পার্বতীপুর উপজেলা
পার্বতীপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
![]() মানচিত্রে পার্বতীপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৩৯′১১.৮৮″ উত্তর ৮৮°৫৪′৫৫.৮০″ পূর্ব / ২৫.৬৫৩৩০০০° উত্তর ৮৮.৯১৫৫০০০° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | দিনাজপুর জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৯৫ বর্গকিমি (১৫৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৩,৬৫,১০৩ |
• জনঘনত্ব | ৯২০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৩.৯% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫২৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ২৭ ৭৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট ![]() |
পার্বতীপুর উপজেলা বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের অন্তর্গত দিনাজপুর জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
নামকরণ
[সম্পাদনা]ইতিহাসে জানা গেছে যে, পার্বতীপুরের খোলাহাটির নিকটে ফকির বাজার ফুটবল মাঠ সংলগ্ন উত্তরে কিচন বা কিচক [২] নামে এক রাজার গড় বা বিলাসকেন্দ্র ছিল । রাজার অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে ছিল যার নাম পায়রাবতী । পায়রাবতী বাল্যবিধবা ছিল । গড়ের অনতিদুরে দুর্বৃত্ত কর্তৃক অপহুত হবার পর তার শ্লীলতাহানী হয় । অতপর পায়রাবতী খোলাহাটি পার্বতীপুর রেললাইন সংলগ্ন কাসাহার নামে অবস্থিত দিঘির জলে আত্নহত্যা করে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে এ স্থানের নাম পায়রাবতীপুর হয় । যা পরবর্তীতে পার্ব্বতীপুর হিসেবে ও বর্তমানে পরিবর্তিত হয়ে পার্বতীপুর হয়। [৩]
ইতিহাস ও ঐতিহ্য
[সম্পাদনা]পার্বতীপুর পূর্বে রংপুর জেলার হাবড়া থানার অন্তর্গত ছিল। পরবর্তীতে ১৮০০ সালে হাবড়া থানা বিলুপ্ত করে পার্বতীপুর থানা সৃষ্টি করে রংপুর থেকে দিনাজপুর জেলায় স্থানান্তর করা হয় এবং পার্বতীপুর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় ভারত থেকে অনেক অবাঙ্গালী মানুষ পার্বতীপুরে এসে বসতি গড়ে তোলে। পাকিস্তান আমলে এই জনগোষ্ঠী আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র নানা ভাবে এই শহরে ধ্বংস যজ্ঞ চালায় এবং শহরে অবস্থিত সকল ঘর-বাড়ী, দোকান পাঠ, ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ৯ মাস যুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের কিছুদিন পরেই পার্বতীপুর পৌরসভার জন্ম হয়। প্রথমের দিকে ছিলো ৩য় শ্রেনীর পৌরসভা হিসাবে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ ইং সালে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে পৌরসভাকে ২য় শ্রেনীতে উন্নিত করা হয়।[৪]
এ উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে নানা ঐতিহ্য; যেমন হরিরামপুর ঢিবি, হীরাজিরার ভিটা, রামপুর ইউনিয়নের ফকির বাজার সংলগ্ন কিচন রাজার গড় ও মনমথপুর ইউনিয়নের দেওলের গড় বা পঞ্চরত্ন এছাড়াও হাবড়া ঐতাহাসিক প্রসিদ্ধ স্থান। এই উপজেলার তীর্থস্থান হিসেবে প্রতি বছর খোলাহাটির করতোয়া নদীর তীরে পালিত হয় চৈত্র্ সংক্রামিত্মতে বারনী পুঁজা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে রেলপথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হলো এই পার্বতীপুর। এখানে স্থাপিত হয়েছে চর্তুমুখী রেলপথ। এজন্য এটি অন্যতম বৃহত্তর রেলওয়ে জংশন ও কারখানার গৌরব এবং খনিজ সম্পদে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় উপজেলা।[৫]
অবস্থান ও আয়তন
[সম্পাদনা]পার্বতীপুর উপজেলার আয়তন ৩৯৫.১০ বর্গ কিলোমিটার। ২৫°১০´ থেকে ২৫°৪৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৪৯´ থেকে ৮৯°০৬´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে পার্বতীপুর উপজেলার অবস্থান। দিনাজপুর জেলা সদর থেকে এ উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার এবং রংপুর থেকে ৩৯ কিলোমিটার । এ উপজেলার উত্তরে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা, দক্ষিণে ফুলবাড়ী উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে চিরিরবন্দর উপজেলা।
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পার্বতীপুর উপজেলার মোট জনসংখ্যা ৩,৬৫,১০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৮৩,৭৭২ জন এবং মহিলা ১,৮১,৩৩১ জন। মোট পরিবার ৮৮,৭২৫টি।[৬]
প্রশাসনিক এলাকা
[সম্পাদনা]পার্বতীপুর থানা গঠিত হয় ১৮০০ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। এ উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন রয়েছে।
- বেলাইচন্ডি ইউনিয়ন
- মন্মথপুর ইউনিয়ন
- রামপুর ইউনিয়ন
- পলাশবাড়ী ইউনিয়ন
- চন্ডিপুর ইউনিয়ন
- মোমিনপুর ইউনিয়ন
- মোস্তফাপুর ইউনিয়ন
- হাবড়া ইউনিয়ন
- হামিদপুর ইউনিয়ন
- হরিরামপুর ইউনিয়ন
শিক্ষা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী পার্বতীপুর উপজেলার শিক্ষার হার ৫৩.৯% (পুরুষ ৫৬.৫%, মহিলা ৫১.২%)। এ উপজেলায় ১১টি কলেজ, ৬০টি উচ্চবিদ্যালয়, ৮১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৫টি মাদ্রাসা, ১টি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ২৪টি স্যাটেলাইট বিদ্যালয়, ১১টি কমিউনিটি বিদ্যালয়, ১টি বিএড কলেজ রয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]- কলেজ
- পার্বতীপুর আদর্শ কলেজ
- মন্মথপুর আইডিয়াল ডিগ্রি কলেজ
- ভবানীপুর ডিগ্রী কলেজ
- খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজ
- পার্বতীপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ
- আমবাড়ি ডিগ্ৰী কলেজ
- বিদ্যালয়
- জ্ঞানাঙ্কুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৫)
- হাবড়া উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৪২)
- নুরুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৫১)
- নূরুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৫)
- খলিলপুর হাজী ছানাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৭)
- ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়
- মনিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
- আব্দুস শফি মেমোরিয়াল হাই স্কুল
- মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়
- পার্বতীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৪)
- পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়
- মাদ্রাসা
- জুড়াই ফাজিল মাদ্রাসা (১৯৫২)
- ভবানীপুর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা (১৯৭২)
স্বাস্থ্য
[সম্পাদনা]পার্বতীপুর উপজেলায় ১টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২টি বেসরকারি হাসপাতাল, ১০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, ২টি এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]মানুষের প্রধান পেশা কৃষি হলেও বর্তমানে মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, চাকরি ইত্যাদি পেশায় যুক্ত। প্রধান প্রধান ফসল ধান, গম, পাট, রাই-সরিষা, আলু, ইক্ষু ও ভুট্টা। এছাড়া ফলের মধ্যে আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেপে উৎপন্ন হয়। রফতানী যোগ্য পন্য বলতে ধান, চাল, পাট ও আলু।ব্যবসা-বাণিজ্য বলতে ধান, চাল, চামড়া ও আলু ইত্যাদি ফসল আছে। পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মধ্যপাড়া কঠিন শিলা প্রকল্প, পেট্রোবাংলার ডিজেল হেড ডিপো, রেলওয়ের কেন্দ্রীয় ইঞ্জিন কারখানা।[৭] এছাড়াও আছে পলাশবাড়ী, হরিরামপুর, হামিদপুর ও হাবড়া ইউনিয়নে ১৯২৪.৪৯ একর বনজ সম্পদে ভরপুর।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]দিনাজপুর জেলা সদরের সাথে পার্বতীপুর উপজেলায় প্রধান যোগাযোগ ব্যবস্থা রেল ও সড়ক পথের মাধ্যমে। রেল ও সড়ক পথে ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে পার্বতীপুর উপজেলার। রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৫ কিলোমিটার, পাকা রাস্তা ১১২ কিলোমিটার, আধাপাকা রাস্তা ২৬ কিলোমিটার, কাঁচা রাস্তা ৬৭৫ কিলোমিটার। রেল স্টেশনের সংখ্যা ৫টি – বেলাইচন্ডি, মন্মথপুর, খোলাহাটি, পার্বতীপুর ও ভবানীপুর।
ধর্মীয় উপাসনালয়
[সম্পাদনা]পার্বতীপুর উপজেলায় ৪৫০টি মসজিদ, ১টি বৌদ্ধ বিহার (প্যাগোডা), ৪২টি মন্দির ও ১টি গীর্জা রয়েছে।
নদ-নদী
[সম্পাদনা]পার্বতীপুরে ছয়টি নদী রয়েছে। নদী ছয়টি হচ্ছে খড়খড়িয়া নদী, ছোট যমুনা নদী, চিরনাই নদী, নলশিশা নদী এবং ইছামতি নদী (দিনাজপুর), করতোয়া নদী। [৮] এই নদীর মধ্যে খড়খড়িয়া বা তিলাই নদী পার্বতীপুর শহরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীর উপর একটি রেল ও আরেকটি সড়ক সেতু আছে;[৮] যা পার্বতীপুর-দিনাজপুর এরমধ্যে যোগাযগ স্থাপনের সহজ করেছে। এই নদীতে জোয়ারভাটার প্রভাব নেই।
ছোট যমুনা নদী পার্বতীপুর উপজেলার বড় চণ্ডীপুর বিল হতে উৎপত্তি হয়।[৮] পার্বতীপুর উপজেলায় বগুড়া সেচ প্রকল্প নামে একটি ক্যানেল আছে, যা জমি সেচের জন্য তৈরি হয়েছে ।[৯] ধলবাড়ি বিল এই উপজেলায় অবস্থিত। ৬ নং মোমিনপুর ইউনিয়নের, হোসেনপুর গ্রামে বালাহার নামে একটা বিল আছে। নল বিল নামে একটি বিল আছে হাবড়া ইউনিয়ানের পশ্চিমে সংকরপুর গ্রামের পাশে।
হাটবাজার
[সম্পাদনা]পার্বতীপুর উপজেলায় ৪টি বাজার ও ২৩টি হাট রয়েছে।
- উল্লেখযোগ্য হাট
- হাবড়া হাট
- পার্বতীপুর বুড়া হাট
- যশাই হাট
- কারেন্টের হাট
- খয়েরপুকুর হাট
- ডাঙ্গারহাট
- চক বাজার হাট
- আমবাড়ী হাট
- বেনির হাট
- বসির বানিয়ার হাট
- জমিরহাট
- উল্লেখযোগ্য বাজার
- পার্বতীপুর নতুন বাজার
- পার্বতীপুর পুরাতন বাজার
- আমবাড়ী বাজার
- খোলাহাটি বাজার
- ভবের বাজার
- ফকির বাজার
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী
[সম্পাদনা]- দৈনিক: মানব বার্তা
- সাপ্তাহিক: দিনাজপুরের কাগজ
প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ
[সম্পাদনা]পার্বতীপুর উপজেলার প্রাচীন নিদর্শনাদির মধ্যে রয়েছে:
- হাবড়া জমিদার বাড়ি (১৮০০ শতকে নির্মিত)
- চীনামাটির ছাদবিশিষ্ট মসজিদ (১৯০০ শতকে নির্মিত)
- সিংগীমারীর ভাঙ্গা মসজিদ
মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি
[সম্পাদনা]১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল খোলাহাটি ও বদরগঞ্জ রেল লাইনের দক্ষিণে রামকৃষ্ণপুর, বাগবাড় ও পেয়াদাপাড়ায় পাকসেনারা ৩০০ লোককে হত্যা করে এবং ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন
- ১টি গণকবর (রহমতনগর); তিনজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে ইব্রাহিম নগর, আববাস নগর ও মোজাফফর নগরের নামকরণ হয়।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- মনিরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের চীনাছাদ বিশিষ্ট মসজিদ
- মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি
- উত্তর পশ্চিম মৎস্য সম্প্রসারণ প্রকল্প
- বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি
- পার্বতীপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশন
- বীর উত্তম শহীদ মাহবুব সেনানিবাস
- বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক
বিদ্যুৎ কেন্দ্র
- বাংলাদেশ রেলওয়ের কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা,রেলওয়ে ওয়ার্কসপ, লোকোশেড
- ল্যাম্ব হাসপাতাল
- রেলহেড অয়েল ডিপো
- ভবানীপুর ইসলামিয়া কামিল-মাস্টার্স মাদরাসা
স্থাপনা
[সম্পাদনা]- পার্বতীপুর লোকোমোটিভ কারখানা
- রেলওয়ে ডিজেল কারখানা ও রেলহেড ওয়েল ডিপো।
- ল্যাম্ব হাসপাতাল
- সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ৩২ টি গ্রামীণ ক্লাব, ১ টি পাবলিক লাইব্রেরি, ১ টি মহিলা সংগঠন, ২ টি নাট্যমঞ্চ, ৭ টি নাট্যদল, ২ টি সাহিত্য সংগঠন ও ১ টি সার্কাস দল।
- সরকারী হাসপাতাল : ২টি
