বাংলাদেশের অর্থনীতি
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।অক্টোবর ২০২০) ( |
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।অক্টোবর ২০২০) ( |
বাংলাদেশ-এর অর্থনীতি | |
---|---|
![]() ঢাকা, বাংলাদেশের অর্থনীতির কেন্দ্র | |
মুদ্রা | বাংলাদেশী টাকা (BDT) |
অর্থবছর | ১লা জুলাই - ৩০শে জুন |
বাণিজ্যিক সংস্থা | সাফটা, সার্ক, বিম্সটেক, ডব্লিউটিও, এআইআইবি, আইএমএফ, কমনওয়েলথ, বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, ডি-৮ |
পরিসংখ্যান | |
স্থুআউ | (২০১৭ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন)[২] |
স্থুআউ প্রবৃদ্ধি | |
মাথাপিছু স্থুআউ | |
ক্ষেত্র অনুযায়ী স্থুআউ | |
মুদ্রাস্ফীতি | ৫.৫% (২০১৮ এর প্রাক্কলন)[১] |
দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থিত জনসংখ্যা | |
জিনি সূচক | . ৩২.৪ মধ্যম (২০১৬, বিশ্বব্যাংক)[১৩] |
পেশা অনুযায়ী শ্রম |
|
বেকারত্বের হার |
|
প্রধান শিল্পসমূহ | পাট উৎপাদন, সুতির টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, চা প্রক্রিয়াকরণ, নিউজপ্রিন্ট কাগজ, চিনি, হালকা প্রকৌশল, রাসায়নিক দ্রব্য, সিমেন্ট, সার, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, লোহা, ইস্পাত |
ব্যবসা করার সহজসাধ্যতা সূচক | ![]() |
বৈদেশিক বাণিজ্য | |
রপ্তানি | |
রপ্তানি পণ্য | গার্মেন্টস, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, চামড়া, হিমায়িত মাছ এবং সামুদ্রিক খাদ্য |
প্রধান রপ্তানি অংশীদার | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩১.৮%, জার্মানি ১২০.৯%, যুক্তরাজ্য ৭.৯%, ফ্রান্স ৫.২%, নেদারল্যান্ডস ৫.২%,
ইতালি ৪.৪২%,অন্যান্য ১৭.৫% [১৯] |
আমদানিকৃত পণ্য | ভারী যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত, তুলা, খাদ্য, অপরিশোধিত তেল, পেট্রোলিয়াম দ্রব্য |
প্রধান আমদানি অংশীদার | |
সবৈবি স্টক | |
মোট বৈদেশিক ঋণ | ![]() |
সরকারি অর্থসংস্থান | |
সরকারি ঋণ | ![]() |
আয় | ![]() |
ব্যয় | |
অর্থনৈতিক সাহায্য | $১.৫৭৫ বিলিয়ন (২০০০ খ্রিস্টাব্দের প্রাক্কলন) |
ক্রেডিট রেটিং | BB- (domestic) BB- (foreign) BB- (T&C assessment) Outlook: Stable (Standard & Poor's)[২৬] |
বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার | ![]() |
বাজেটের ভারসাম্য | −৩.২% (জিডিপির) (২০১৭)[২২] |
মূল উপাত্ত সূত্র: সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক মুদ্রা অনুল্লেখিত থাকলে তা মার্কিন ডলার এককে রয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। |
বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মধ্য আয়ের উন্নয়নশীল এবং স্থিতিশীল বাজার অর্থনীতি।[২৮] এই অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে মধ্যমহারের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পরিব্যাপ্ত দারিদ্র্য, আয় বণ্টনে অসমতা, শ্রমশক্তির উল্লেখযোগ্য বেকারত্ব, জ্বালানী, খাদ্যশস্য এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির জন্য আমদানী নির্ভরতা, জাতীয় সঞ্চয়ের নিম্নহার, বৈদেশিক সাহায্যের ওপর ক্রমহ্রাসমান নির্ভরতা এবং কৃষি খাতের সংকোচনের সঙ্গে সঙ্গে সেবা খাতের দ্রুত প্রবৃদ্ধি। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প বিশ্বের বৃহত্তম শিল্পের মধ্যে অন্যতম।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৮০ খ্রিষ্টাব্দের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এসময় পাট রপ্তানি করে দেশটি অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করত। কিন্তু পলিপ্রোপিলিন পণ্যের আগমনের ফলে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দ থেকেই পাটজাত দ্রব্যের জনপ্রিয়তা ও বাণিজ্য কমতে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাংলাদেশের মাথাপিছু স্থূল দেশজ উৎপাদন [২৯] স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭০-এর দশকে সর্বোচ্চ ৫৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। তবে এ প্রবৃদ্ধি বেশিদিন টেকেনি। ১৯৮০-এর দশকে এ হার ছিলো ২৯% এবং ১৯৯০-এর দশকে ছিলো ২৪%।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩৯ তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ২৯ তম যা দক্ষিন এশিয়ায় ২য়। বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে গড়ে ৬.৩ শতাংশ হার ধরে রেখে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৭ম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি। ক্রয়ক্ষমতার সমতা অনুসারে (পিপিপি) বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু জিডিপি ৪,৬০০ মার্কিন ডলার। বিশ্বব্যাংকের ২০১৯ সালের তথ্যানুসারে বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তি ৭,০০,০৯,৩৫৩ জন।[৩০][৩১][৩২]
