ঝালকাঠি
ঝালকাঠি পূর্বনাম:মহারাজগঞ্জ | |
---|---|
শহর ও জেলা সদর | |
বাংলাদেশে ঝালকাঠি শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৮′২৭″ উত্তর ৯০°১১′৫৬″ পূর্ব / ২২.৬৪০৮৯৩° উত্তর ৯০.১৯৮৮০৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | ঝালকাঠি জেলা |
উপজেলা | ঝালকাঠি সদর উপজেলা |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | ঝালকাঠি পৌরসভা |
• পৌরমেয়র | লিয়াকত আলী তালুকদার[১] |
আয়তন | |
• মোট | ১৮.৪০ বর্গকিমি (৭.১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ৫৪,৯০৪ |
• জনঘনত্ব | ৩,০০০/বর্গকিমি (৭,৭০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বাংলাদেশ সময় (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮৪০০ |
ঝালকাঠি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর ও নদী বন্দর। শহরটি দক্ষিণবঙ্গের বরিশাল বিভাগে অবস্থিত ঝালকাঠি জেলার জেলা শহর। শহরটি ঝালকাঠি জেলার সবচেয়ে বড় শহর এবং বাণিজ্য কেন্দ্র। প্রশাসনিকভাবে শহরটি ঝালকাঠি জেলা এবং ঝালকাঠি সদর উপজেলার সদর দফতর। সুগন্ধা নদীর উত্তর তীরে এবং গাবখান খাল ও ধানসিঁড়ি নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত এ শহরটি প্রাচীনকাল হতেই ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত।
বর্তমান সময়ে জেলাটি পেয়ারা ও শীতল পাটির জন্য বেশ প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৭৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ঝালকাঠি শহরের পরিচালনার জন্য ঝালকাঠি পৌরসভা স্থাপিত হলে এ শহর পৌরশহরের মর্যাদা লাভ করে। পৌর শহরটি থানা সদরের স্বীকৃতি পায় ১৯০০ সালে। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ জেলা হিসেবে ঝালকাঠি জেলা প্রতিষ্ঠিত হলে ঝালকাঠি শহরকে জেলা শহরের মর্যাদা দেওয়া হয়।[২][৩]
ভৌগোলিক উপাত্ত
[সম্পাদনা]শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°৩৮′২৭″ উত্তর ৯০°১১′৫৬″ পূর্ব / ২২.৬৪০৮৯৩° উত্তর ৯০.১৯৮৮০৩° পূর্ব। সমুদ্র সমতল থেকে শহরটির গড় উচ্চতা ১১ মিটার। ঝালকাঠী শহর ঢাকা থেকে ১৯৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং বরিশাল বিভাগীয় শহর থেকে ২০ কি.মি. পশ্চিমে সুগন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত। সুগন্ধা নদী থেকে বাসন্ডা খাল নামে একটি শাখা নদী উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে শহরকে দু'ভাগে বিভক্ত করেছে। শহরের ভিতরে আরও ১২টি খাল প্রবহমান রয়েছে।
প্রশাসন
[সম্পাদনা]১৯৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভা গঠিত হয় যা ৯টি ওয়ার্ড এবং ৪৭টি মহল্লায় বিভক্ত । প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ঝালকাঠি পৌরসভা ‘গ’ শ্রেনীভুক্ত হলেও বর্তমানে ‘ক’ শ্রেনীতে উন্নীত হয়েছে। ১৮.৪০ বর্গ কি.মি. আয়তনের ঝালকাঠি শহরের ১৬.১৩ কি.মি. এলাকা ঝালকাঠি পৌরসভা দ্বারা শাসিত হয়।[৪]
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১ অনুযায়ী ঝালকাঠি শহরের মোট জনসংখ্যা ৫৪,৯০৪ জন যার মধ্যে ২৭,৯৫১ জন পুরুষ এবং ২৬,৯৫৩ জন নারী। এ শহরের পুরুষ এবং নারী অনুপাত ১০৪:১০০। [৫]
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]ঝালকাঠী শহরের পশ্চিম প্রান্তে গাবখান ব্রীজ খুলনা–বরিশাল মহাসড়কে সংযুক্ত করে ঝালকাঠীকে। শহরের অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের ক্ষেত্রে রিকশা, বাস, ইজিবাইক জনপ্রিয় যানবাহন।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]ঝালকাঠি শহরে শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হকের মা সৈয়দুন্নেছার বাবার বাড়ি অবস্থিত। এ ছাড়াও শহরের প্রাণকেন্দ্রে সুগন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত ঝালকাঠি পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত পৌর মিনিপার্ক শহরবাসীদের প্রমোদের একটি স্থান। [৬] এছাড়া বর্ষা মৌসুমে ভীমরুলী, আটঘর-কুরিয়ানায় পেয়ারা বাগানে ঘোরাঘুরি সারা দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র"। ২০২০-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৮।
- ↑ "ইতিহাস ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এক জনপদ ঝালকাঠি"। দৈনিক সংগ্রাম। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- ↑ "পটভূমি"। ঝালকাঠির সরকারি ওয়েবসাইট। ১৮ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- ↑ "পৌরসভা সম্পর্কে"। jhalokathimunicipality.gov.bd। ২০১৯-১২-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- ↑ "Urban Centers in Bangladesh"। Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ৫: Urban Area Rport, 2011। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। পৃষ্ঠা ১৭৫। ২০১৯-০৪-১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।
- ↑ "দর্শনীয় স্থান"। jhalokathimunicipality.gov.bd। ২০১৯-১২-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৫।