সিলেট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৪′ উত্তর ৯১°৫২′ পূর্ব / ২৪.৯০০° উত্তর ৯১.৮৬৭° পূর্ব / 24.900; 91.867
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সর্বশেষ সম্পাদিত পরিবর্তন প্রত্যাখ্যান (Shah Md. Minhajur Rahman কর্তৃক) ও Tahsin Ahnav-এর করা 4071014 নং সংশোধন পুনরুদ্ধার
Naee871 (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৭৭ নং লাইন: ১৭৭ নং লাইন:
* [[সালমান শাহ]]
* [[সালমান শাহ]]
* [[আল্লামা মুশাহিদ আহমদ বায়ামপুরী]]
* [[আল্লামা মুশাহিদ আহমদ বায়ামপুরী]]
* আল্লামা [[আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী]]
* [[আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী]]


==গ্যালারি==
==গ্যালারি==

০৪:২২, ১৯ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সিলেট (ꠍꠤꠟꠦꠐ)
মহানগরী
সিলেট (ꠍꠤꠟꠦꠐ) অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৪′ উত্তর ৯১°৫২′ পূর্ব / ২৪.৯০০° উত্তর ৯১.৮৬৭° পূর্ব / 24.900; 91.867
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসিলেট জেলা
মহানগরী৩১ মার্চ ২০০৯[১]
সিটি কর্পোরেশন৯ এপ্রিল ২০০১
পৌর শহর১৮৬৭
সরকার
 • ধরনমেয়র - কাউন্সিলর
 • শাসকসিলেট সিটি কর্পোরেশন
 • মেয়রআরিফুল হক চৌধুরী
আয়তন
 • মোট৪১.৮৫ বর্গকিমি (১৬.১৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[২]
 • মোট৫,৩১,৬৬৩
সময় অঞ্চলBST (ইউটিসি+6)
পোস্ট কোড৩১০০
ওয়েবসাইটঅফিসিয়াল ওয়েবসাইট

সিলেট উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের একটি প্রধান শহর, একই সাথে এই শহরটি সিলেট বিভাগের বিভাগীয় শহর। এটি সিলেট জেলার অন্তর্গত। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকাই মূলত সিলেট শহর হিসেবে পরিচিত। সিলেট ২০০৯ সালের মার্চ মাসে একটি মেট্রোপলিটন শহরের মর্যাদা লাভ করে।[১] সুরমা নদীর তীরবর্তী এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপুর্ণ শহর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত এ শহরটি দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত। সিলেট অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সকল অর্থমন্ত্রী ছিলেন সিলেটি। শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক ভাবে সিলেট দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ধনী জেলা। জৈন্তিয়া পাহাড়ের অপরূপ দৃশ্য, জাফলং এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য, ভোলাগঞ্জের সারি সারি পাথরের স্তূপ, বিছনাকান্দির স্বচ্ছ জলরাশি পর্যটকদের টেনে আনে বার বার। এ শহরের বিশাল সংখ্যক লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। [৩] সিলেটের পাথর, বালুর গুণগতমান দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এখানকার প্রাকৃতিক গ্যাস সারা দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করে থাকে [৩]স্বাধীনতা যুদ্ধে এ জেলার ভূমিকা অপরিসীম। জেনারেল এম,এ,জি ওসমানী এ জেলারই কৃতী সন্তান। হযরত শাহজালাল (র:)হযরত শাহ পরান এর পবিত্র মাজার শরীফ এ জেলায় অবস্থিত। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ লোক মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আগমন করে। আসে বিপুল সংখ্যক পর্যটক। সিলেট এর স্থানীয় ভাষা ‘‘সিলটি ভাষা’’র একটি বিশেষত্ব রয়েছে যা অন্য অঞ্চল থেকে আলাদা। এ ছাড়া নাগরী বর্ণমালা নামে সিলেটের নিজস্ব বর্ণমালা ও রয়েছে। শীত মৌসুমে সিলেটের হাওর গুলো ভরে ওঠে অতিথি পাখির কলরবে।