২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৩১৭.৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ২০২০ সালে অনুমিত ৮৬০.৯১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[৩৩] [৩৪]
২০১৮, ২০১৯ সালে জিডিপির হার ছিল যথাক্রমে ৮ % এবং ৭.৯ %। ২০২০, ২০২১ সালে সম্ভাব্য হার হবে যথাক্রমে ২ % ও ৯.৫ %।[৩৫]
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসে প্রধানত ৫ টি খাত (উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, পরিবহন, নির্মাণ এবং কৃষি) থেকে এবং গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) জিডিপিতে ৬৭ শতাংশ (সাড়ে সাত লাখ কোটি টাকা) অবদান রেখেছে এই খাতগুলি । বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর তথ্যানুসারে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮.১৫ %, স্থিরমূল্যে যা ১১,০৫,৭৯৩ কোটি টাকা।[৩৬]
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমান্বয়ে কৃষির তুলনার 'সেবা' ও 'শিল্প' খাত থেকে বাংলাদেশ বেশি পরিমাণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে। ২০১৮ সালের তথ্যানুসারে 'সেবা', 'শিল্প' ও কৃষি খাতে বাংলাদেশের জিডিপি যথাক্রমে ৫২.১১; ৩৩.৬৬ এবং ১৪.২৩%।[৩৭] [৩৮]
বর্তমানে 'বিদেশি আয়' (রেমিট্যান্স) এবং 'তৈরি পোশাক শিল্প' (গার্মেন্টস) বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। যদিও তৈরি পোশাক শিল্প (রপ্তানি) থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকে কিন্তু একইসাথে বিদেশ থেকে এর কাঁচামাল ক্রয়ে খরচ থাকার কারণে এককভাবে অভিবাসন খাতই (রেমিট্যান্স) বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম উৎস। আবার, বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে বেশি পরিমাণে আমদানি করার কারণে,বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যে ঘাটতি ঘটে তা প্রধানত 'রেমিট্যান্স' এর মুদ্রা ব্যবহার করে মেটানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশ 'প্রবাসী আয়ের' (রেমিট্যান্স) মাধ্যমেই প্রধানত তাদের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ) বাড়িয়ে থাকে। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী বেশি রেমিট্যান্স আসা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯ম।[৩৯]
২০২০সালে বিশ্ব মন্দা স্বত্তেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ছিল ২৫০০ কোটি মার্কিনডলার যা ২০১৯ সালে ছিল ১৯০০ কোটি মার্কিনডলার । ২০১৮, ২০১৭, ২০১৬ ও ২০১৫ সালে রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে ১,৫৫৩, ১,৩৫৩, ১,৩৬১ ও ১,৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার।[৪০]
বাংলাদেশে প্রতিবছর ইদের পূর্বে বেশি পরিমাণে রেমিট্যান্স আসে এবং ২০২০ সাল থেকে সরকার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এর উপর ২ শতাংশ হারে (১০০ টাকায় ২ টাকা) প্রণোদনা দিচ্ছে।[৪১]
বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৬ শতাংশ পূরণ করে 'তৈরি পোশাক শিল্প' (গার্মেন্টস) খাত যা বাংলাদেশের গত বছরের সর্বমোট রপ্তানির ৮৩ % (৩,০০০ কোটি টাকা)।[৪২] [৪৩]
বিশ্বে রপ্তানি আয় অর্জনের ক্ষেত্রে বৃহৎ রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ছিল ৪২ তম। ২০১৮ সালে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের অংশ ছিল ৬ শতাংশ এবং পোশাক রপ্তানিতে একক দেশ হিসেবে বিশ্বে ২য়। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পণ্য ও সেবা রপ্তানি খাতের অবদান ছিল ১৪.৬ %।[৪৪] যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংগঠন ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল এর হিসাব মতে তৈরি পোশাক শিল্পে বিশ্বের প্রথম সারির ১০টি উন্নতমানের (পরিবেশবান্ধব) কারখানার ৭টি'ই রয়েছে বাংলাদেশে।[৪৫]
২০১৯ সালের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্যমতে, কৃষিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তি ৪০.৬ %। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে বাংলাদেশের ৪৬.৬১ শতাংশ খানা (পরিবার) কৃষির উপর নির্ভরশীল।[৪৬]
কৃষি ও বনায়ন খাত থেকে বাংলাদেশের জিডিপি'র ১০ শতাংশের বেশি অর্থ আসে যা টাকার অঙ্কে ১,০৭,০০০ কোটি। গত অর্থবছরে ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়েছে ৭৫,০০০ কোটি, গবাদিপশু পালনের মাধ্যমে ১৫,০০০ কোটি এবং বনায়ন এর মাধ্যমে ১৭,০০০ কোটি টাকা। [৩৬] [৪৭]
বাংলাদেশ বর্ধিত জনসংখ্যার অভিশাপ সত্ত্বেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ধান উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাংলাদেশের চাষাবাদের জমি সাধারণত ধান ও পাট চাষের জন্য ব্যবহৃত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাংলাদেশে ধান উৎপাদনের দিক দিয়ে মোটামুটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। তা সত্ত্বেও মোট জনসংখ্যার ১০% থেকে ১৫% অপুষ্টির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাংলাদেশের কৃষি মূলত অনিশ্চিত মৌসুমী চক্র এবং নিয়মিত বন্যা ও খরার উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশের যোগাযোগ, পরিবহন ও বিদ্যুৎ খাত সঠিকভাবে গড়ে না ওঠায় দেশটির উন্নতি ব্যহত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল খনি রয়েছে এবং কয়লা, খনিজ তেল প্রভৃতির ছোটোখাটো খনি রয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প-অবকাঠামো দুর্বল হলেও এখানে দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যা অঢেল এবং মজুরিও সস্তা।
আরও শিল্পের মধ্যে ঔষধ শিল্প[৪৮] জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প,[৪৯] তথ্য প্রযুক্তি,[৫০] চামড়া শিল্প,[৫১] স্টিল শিল্প,[৫২][৫৩] আলোক শিল্প[৫৪][৫৫]
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ বিভিন্ন দাতা দেশ থেকে ৩ হাজার কোটি বা ৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ পেয়েছে যার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি ডলার খরচ হয়ে গেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাংলাদেশের প্রধান দাতার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব ব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, সৌদি আরব ও পশ্চিম ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ। বাংলাদেশে ঐতিহাসিকভাবেই বিরাট বাণিজ্য বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণে এই মজুদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এই মজুদের মূল্যমান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০০ কোটি মাার্কিডলার। যা বিশ্বের ৪০তম বৃহত্তম মজুদ।
অর্থনীতিতে বাংলাদেশ বর্তমানে ৪১ তম দেশ এবং দ্রুত বর্ধনশীল দেশে পঞ্চম।
সামষ্টিক অর্থনৈতিক ধারা[সম্পাদনা]
এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশের বাজার দর অনুযায়ী মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের একটি তালিকা যা মিলিয়ন বাংলাদেশী টাকা মুদ্রামানে গণনা করা হয়েছে।
বছর | মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (মিলিয়ন টাকা) | মার্কিন ডলার বিনিময় | মূল্যস্ফিতি সূচক (২০০০=১০০) | মাথাপিছু আয় (যুক্তরাষ্ট্রের % অনুযায়ী) |
---|---|---|---|---|
১৯৮০ | ২৫০,৩০০ | ১৬.১০ টাকা | ২০ | ১.৭৯ |
১৯৮৫ | ৫৯৭,৩১৮ | ৩১.০০ টাকা | ৩৬ | ১.১৯ |
১৯৯০ | ১,০৫৪,২৩৪ | ৩৫.৭৯ টাকা | ৫৮ | ১.১৬ |
১৯৯৫ | ১,৫৯৪,২১০ | ৪০.২৭ টাকা | ৭৮ | ১.১২ |
২০০০ | ২,৪৫৩,১৬০ | ৫২.১৪ টাকা | ১০০ | ০.৯৭ |
২০০৫ | ৩,৯১৩,৩৩৪ | ৬৩.৯২ টাকা | ১২৬ | ০.৯৫ |
২০০৮ | ৫,০০৩,৪৩৮ | ৬৮.৬৫ টাকা | ১৪৭ | |
২০১৫ | ১৭,২৯৫,৬৬৫ | ৭৮.১৫ টাকা | ১৯৬ | ২.৪৮ |
২০১৯ | ২৬,৬০৪,১৬৪ | ৮৪.৫৫ টাকা | ২.৯১ |
নিচের টেবিলে ১৯৮০–২০১৭ সালের বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলো দেখানো হয়েছে।[৫৬]
সাল | জিডিপি (বিলিয়ন ডলার পিপিপি-তে) |
মাথাপিছু জিডিপি (ডলার পিপিপি-তে) |
জিডিপি প্রবৃদ্ধি (আসল) |
মুদ্রাস্ফীতির হার (শতাংশে) |
সরকারি ঋণ (জিডিপির শতাংশে) |
---|---|---|---|---|---|
১৯৮০ | ৪১.১ | ৪৯৮ | ![]() |
![]() |
|
১৯৮১ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৮২ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৮৩ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৮৪ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৮৫ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৮৬ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৮৭ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৮৮ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৮৯ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯০ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯১ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯২ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯৩ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯৪ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯৫ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯৬ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯৭ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯৮ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
১৯৯৯ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
২০০০ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
২০০১ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
২০০২ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
|
২০০৩ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
৪৪.৩ % |
২০০৪ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০০৫ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০০৬ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০০৭ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০০৮ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০০৯ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০১০ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০১১ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০১২ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০১৩ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০১৪ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০১৫ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০১৬ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
২০১৭ | ![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |
কৃষি[সম্পাদনা]
বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে, এখনও বাংলাদেশের ৮৭ % গ্রামীণ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। দুই-তৃতীয়াংশ গ্রামীণ পরিবার কৃষি ও অকৃষিজ উভয় ধরনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল এমনকি শহরে বসবাসকারীদের মধ্যেও ১১ শতাংশ মানুষ সরাসরি কৃষিকাজের সাথে যুক্ত। ২০১৩ সালের বাংলাদেশ শ্রমশক্তি জরিপের হিসাবমতে, বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৫.৭ শতাংশই কৃষিতে নিয়োজিত।[৫৭]
কৃষি মন্ত্রণালয়ের জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত তথ্যানুসারে বাংলাদেশ সবজি, ধান ও আলু উৎপাদনে বিশ্বে যথাক্রমে ৩য়, ৪র্থ ও ৭ম। এছাড়াও মাছে ৪র্থ, আমে ৭ম, পেয়ারায় ৮ম এবং খাদ্যশস্য উৎপাদনে বিশ্বে ১০ম। বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) কৃষির অবদান ১৬.৬ %। বাংলাদেশের 'কৃষি যান্ত্রিকীকরণ নীতিমালা ২০১৯' এ বিনা সুদে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ঋণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং 'জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০১৯' চূড়ান্তকরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও কৃষির উন্নতিকল্পে 'ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা', 'জৈব কৃষিনীতি' এবং 'কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নীতিমালা ২০১৯' প্রণয়ন করা হয়েছে। এছাড়াও 'জাতীয় কৃষিনীতি' ও 'ডেল্টাপ্লান: ২১০০' তৈরি করা হয়েছে। সরকার কৃষকদের জন্য সর্বোমোট ৪৯৯টি 'কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র' (এআইসিসি) স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার উদ্দেশ্যে হাওর ও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার কৃষকদের জন্য ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৫০ শতাংশ হারে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ভর্তুকি প্রদান করে সরকার। [৫৮]
