নাগেশ্বরী উপজেলা
নাগেশ্বরী | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে নাগেশ্বরী উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৮′৫৪″ উত্তর ৮৯°৪২′২৩″ পূর্ব / ২৫.৯৮১৬৭° উত্তর ৮৯.৭০৬৩৯° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৫°৫৮′৫৪″ উত্তর ৮৯°৪২′২৩″ পূর্ব / ২৫.৯৮১৬৭° উত্তর ৮৯.৭০৬৩৯° পূর্ব ![]() | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | কুড়িগ্রাম জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৪১৭.৫৭ বর্গকিমি (১৬১.২২ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ৪,০২,১০১ [১] |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৬৬০ ![]() |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৪৯ ৬১ |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ![]() |
নাগেশ্বরী উপজেলা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
নাগেশ্বরী বিলের নাম অনুযায়ী এই এলাকার নাম হয় নাগেশ্বরী। এই বিলের নামকরণ নিয়ে দুটি মত প্রচলিত আছে। কথিত আছে, নাগেশ্বরী বিলের তীরে অবস্থিত মন্দিরে দুর-দুরান্ত থেকে নাগা সন্ন্যাসীরা এসে পুজা দিত; এ থেকে এ বিলের নাম হয় নাগেশ্বরী। আবার কেউ কেউ মনে করেন, এ বিলে বিভিন্ন প্রজাতির নাগ বা সাপ যেমন- শীষ নাগ, কাল নাগ, পঙ্খীরাজ নাগ, দুধ নাগ ইত্যাদি থাকতো; তাই এ বিলের নাম নাগেশ্বরী। ৪১৫.৮০ বঃকিঃমি আয়তনের এই উপজেলার উত্তরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কুচবিহার জেলা, পূর্বে আসামের গোয়ালপাড়া জেলা, পশ্চিমে ফুলবাড়ী উপজেলা এবং দক্ষিণে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা অবস্থিত। এই উপজেলা ২৫ ডিগ্রি ৫১ উত্তর অক্ষাংশ ও ২৬ ডিগ্রি ০৪ দক্ষিণ অক্ষাংশে অবস্থিত এবং ৮৯ ডিগ্রি ০৬ ও ৮৯ ডিগ্রি ৫৩ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।
ঊনবিংশ শতকের প্রথম দশক পর্যন্ত ইংরেজরা স্বাধীন বঙ্গপুর দখল করার জন্য দীর্ঘদিন যুদ্ধ পরিচালনা করে। এ যুদ্ধ মোকাবেলা করার জন্য নবাব নুরুলদ্দীন বঙ্গপুর রাজ্য কে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে। ঊনবিংশ শতকের প্রথম দশকে রঙ্গপুর রাজ্যের পতন হয় এবং নাগেশ্বরী থানা এ দেশের ইংরেজ কর্তৃক অধিকৃত সর্বশেষ স্বাধীন থানা/এলাকা। লর্ড কর্ণ ওয়ালিশ কোড অনুযায়ী ইংরেজরা বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে পুলিশ স্টেসন স্থাপিত করলেও নাগেশ্বরী থানা স্থাপিত হয় ১৮১০ সালের কাছাকাছি সময়ে। উল্লেখ্য যে, ইংরেজরা এ উপজেলা দখল করার পর, নাগেশ্বরী থানাকে পয়ড়াডাঙ্গায় পূর্ণ প্রতিষ্ঠা না করে পয়ড়াডাঙ্গার তিন মাইল উত্তরে হলদিকুড়া ব্রিজের নিকট থানা স্থানান্তর করা হয়। এরশাদ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে থানাকে মান উন্নীত থানায় রূপান্তর করা হয়। এসব মান উন্নীত থানাকে পরবর্তীতে উপজেলা হিসেবে নামকরণ করা হয়। ১৪ এপ্রিল ১৯৮৪ সালে নাগেশ্বরী থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ[সম্পাদনা]
১৫ মাচ ১৯৭১ জনাব মোজাহার হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে নাগেশ্বরীতে থানা সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। তাদের নেতৃত্বে তৈরি করা হয় ১১০ টি বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা। ঐ দিন তারা তহশিল অফিস সংলগ্ন পাবলিক ক্লাবের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ২৮ নভেম্বর দক্ষিণ ব্যাপারী হাটে পাক সেনাদের সাথে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের সম্মলিত বাহিনীর যুদ্ধ হয়। ঐ দিন স্বাধীন হয় নাগেশ্বরী।
