বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট
গঠিত | ১৯৭৩ |
---|---|
সদরদপ্তর | শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার জেলা, সিলেট, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
ওয়েবসাইট | বাংলাদেশ চা গবেষণা প্রতিষ্ঠান |
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ চা বোর্ডের অধীনস্থ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।[১][২][৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]পাকিস্তান চা বোর্ড, ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানে একটি চা গবেষণা স্টেশন প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার স্টেশনটিকে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করে।[১] ভারতের আসামের পরেই উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন চা গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে শ্রীমঙ্গলে। যা দেখতে প্রচুর পর্যটক আসে।[৫]
উপকেন্দ্র
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটটি বাংলাদেশ ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সিস্টেম (নার্স)-এর অন্তর্ভুক্ত ১০টি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। এ প্রতিষ্ঠানের সারাদেশে ৪টি উপকেন্দ্র রয়েছে। উপকেন্দ্রগুলোর
- ১টি মৌলভীবাজার জেলার কালিটিতে,
- ১টি সিলেট শহরে,
- ১টি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়িতে এবং সর্বশেষ ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত
- ১টি উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় অবস্থিত।
গবেষণা বিভাগ
[সম্পাদনা]বিটিআরআই-এর ৮টি গবেষণা বিভাগ রয়েছে। গবেষণা বিভাগগুলো হচ্ছেঃ- ১. মৃত্তিকা রসায়ন, ২. উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ৩. কৃষিতত্ত্ব, ৪. কীটতত্ত্ব, ৫. উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব, ৬. প্রাণ রসায়ন, ৭. প্রকৌশল, ৮. পরিসংখ্যান ও অর্থনীতি। এ প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যান্য চা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমতুল্য।
উদ্ভাবন
[সম্পাদনা]বিটিআরআই-এর চা বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা-জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা চা শিল্পের অগ্রগতি ও উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছে। চা বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত বিটি-১ থেকে বিটি-১৬ পর্যন্ত ১৬টি উচ্চ ফলনশীল ও আকর্ষনীয় গুণগতমান সম্পন্ন ক্লোন উদ্ভাবন করেছেন। চা বিজ্ঞানীরা সর্বশেষ অধিক ফলনশীল উন্নতজাতের ক্লোন 'বিটি-১৬' আনুষ্ঠানিকভাবে বিমুক্ত করেছেন। এছাড়া চা বিজ্ঞানীরা নিরলস গবেষণা চালিয়ে উদ্ভাবন করেছেন কয়েকটি জেনারেটিভ ক্লোন সমন্বয়ে ৪টি বাইক্লোনাল বীজজাত বিটিএস-১, বিটিএস-২, বিটিএস-৩, বিটিএস-৪সহ একটি পার্লক্লোনাল বীজজাত।
সিলেট অঞ্চলের বিখ্যাত সাতকড়া আচার কিংবা মাছ-মাংসের সঙ্গে এ অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। সুস্বাদু এ লেবুজাতীয় ফল দিয়ে এবার তৈরি হচ্ছে চা। এরইমধ্যে গবেষকরা সিলেটের এ জনপ্রিয় ফলকে দেশব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলতে তৈরি করেছেন ‘সাতকড়া চা’। চায়ের রং হবে অনেকটা কমলা। চা পাতার সঙ্গে সাতকড়ার সংমিশ্রণে তৈরি এ চা। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) শ্রীমঙ্গলের জেনারেল ম্যানেজার খোন্দকার শাহজাহান নিজেই উদ্ভাবন করেছেন নতুন এ চা।[৬] তিনি সাতকড়ার চা ছাড়াও ‘সিলভার চা’ তৈরি করেছেন। তিনি বলেন,
সাতকড়া বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের জনপ্রিয় লেবুজাতীয় ফল। মানুষের জনপ্রিয়তার কথা চিন্তা করে এ ফল থেকে চা তৈরির জন্য তিনমাস যাবত চেষ্টা করে সফল হয়েছি।
সাতকড়া চায়ের লেভেলও তৈরি হয়ে গেছে। এর ব্র্যান্ডিং নাম হবে সাতকড়া চা, বাংলাদেশের চা। এরই মধ্যে তিনি সিলভার চা ছাড়াও অর্থডক্স (আদি চা) তৈরি করেছেন। যে চা অর্ধশত বছর আগে তৈরি করা হতো। এ চায়ের বৈশিষ্ট্য হল- লিকার হালকা, ফ্লেভার বেশি। এছাড়াও ডায়বেটিক চা তৈরিরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ মাইনউদ্দীন আহমেদ; এ.এফ.এম বদরুল আলম (জানুয়ারি ২০০৩)। "বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট"। সিরাজুল ইসলাম। বাংলাপিডিয়া। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ মে ১২, ২০১৬।
- ↑ "চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের একাল সেকাল"। দৈনিক সংগ্রাম। ১৪ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Brain drain dims achievements"। thedailystar.net। The Daily Star। ১ নভেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Bangladesh tea trade gets new brew"। news.bbc.co.uk। BBC NEWS। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "শ্রীমঙ্গলে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৭।
- ↑ ক খ http://banglanews24.com/index.php/banglanewsprint/505267