নামকরণ

এ বিষয়ে শোনা কিংবদন্তীতুল্য একটা কাহিনী হচ্ছে, হযরত শাহজালাল যখন শ্রীহট্টের দিকে আগমন করেন তখন তৎকালীন হিন্দু রাজা গৌড়গোবিন্দ তার আগমন থামাতে শ্রীহট্ট সীমান্তে তার কথিত জাদু ক্ষমতার দ্বারা পাথরের দেয়াল বা পাহাড়ের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। হযরত শাহজালালও তার অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে ‘শিল হট্’ বলতেই সেই শিল বা পাথরের প্রতিবন্ধক হটে যায় বা অপসারিত হয়। এ থেকেই এই ভূমির অন্য নাম হয়েছে শিল-হট থেকে সিলেট।[১] বরং ব্রিটিশ আমলেই এই সিলেট শব্দটির সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করি। পুরনো কাগজপত্রে বাংলায় শ্রীহট্ট হিসেবে লেখা হলেও ভারতের সরকারি নথিপত্রে যেমন আসাম গেজেটিয়ারে (Assam District Gazetteers) বা অন্যত্র শ্রীহট্টকে ইংরেজিতেই প্রথম ‘সিলহেট’ (Sylhet) হিসেবে উদ্ধৃত হতে দেখা যায়। তৎকালীন ভারতবর্ষে শাসক হিসেবে আধিপত্যকারী ব্রিটিশদের নিজস্ব ইংরেজি উচ্চারণে অন্য অনেক বাংলা যুক্তশব্দের বিবর্তন প্রক্রিয়ার মতোই ‘শ্রীহট্ট’ শব্দটিও যে ভিন্নমাত্রিক ‘সিলহেট’ শব্দে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান ‘সিলেট’-এ রূপান্তরিত হয়েছে, এই ব্যাখ্যাই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়। আর শ্রীহট্ট নামের উৎস নিয়েও রয়েছে ব্যাপক অস্পষ্টতা। এর সাথে হিন্দু পৌরাণিক মিথের প্রভাব জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী শ্রী শ্রী হাটকেশ্বর হচ্ছে মহাদেব শিবের বহু নামের অন্যতম। তৎকালীন গৌড় (শ্রীহট্ট) রাজাদের কর্তৃক পুজিত শ্রী হাটকেশ্বরই শ্রীহট্ট নামের উৎস বলে অনেকে মনে করেন।[৪]

ইতিহাস

ইতিহাসবিদেরা বলেন, বহুযুগ ধরে সিলেট একটি বাণিজ্যিক শহর হিসেবে প্রচলিত আছে। ধারণা করা হয়ে থাকে যে "হরিকেলা রাজত্বের" মুল ভুখণ্ড ছিল এই সিলেট। ১৪'শ শতকের দিকে এই অঞ্চলে ইসলামি প্রভাব দেখা যায় সূফী দার্শনিকদের আগমনের মাধ্যমে। ১৩০৩ সালে কালৈতিহাসিক মুসলিম ধর্মপ্রচারক হযরত শাহ জালাল রহ.-এর আবির্ভাব ঘটে এই সময়ে। তিনি মক্কা থেকে দিল্লিঢাকা হয়ে এই এলাকায় আসেন। তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রভাবে ও তার অনুসারী ৩৬০ জনের মাধ্যমে আরো অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। পরবর্তীতে তা দেশের অন্যত্র ও ছড়িয়ে পড়ে। তার দরগাহ সিলেটের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।একসময় তার নামানুসারে এ অঞ্চল জালালাবাদ নামে পরিচিত হয় । হযরত শাহ্ পরান ও শাহ্ কামাল কাহাফানের সান্নিধ্যে এসেও অনেকে বৌদ্ধহিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এর শাসনামলে ইন্ডিয়ান লস্করেরা এই এলাকায় তাঁবেদারি শাসন চালাতো।[৫] ১৭৭৮ সালে রবার্ট লিন্ডসে কে সিলেটের দায়ভার দেয়া হয়। তবে তখনকার স্থানীয় সিলেটিরা তাকে ভালোভাবে নেয় নি। ১৭৮১ সালে এই এলাকায় একটি বড় ধরনের বন্যা হয়েছিল। এতে অসংখ্য ফসল ও পাখি মারা যায়। স্থানীয়রা এজন্য ব্রিটিশ দের দায়ী করে। এই আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ হাদী ও সৈয়দ মাহাদী (পীরজাদা নামে পরিচিত)। লিন্ডসের সাথে তখন তাদের যুদ্ধ সংঘটিত হয় যাতে প্রচুর ভারতীয় তস্কর অংশ নেয়। ফলস্রুতিতে অনেকেই সিলেট ছেড়ে লন্ডনে চলে যায় ও বসতি গড়ে তোলে। ব্রিটিশ শাসনের সময় আসাম ও সিলেট একত্রিত হয়ে আসামের অংশ ছিল। পরবর্তীতে ভারতপাকিস্তান আলাদা দেশ গঠনের সময় আসাম ও সিলেট আলাদা হয়ে যায়। ১৯৭১-এর যুদ্ধে জয়লাভের পর এটি পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ-এর ভূখণ্ডে পড়ে।[৬]

ভূগোল

সিলেট বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার সিলেট সদর উপজেলায়, ২৪°৫৩′৩০″ উত্তর ৯১°৫৩′০০″ পূর্ব / ২৪.৮৯১৭° উত্তর ৯১.৮৮৩৩° পূর্ব / 24.8917; 91.8833 দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী সিলেটে সাধারণত বাংলাদেশ গ্রীষ্মমন্ডলীয় বর্ষা জলবায়ু (কোপ্পেন এএম) বিরাজমান, যা এর উচ্চতার কারণে আর্দ্র উষ্ণমঞ্চলীয় জলবায়ু (সিডব্লিউএ) এর সাথে সীমাবদ্ধ। এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এখানে বর্ষাকাল, যার ফলে প্রায় প্রতিদিন প্রচণ্ড ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়বাতাস সহ আবহাওয়া গরম এবং আর্দ্র থাকে, যদিও নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বল্প শুকনো মৌসুম খুব উষ্ণ এবং আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার থাকে। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের ৪,২০০ মিলিমিটার (১৭০ ইঞ্চি) এবং ৮০% বৃষ্টিপাত হয় মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসে।[৭]

সিলেট, বাংলাদেশ-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ২৫.২
(৭৭.৪)
২৭.১
(৮০.৮)
৩০.৪
(৮৬.৭)
৩০.৮
(৮৭.৪)
৩০.৮
(৮৭.৪)
৩০.৯
(৮৭.৬)
৩০.৯
(৮৭.৬)
৩১.৬
(৮৮.৯)
৩১.২
(৮৮.২)
৩০.৯
(৮৭.৬)
২৯.২
(৮৪.৬)
২৬.৩
(৭৯.৩)
২৯.৬
(৮৫.৩)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ১২.৯
(৫৫.২)
১৪.২
(৫৭.৬)
১৮.১
(৬৪.৬)
২০.৮
(৬৯.৪)
২২.৬
(৭২.৭)
২৪.৪
(৭৫.৯)
২৪.৯
(৭৬.৮)
২৫.০
(৭৭.০)
২৪.৩
(৭৫.৭)
২২.৫
(৭২.৫)
১৮.৪
(৬৫.১)
১৪.০
(৫৭.২)
২০.২
(৬৮.৪)
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি)
(০.৩)
৩১
(১.২)
১৪৬
(৫.৭)
৩৭২
(১৪.৬)
৫৬৯
(২২.৪)
৭৯৬
(৩১.৩)
৮৩৪
(৩২.৮)
৬২১
(২৪.৪)
৫৪৮
(২১.৬)
২৩২
(৯.১)
৩০
(১.২)
১৩
(০.৫)
৪,২০০
(১৬৫.১)
উৎস: WMO[৮]

জনসংখ্যা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী সিলেট মহানগরের জনসংখ্যা ছিল ৫৩১,৬৬৩ জন[২] (সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনসংখ্যা ছিল ৪৭৯৮৩৭ জন), যা জাতীয় মোট জনসংখ্যার ২.২৫%। এর মধ্যে ২৮৫,৮৯২ জন পুরুষ এবং ২৪৫,৮২১ জন নারী। নারী ও পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০:১১৬, যেখানে জাতীয় লিঙ্গ অনুপাত হল ১০০.৩ এবং জাতীয় শহুরে লিঙ্গ অনুপাত হল ১০৯.৩।[৯] ২০১১ সালে তথ্য অনুযায়ী স্বাক্ষরতার হার ৬৭.৬%, যেখানে জাতীয় শহুরে স্বাক্ষরতার হার ৬৬.৪% এর চেয়ে বেশি। সিলেট শহরে ১০৬,১০৭টি খানা বা পরিবার রয়েছে।[২]

শহরের জনংখ্যার ৮৭.৭৭% মুসলমান, ১২.৬৩% হিন্দু, ০.০৯% খ্রিস্টান, ০.০৬% বৌদ্ধ এবং ০.০৭% অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। বাংলাদেশ ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র হওয়ায় এখানে নাস্তিক বা ধর্মহীনদের কোন পরিসংখ্যানগত তথ্য নেই।

সরকার ও রাজনীতি

সিলেট মহানগরী সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক শাসিত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড ও ২৩৬টি মহল্লায় বিভক্ত। সিটি কর্পোরশেন এলাকার আয়তন ২৬·৫০ বর্গ কিলোমিটার। ২০০১ সালের ৯ এপ্রিল সিলেট শহরকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অধীন করা হয়। সিলেট শহর হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটের বিভাগীয় শহর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশন মূলত সিলেট শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাস্তা নির্মাণ, ট্রাফিক পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ, নিবন্ধনসহ আরো অনেক কাজে সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। কর্পোরেশনের মেয়র ও ২২জন কমিশনার পুরো শহরের সব ধরনের উন্নয়নের কাজ করে থাকেন।[৫]