অবস্থান ও আয়তন[সম্পাদনা]
এই উপজেলাটি [২] বাংলাদেশের উত্তরে ও কুড়িগ্রাম জেলার উত্তরদিকে অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]
গ্রাম ৩৬৭ টি। সংসদীয় এলাকা: ১টি, নাম ও এলাকা- কুড়িগ্রাম - ১ (নাগেশ্বরী, ভুরুংগামারী)। পৌরসভা- নাগেশ্বরী পৌরসভা। ইউনিয়ন ১৪টি। ইউনিয়নগুলোর মধ্যে সন্তোষপুর ইউনিয়ন আয়তনে এবং জনসংখ্যায় বৃহত্তম ও বিখ্যাত।
ইউনিয়নের তালিকা-
- রামখানা ইউনিয়ন
- রায়গঞ্জ ইউনিয়ন
- সন্তোষপুর ইউনিয়ন
- বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন
- নেওয়াশী ইউনিয়ন
- হাসনাবাদ ইউনিয়ন
- ভিতরবন্দ ইউনিয়ন
- নুনখাওয়া ইউনিয়ন
- কালীগঞ্জ ইউনিয়ন
- বেরুবাড়ী ইউনিয়ন
- কেদার ইউনিয়ন
- কচাকাটা ইউনিয়ন
- বল্লভেরখাস ইউনিয়ন
- নারায়ণপুর ইউনিয়ন
নদ-নদী[সম্পাদনা]
এ উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমর, ফুলকুমর, ব্রহ্মপুত্র নদ, গঙ্গাধর, সংকোষ ও অসংখ্য গিড়াই নদী। তাছাড়া এ এলাকায় সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য জলাশয়। তার মধ্যে গোর্দ্ধার, নাগেশ্বরী, মসলিয়া, চতলা, ভোসতুলি, নকাইঝাড়, মাদারের কুড়া, দিঘীরপাড় বটগাছ, হাড়াগিলা, বড়মানি, ছোটমানি, মন্নেয়ারকুড়া, কুমড়িয়া, শিবেরহাট, ভেলকারদহ, ভেলাকোবা, শিতলয়া, শুটকিয়া, কালাপাঠের কুড়া, কাশিরডারা, সাতকুড়া, কালাপানি ও আসমিতা, অন্তাই, বোয়ালের ডারা, কোটলডাঙ্গা, ফুলকুড়া, নরশিংডাঙ্গা, রায়গঞ্জ খাসবিল, পয়ড়াডাঙ্গা, মতিরছড়া, লটবিল, সারিসুরি, বুড়িরছড়া, বাগডাঙ্গা, সতিবাড়ি, নাওডাঙ্গা, ধরকা, নিমকুর্শা, ছোটধানী, বড়ধানী ও মাধাইখাল বিল প্রভৃতি জলাশয় অন্যতম।
জনসংখ্যার উপাত্ত[সম্পাদনা]
মোট ৩,২২,৩৯৯ জন; পুরুষ ১,৬১,৮০০ জন ও মহিলা ১,৬০,৫৩৯ জন। (সুত্রঃ ২০০১ এর আদম শুমারী) মুসলমান ৩,০৫,০১১ জন।হিন্দু ১৬,৯২১ জন।বৌদ্ধ ৫৬ জন।খ্রিস্টান ১০১ জন।উপজাতি ১৪ জন ( কোচ) । প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৭৭৫ জন।জন্মের হার ১.৪৮ জন।মৃত্যুর হার ০.২৬ জন।
- জনসংখ্যা: মোট ৩২২৪৬০, পুরুষ- ১৬২৫৬০ জন, মহিলা- ১৫৯৯০০ জন
- ভোটার সংখ্যা: মোট- ২০২০৪৭ জন, পুরুষ- ১০২০০৬ জন, মহিলা- ১৪১০৪১ জন
শিক্ষা[সম্পাদনা]
- শিক্ষার হার: ৩০.২৯%
- কলেজ: ১২টি
- হাইস্কুল: ৫৬টি
- মাদ্রাসা: ৩৯টি
- সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৯৫টি
- বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: ৭৭টি
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
- পাকা রাস্তা: ৭২ কি. মি.
- কাচা রাস্তা: ১২৮০ কি. মি.
- মোট আবাদী জমি: ৭৫৫০০ একর
- অর্থকরী ফসল: ধান, পাট, গম প্রভৃতি
- শিল্প প্রতিষ্ঠান: নাই
কৃতী ব্যক্তিত্ব
মুফতি আব্দুল্লাহ (প্রতিষ্ঠাতা জামালুল কোরআন মাদরাসা।)
ধর্মীয় উপাসনালয়[সম্পাদনা]
- মসজিদ: ৬৫৭টি
- মন্দির: ১৬টি
দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]
- ভিতরবন্দ জমিদার বাড়ি
- মাধাইখাল কালী মন্দির
- দিঘীরপাড় বটগাছ
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "এক নজরে নাগেশ্বরী"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। জুন ২০১৪। ২৬ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ জেলা উন্নয়ন পরিক্রমা। ২০০১-২০০৫, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর, তথ্য মন্ত্রণালয়, ডিসেম্বর ২০০৫
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |