ঈশ্বরদী উপজেলা

স্থানাঙ্ক: ২৪°৮′৫৭″ উত্তর ৮৯°৩′৫৭″ পূর্ব / ২৪.১৪৯১৭° উত্তর ৮৯.০৬৫৮৩° পূর্ব / 24.14917; 89.06583
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ঈশ্বরদী থেকে পুনর্নির্দেশিত)
ঈশ্বরদী
উপজেলা
মানচিত্রে ঈশ্বরদী উপজেলা
মানচিত্রে ঈশ্বরদী উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২৪°৮′৫৭″ উত্তর ৮৯°৩′৫৭″ পূর্ব / ২৪.১৪৯১৭° উত্তর ৮৯.০৬৫৮৩° পূর্ব / 24.14917; 89.06583 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরাজশাহী বিভাগ
জেলাপাবনা জেলা
সরকার
আয়তন
 • মোট২৪৬.৯০ বর্গকিমি (৯৫.৩৩ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট৩,২২,৪৯৬
 • জনঘনত্ব১,৩০০/বর্গকিমি (৩,৪০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৯২%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫০ ৭৬ ৩৯
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

ঈশ্বরদী উপজেলা বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার অন্তর্গত একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক উপজেলা। ঈশ্বরদীকে রেলের শহর বলা হয়। এবং পাবনা জেলার প্রাণকেন্দ্র বলা হয় ঈশ্বরদীকে। ঈশ্বরদী বাংলাদেশের এ" শ্রেণীভূক্ত উপজেলা ।

অবস্থান[সম্পাদনা]

ঈশ্বরদী ২৪.১৫˚ উত্তর ও ৮৯.০৬৬৭˚ পূর্ব অক্ষাংশে অবস্থিত। ঈশ্বরদী উপজেলার আয়তন ২৫৬.৯০ বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলাবড়াইগ্রাম উপজেলা; দক্ষিণে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা, মিরপুর উপজেলা এবং পদ্মা নদী। পূর্বে পাবনা সদর উপজেলাআটঘরিয়া উপজেলা। পশ্চিমে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলাকুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা। ঈশ্বরদীতে ৭টি ইউনিয়ন ও ১২৩টি গ্রাম আছে। এখানে বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন আছে।

প্রশাসনিক এলাকা[সম্পাদনা]

১৯৪৯ সালে ঈশ্বরদী থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় রূপান্তরিত হয়। ঈশ্বরদী উপজেলা একটি পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়ন এর সমন্বয়ে গঠিত।

পৌরসভা:

ইউনিয়ন সমূহ:

  1. সাহাপুর ইউনিয়ন
  2. লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন
  3. পাকশী ইউনিয়ন
  4. মুলাডুলি ইউনিয়ন
  5. দাশুড়িয়া ইউনিয়ন
  6. সলিমপুর ইউনিয়ন
  7. সাঁড়া ইউনিয়ন
উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১২৮ ১২৩ ৯৬৩০৫ ১৯৬৬৩৩ ১১৮৬ ৫৮.৫ ৪৬.৭
পৌরসভা
আয়তন (বর্গ কিমি) ওয়ার্ড মহল্লা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১৯.৫৯ ২৯ ৬২৬১৭ ৩১৯৬ ৫৭.৪
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১৭.৭৯ ৩৩৬৮৮ ১৮৯৪ ৬০.৫
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
দাশুরিয়া ২১ ৭৩৪৭ ১৫২২৬ ১৪০৬৪ ৪৬.০৬
পাকশী ৫২ ৪৮০২ ১৭৯৬১ ১৬৭০৩ ৬০.৬৩
মুলাডুলি ৪২ ১০৫৪৮ ১৭৯৮৬ ১৬৯৭৬ ৪৮.৬৯
লক্ষ্মীকুন্ডী ৩১ ১২৫০৩ ১২২৭১ ১০৬২৬ ৩১.৭৯
সাঁড়া ৮৪ ৫৩১৭ ১২১৬৭ ১০৮৮৩ ৪৭.২৭
সাহাপুর ৬৩ ৬৭৯০ ২১৬০৮ ১৯৮৮১ ৪৪.৭৯
সলিমপুর ৭৩ ৮২৫৫ ২৩২১১ ২০৭৫৮ ৫৪.১২

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ব্রিটিশ শাসনামলে ঈশ্বরদী একটি প্রতিষ্ঠিত ও গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হিসাবে পরিচিত ছিল। ততকালীন ব্রিটিশ সরকার এখানে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেন। বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন, বৃহত্তম রেলওয়ে ব্রীজ ও বিমানবন্দর নির্মাণ করেন। পরবর্তীকালে পাকিস্তান শাসনামলেও এ উন্নয়নের ধারাবাহিতা অব্যহত থাকে। পাকিস্তান সরকার এখানে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ, নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলসহ নানা উন্নয়নমুলক কাজ করেন। ১৯৭১ সালে দেশ ভাগের পর থেকে এ উন্নয়নের ধারাবাহিতা ধীরে ধীরে লোপ পেতে থাকে। প্রাপ্ত তথ্য মতে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৯ খ্রি. তারিখে প্রথমে ‘‘ঈশ্বরদী থানা’’ হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং দায়িত্বাবলি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৬০ সালে ‘‘ উন্নয়ন সার্কেল ’’ (আবগ্রেডেড থানা) হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। সর্বশেষ ১৯৮৩ সালে ‘‘ ঈশ্বরদী উপজেলা ’’ হিসেবে এর নামকরণ করা হয়। ঈশ্বরদী উপজেলাটি পাবনা জেলার পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এর উত্তরে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম ও লালপুর উপজেলা, পশ্চিমে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা, দক্ষিণে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা এবং পূর্বে পাবনা জেলার পাবনা সদর ও আটঘরিয়া উপজেলা। এ উপজেলার দক্ষিণ-পশ্চিম পার্শ্ব দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী। ২৪°০৩' হতে ২৪°১৫' উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯°০' হতে ৮৯°১১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত ।

নামকরণ[সম্পাদনা]

ঈশ্বরদী উপজেলার নামকরণ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। নামকরণ সম্পর্কে তেমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে অধিকাংশের মতে ঈশা খাঁর আমলে এ উপজেলার টেংরী গ্রামে ডেহী/কাঁচারী (Dehi/Kachari) ছিল। এখানে ঈশা খাঁর রাজস্ব কর্মচারীরা বসবাস করতেন এবং রাজস্ব আদায় করতেন। ঈশা খাঁ এখানে অনেকবার গমন করেছেন। সময়ের ব্যবধানে ঈশা খাঁ (Isha Khan) এর Isha এবং Dehi এই শব্দ দু’টির সমন্বয়ে পরিবর্তনের মাধ্যমে Ishwardi (ঈশ্বরদী) এর নামকরণ হয়। এই নামকরণটি বর্তমানে বেশি পরিচিত।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

জনসংখ্যা(১৯৯১ জনসংখ্যা(২০০১ জনসংখ্যা(২০১৪
২৩৬,৮২৫ জন ২৯২,৯৩৮ জন ৩১৩,৯৩২ জন

শিক্ষা[সম্পাদনা]

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৮৯.৭%; পুরুষ ৮৭.০%, মহিলা ৯৬.২%। কলেজ ১৫, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৬১, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট ১, কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ১, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯১, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৪, কেজি স্কুল ২৫, মাদ্রাসা ১৮। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ (১৯৬৩), সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৯১৭),

ঈশ্বরদী মহিলা কলেজ, বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজ পাকশী, বাঁশেরবাদা ডিগ্রী ( অনার্স) কলেজ, বিএড কলেজ পাকশী, দাশুরিয়া কলেজ, সলিমপুর ডিগ্রী কলেজ, লক্ষিকুন্ডা কলেজ, ঈশ্বরদী বিএম কলেজ, নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস হাই স্কুল, ইক্ষু গবেষণা উচ্চ বিদ্যালয়, সাহাপুর শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭৩), পাকুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (১৯০৭), রূপপুর বালিকা বিদ্যালয় (১৯১৮), বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৮), ঈশ্বরদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯২৯), মোকারমম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, রেলওয়ে নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, পাকশী চন্দ্রপ্রভা উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রপ্রভা বিদ্যাপীঠ , মাঝদিয়া ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৬১) বাবুলচারা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৭২)।[৩] কামালপুর টিএম উচ্চ বিদ্যালয়, লক্মীকুন্ডা, দাদাপু‌র উচ্চ বিদ্যালয়, লক্মীকুন্ডা, বাঁশেবাদা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১৭) সাহাপুর, আওতাপাড়া নুরজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আওতাপাড়া সিনিয়র মাদ্রাসা,

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ঈশ্বরদীকে পাবনার প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। এছাড়া বর্তমানে ঈশ্বরদী বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন,( ঈশ্বরদী জংশন,)এখানে অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র ও ডাল গবেষণা কেন্দ্র । ঈশ্বরদীতে ৬০০ এর অধিক চাউল কল রয়েছে যা প্রায় দেশের ৪২ ভাগ চাউলের চাহিদা পূরণ করছে। বর্তমানে এখানে একাধিক অটো রাইস মিলও তৈরী হয়েছে। এখানে দেশের একমাত্র রাইসব্রাণ অয়েল কারখানা রয়েছে। এছাড়া চিনিকল, কাগজ কল (বর্তমানে বন্ধ), সিমেন্ট কারখানা (বর্তমানে বন্ধ) , স'মিল, ফিড মিল বিস্কুট কারখানা, আইসক্রিম কারখানা প্রাণ কোম্পানি, ইত্যাদি তৈরী হয়েছে। এখানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াককরণ এলাকা, ঈশ্বরদী ইপিজেড অবস্থিত, যা এ অঞ্চলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া সরকার এ থেকে ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বর্তমানে এখানে লিচু অর্থনীতিক ফসল হিসাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। ঈশ্বরদীতে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি চাষ করা হয় যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। এ ছাড়া ঈশ্বরদীতে অনেক শিল্প কলকারখানা আছে।

শিল্প ও কারখানা[সম্পাদনা]

এই উপজেলাতে পাকশীতে পদ্মা নদীর তীরে সর্বপ্রথম ১৯৭০ সালে নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল লিমিটেড চালু হয়। যা পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা পালন করছে। উৎপাদিত কাগজ দেশে চাহিদা পূরণ করছে অনেক খানি।( বতর্মানে বন্ধ)

১৯৯২ সালে দাশুরিয়াতে পাবনা সুগার মিল লিমিটেড গড়ে উঠে। আলহাজ্ব মোড়ে আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিল ( বতর্মানে বন্ধ)

ঈশ্বরদী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সংক্ষেপে যেটি 'ঈশ্বরদী ইপিজেড', বা, 'পাবনা ইপিজেড' নামেও পরিচিত) বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের শহর পাবনার অদূরে ঈশ্বরদী এলাকায় অবস্থিত। এই রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। ৩০৯ একর এলাকার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই ইপিজেডটি বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা।

এই ইপিজেডটি ঢাকা শহর থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে পাবনা জেলার পাকশী এলাকার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত। এটি ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে ১০.৬০ কিলোমিটার ও রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮৪ কিলোমিটার ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

এটি একটি শুল্কমুক্ত এলাকা যেখানে সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে কাঁচামাল আমদানী করতঃ উৎপাদিত পণ্য সম্পূর্ণ শুল্কমুক্তভাবে বিদেশে রপ্তানী করা যায়। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরবরাহের জন্য এখানে 'বেপজা' কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ও বিদ্যুতের জন্য ১১ কেভির একটি সাব স্টেশন রয়েছে; এছাড়াও এখানে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জ্বালানী হিসাবে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ করা হয়।

এখানে কলকারখানাগুলোতে তিন ধরনের বিনিয়োগ আছে:

  1. শতভাগ বিদেশী পুজিঁ
  2. বিদেশী ও দেশী পুজিঁর যৌথ বিনিয়োগ এবং
  3. শতভাগ দেশীয় পুজিঁ।

এই ইপিজেডে সর্বমোট শিল্প-প্লটের সংখ্যা ২৯০ টি।

এখানে উৎপাদিত পণ্যগুলো হচ্ছে:

  • তৈরি পোশাক
  • সোয়েটার
  • খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি।

২০১২-১৩ অর্থবছরের ইপিজেডগুলো থেকে মোট ৪,৮৫৬.৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানী করা হয় যা মোট জাতীয় রপ্তানীতে প্রায় ১৮ শতাংশ এবং এসময় ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে মোট ৫৫.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে মোট ৫,৫২৫.৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে ইপিজেডগুলো এবং ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে রপ্তানি হয়েছে ৯৩.১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।

বিগত ৬ বছরে বেপজা বিনিয়োগে ১২৯.৫৫%, রপ্তানিতে ১৫৫.৯৫% এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ১১২.৩০% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

এছাড়া বেসরকারী উদ্যোগে গড়ে উঠেছে শিল্প ও কারখানা। ০৭টি সিমেন্ট মিল, ১০টি ময়দা মিল, অয়েল মিল, অটো রাইচ মিল, বেনারসি পল্লী, ফিড মিল, প্রাণ কোম্পানি ইত্যাদি কারখান।

কৃষি[সম্পাদনা]

ঈশ্বরদীর সবচেয়ে নামকরা ফল লিচু। তাছাড়াও এখানে ধান, গম, পাট, পেপে, গাজর, ধনে পাতা, শিম, বেগুন মরিচ, হলুদ, ফুলকপি, বাধাকপি ইত্যাদি ফসল জন্মে এখানে।

ব্যবসায় ও বাণিজ্য[সম্পাদনা]

ঈশ্বরদী উপজেলা ব্যবসা বাণিজ্য দিক দিয়ে খুব উন্নত এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো। এজন্য মানুষ এখানে ব্যবসা করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]

ঈশ্বরদী ভৌগোলিক কারণে ব্যবসায় বাণিজ্য তে অনেক উন্নত উপজেলা। ব্যবসায় বাণিজ্য উন্নয়ন ও অর্থনীতি গতিশীলতা রাখার জন্য সোনালী, অগ্রনী, জনতা ব্যাংকের ৪ টি করে শাখা আছে ও রুপালি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ২ টি শাখা আছে। এছাড়া বেসরকারি প্রায় প্রতি ব্যাংকের শাখা আছে ঈশ্বরদীতে। যেমনঃ ন্যাশন্যাল ব্যাংক লিঃ, এবি ব্যাংক লিঃ, ঢাকা ব্যাংক লিঃ, ট্রাষ্ট ব্যাংক লিঃ, এন আর বি সি ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া লিঃ, প্রাইম ব্যাংক লিঃ, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ, পূবালী ব্যাংক লিঃ, এন আর বি ব্যাংক লিঃ, মধুমতি ব্যাংক লিঃ, মিউচুয়াল ট্রাষ্ট ব্যাংক লিঃ, দি মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ,সিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ এখানে বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এর মাধ্যমে ঈশ্বরদীর অর্থনীতির চাকা সচল রাখছে।

তথ্য[সম্পাদনা]

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে ঈশ্বরদী উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  2. "upazilla_tourist_spot"। ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৬ 
  3. "এক নজরে ঈশ্বরদী উপজেলা"http://ishurdi.pabna.gov.bd/। জানুয়ারী ০৪, ২০২০। ৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১১, ২০২০  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য); |ওয়েবসাইট= এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)


যোগাযোগ ব্যবস্থা[সম্পাদনা]

ঈশ্বরদীতে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব উন্নত। সড়কপথ, নৌপথ, বিমানপথ,রেলপথ রয়েছে। ঈশ্বরদীকে রেলের শহর বলা হয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদীতে। এই উপজেলার সাথে যোগাযোগের জন্য মোট ৭টি রেলস্টেশন আছে। ১।ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন, ২। পাকশী স্টেশন ৩।দাশুড়িয়া স্টেশন ৪।মুলাডুলি স্টেশন । ৫ ঈশ্বরদী বাইপাস রেলওয়ে স্টেশন, লালপুর, নাটোর ৬. মাঝগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন , লালপুর,নাটোর ৭. রুপপুর স্টেশন সড়ক পথে খুব সহজে ঢাকা থেকে ঈশ্বরদী আসা যাই। ঈশ্বরদীতে বর্তমানে একটি নদী বন্দর হয়েছে। নদী পথে খুব সহজে ঈশ্বরদীতে আসা যাই।