- স্বাস্থ্য কেন্দ্র/ক্লিনিক : ১০টি
- পোষ্ট অফিস : ১৭টি
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
[সম্পাদনা]- মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার – রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী
- আব্দুল হক – রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য
- শওকত আলী (আইনজীবী) – রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য
- মোহাম্মদ সোয়াইব – আইনজীবী ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য
- জাম্বু – অভিনেতা
- এ জেড এম রেজওয়ানুল হক – রাজনীতিবিদ ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য
- সৈয়দ আবদুস সামাদ (জন্ম:ডিসেম্বর ৬, ১৮৯৫ - মৃত্যু: ফেব্রুয়ারি ২, ১৯৬৪,পার্বতীপুরে) এই ভারত উপমহাদেশের ফুটবল যাদুকর হিসেবে খ্যাত
- মোহাম্মদ আব্দুল্লাহেল কাফী (১৯০০ - ৪ জুন ১৯৬০] ছিলেন একজন ইসলামি পণ্ডিত, বাঙালি রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, লেখক। সমাজসেবক হিসেবে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা ও ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রবন্ধ ও গবেষণার জন্য ১৯৬০ সালে তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন।)
- মুহাম্মদ আবদুল বারি (বাংলাদেশের ইসলামী পণ্ডিত, লেখক ও শিক্ষাবিদ। তিনি এম এ বারী নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও দুই মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তিনিই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য। এছাড়াও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তিনি দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও জ্ঞানের জগতকে সমৃদ্ধ করতে অবদান রেখেছেন।)
- হাজী মোহাম্মদ দানেশ (অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের একজন কৃষক নেতা যিনি ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাকে তেভাগা আন্দোলনের 'জনক' হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা। তিনি পূর্ব বাঙ্গলার কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তার নামে প্রতিষ্ঠিত দিনাজপুরের কৃষি কলেজ ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-এ উন্নীত হয়।)
- লিটন দাস
- মেহেদী হাসান (একজন ক্ষুদ্র লেখক এবং কবি। তিনি পার্বতীপুর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ফকির বাজারে জন্মগ্রহণ করেন।)
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
পার্বতীপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে শহীদ মিনার।
-
পার্বতীপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনের লাইনগুলোর দৃশ্য।
-
পার্বতীপুর উপজেলা বাস টার্মিনাল।
-
পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত পার্বতীপুর ডিগ্রি কলেজ।
-
পার্বতীপুর উপজেলায় মন্মথপুর রেলওয়ে স্টেশন ভবন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে পার্বতীপুর"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ https://www.dailyjanakantha.com/national/news/103699
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০২২।
- ↑ "এক নজরে পার্বতীপুর পৌরসভা"। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "এক নজরে পার্বতীপুর"। ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১০, ২০২০।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;ইউনিয়ন পরিসংখ্যান
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার দাবিতে পার্বতীপুর কল্যাণ সংস্থার মানববন্ধন"। কালের কণ্ঠ। ঢাকা। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ গ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫।
- ↑ "তিস্তা ক্যানেলের পাড় কেটে জমি!"। দৈনিক ইনকিলাব। ঢাকা। ১৮ জানুয়ারি ২০১৮। ১৪ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |