনোপযোগি শিশুর সংখ্যা ৪৯০৪৪ জন, বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিশুর সংখ্যা ৪৯০৪৪ জন, নীট ভর্তির হার প্রায় ১০০%, ঝরে পড়ার হার প্রায় ৭.১৪%, উপস্থিতির হার প্রায় ৮৬.৪%। এছাড়াও, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তিকৃত শিশুর সংখ্যা ৬০৪৪ জন, প্রাথমিক শিক্ষা চক্র সমাপ্তির হার প্রায় ৯৩%।

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

এখানকার ৮৭ শতাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি নির্ভরশীল। এখানকার প্রধান শস্যের মধ্যে রয়েছে ধান, গম, ভুট্টাশাকসবজি। এই এলাকায় ভুট্টার চাষ নতুন হলেও এর বাম্পার ফলনের কারণে ভুট্টা অত্র এলাকার এক অন্যতম অর্থকরী ফসল।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]