শিক্ষা

শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। এ শহরে স্বাক্ষরতার হার প্রায় ৬৭.৬%। এখানে রয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত মুরারিচাঁদ কলেজ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রদানের জন্য সরকারি বেসরকারি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সরকারি অগ্রগামী বালিকা বিদ্যালয় অন্যতম। উচ্চ মাধ্যমিক এবং অনার্স স্তরের জন্য এখানে রয়েছে সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সহ আরও অনেক কলেজ এবং মাদ্রাসা। উচ্চতর শিক্ষার জন্য রয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

যাতায়াত

ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সিলেটে যাওয়া আসা করে ৩টা (পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন) ট্রেন। এবং সিলেট থেকে প্রতিদিন যাওয়া আসা করে ১টি (কালনী) ট্রেন। ট্রেনের ভাড়া প্রকারভেদে ২৬৫ টাকা থেকে ২৬০০ টাকা পর্যন্ত। আর সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা। এছাড়া বাসেও যাওয়া যাবে। এর মধ্যে শ্যামলি, হানিফ, ইউনিক, এনা, গ্রীন লাইন উল্লেখযোগ্য। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রতিদিন ঢাকা- সিলেট রুটে বিমান, ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেট থেকে প্রতিদিন যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে। ফ্লাই দুবাই প্রতিদিন (দুবাই-সিলেট-দুবাই) রুটে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। TAC Aviation এই বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই এয়ারপোর্ট থেকে সেনা প্যারাট্রুপার প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে।

খেলাধুলা

বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটে বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলা যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, বিলিয়ার্ড, টেবিল টেনিস, অ্যাথলেটিক্স, সকার, দাবা, বাস্কেটবল, হকি, কাবাডি, ভলিবল ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে। বর্তমানে দেশী খেলার চেয়ে ক্রিকেট খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট সিক্সার্স এখানে অবস্থিত, যা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে (এম এ জি ওসমানী স্টেডিয়াম) তাদের ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। এটি ২০০৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এর ধারন ক্ষমতা ১৮,৫০০। ২০১৪ সালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি নতুন করে সংস্কার করা হয়েছিল বিশেষত ২০১৪ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি আয়োজন করার জন্য। এটি শহরের বাইরে সবুজ চা বাগানের কাছাকাছি অবস্থিত। সিলেট বিভাগ ক্রিকেট দল জাতীয় ক্রিকেট লীগে বিজয়ী হতে না পারলেও ২০০১-০২ সেশনে জাতীয় ক্রিকেট লীগ ওয়ানডেতে শিরোপা জিতেছিল। সিলেটের উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটার, যারা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজিন সালেহ, এনামুল হক জুনিয়র, তাপস বৈশ্য, এবং অলোক কাপালি। সিলেটের দাবা খেলোয়াড় রানী হামিদ ১৯৮৫ সালে ফিদে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার খেতাব পান।

সিলেট জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম হচ্ছে শহরের দ্বিতীয় প্রধান স্টেডিয়াম। ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।[১]

দর্শনীয় স্থানসমূহ

সিলেট শহরে হযরত শাহজালালের [রহ.] মাজার
ক্বীন ব্রীজ এবং আলী আমজদের ঘড়ি

সিলেট শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানসমূহ হলো:[১০]

বিখ্যাত ব্যক্তি

গ্যালারি

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "অফিসিয়াল ওয়েবসাইট"
  2. "Sylhet City Corporation"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ২৭৭। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৯ 
  3. "সিলেট জেলা তথ্য বাতায়ন" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ মে ২০১৩ তারিখে,
  4. "সিলেটের আদি নাম শ্রীহট্ট ছিল কেন ? শ্রীহট্ট থেকে সিলেট কিভাবে হলো ?"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৬ 
  5. "সিলেট জেলার ঐতিহ্য"। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  6. "সিলেটের প্রাচীন ইতিহাস"দৈনিক সিলেটের ডাক। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  7. Monthly Averages for Sylhet, BGD ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জুলাই ২০১৯ তারিখে MSN Weather. Retrieved 25 May 2009.
  8. "Climatological Information"। WMO। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৫ 
  9. "BANGLADESH URBAN CENSUS RESULTS AT A GLANCE"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৩: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা x। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৯ 
  10. সিলেটের শহরের ভেতরে ঘুরাঘুরির জায়গা গুলোর নাম এবং যাতায়াত ব্যবস্থা

বহিঃসংযোগ

  • উইকিভ্রমণ থেকে সিলেট ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।
  1. "Population and Housing Census 2011 - Volume 3: Urban Area Report" [জনসংখ্যা ও গৃহগণনা ২০১১ - খণ্ড ৩: নগর অঞ্চলের প্রতিবেদন] (পিডিএফ)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। আগস্ট ২০১৪।