অধিকাংশ বাংলাদেশী কৃষিকাজের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।[৫৯] আগে থেকেই ধান ও পাট বাংলাদেশের প্রধান ফসল হিসেবে সুপরিচিত থাকলেও ইদানীং গম চাষের ওপর গুরুত্ব বেড়েছে। উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে চা উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের উর্বর ভূমি এবং সহজলভ্য পানির উৎসের কারণে এদেশের অনেক স্থানে বছরে তিনবার ধানের ফলন হয়। অনেক নিয়ামকের কারণে বাংলাদেশের কায়িক-শ্রমনির্ভর কৃষি ধীরগতিতে উন্নতি লাভ করছে। বিরূপ আবহাওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। সাম্প্রতিককালে বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ ব্যবস্থাপনা, সারের পরিমিত ব্যবহার এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে সঠিক মূলধন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। ফলে আরও উন্নতি আশা করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রধান শস্য ধান উৎপাদিত হয়েছে ২০০০০০০.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ২০০৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে ধান চাষের জন্য বিভিন্ন কীটনাশক যেমনঃ দানাদার কার্বোফুরান, সিন্থেটিক পাইরিথ্রয়েড এবং ম্যালাথিয়ন বিক্রয় হয়েছে ১৩,০০০ টনেরও বেশি।[৬০][৬১] এই কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি কেবল পরিবেশ দূষণই ঘটাচ্ছে না, বরং দরিদ্র ধানচাষীদের চাষাবাদের খরচও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কীটনাশক ব্যবহার কমাতে কাজ করে যাচ্ছে।[৬২] ধানের বিপরীতে ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে গম উৎপাদিত হয়েছে ১.৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে চাষযোগ্য ভূমির ওপর ক্রমেই চাপ বাড়ছে। একারণে জমির উর্বরাশক্তি প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। একারণে খাদ্য সংকট দেখা দিচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় বৈদেশিক সাহায্য ও বাণিজ্যিকভাবে খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়। বেকারত্ব এখনও একটি ভয়ঙ্কর সমস্যা এবং কৃষিকাজ এই সকল বেকার জনগোষ্ঠীকে কর্মের যোগান দিতে পারে কি না, তা চিন্তার বিষয়। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ভবিষ্যত সরকারগুলোর একটি প্রধান দায়িত্ব। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের মানুষের উপার্জনের আরেকটি অন্যতম উৎস হল পশুসম্পদ। এই সেক্টরটি অতি দ্রুত উন্নতি করছে।
খাদ্যশস্য উৎপাদন[সম্পাদনা]
নিচে বাংলাদেশে ১৯৯০-৯১ থেকে ২০১০-১১ সাল পর্যন্ত সময়কালে খাদ্যশস্য উৎপাদন (লক্ষ মেট্রিক টন) পরিমাণ দেখানো হল ৷ লক্ষণীয় যে এই উৎপাদন ক্রমবর্ধমান ৷[৬৩]
বছর | মোট উৎপাদন |
---|---|
১৯৯০-৯১ | ১৮৮.৬ |
১৯৯৫-৯৬ | ১৯০.০ |
২০০০-০১ | ২৬৯.০৬ |
২০০৫-০৬ | ২৭৭.৮৭ |
২০০৯-১০ | ৩৪১.১৩ |
২০১০-১১ | ৩৭০.১৩ (লক্ষমাত্রা) |
শিল্প[সম্পাদনা]
কতিপয় স্থানীয় কোম্পানি যথা বেক্সিমকো, স্কয়ার, আকিজ গ্রুপ, ইস্পাহানি, নাভানা গ্রুপ, ট্রান্সকম গ্রুপ, হাবিব গ্রুপ, কে.ডি.এস. গ্রুপ এবং বহুমূখী কোম্পানি ইউনোকাল কর্পোরেশন এবং শেভরন।
বিনিয়োগ[সম্পাদনা]
দেশ ভিত্তিক বৈদেশিক বিনিয়োগ ২০০৯-১০
দেশের নাম | প্রজেক্টের পরিমাণ | প্রস্তাবিত বিনিয়োগ (ইউ এস মিলিয়ন ডলারে) |
---|---|---|
সৌদি আরব | ৩ | ৪৭৮,৬৫২ |
অষ্ট্রেলিয়া | ৪ | ২,০৩৬ |
ইউ এস এ | ৫ | ২৯৯০ |
ফিনল্যান্ড | ২ | ৩০২৩ |
ভারত | ৯ | ৮৪৫১ |
দক্ষিণ কোরিয়া | ১২ | ৩৩,৭৬৮ |
মালয়েশিয়া | ৩ | ৩,০৫৬ |
নেদারল্যান্ডস | ৫ | ৮,৫৪৪ |
চীন | ১২ | ২১,০০০ |
ইউকে | ৫ | ৩,৫০৭ |
সোর্স:বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট' |
তৈরি পোশাক শিল্প[সম্পাদনা]
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সব চাইতে বেশি অবদান রাখে তৈরি পোশাক শিল্প, এই শিল্প দেশীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মোট প্রবৃদ্ধির ৬-৮% আসে পোশাক খাত থেকে। বাংলাদেশের এই শিল্পকে বর্তমানে উন্নতবিশ্ব সহ উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুকরণ করছে। স্বাধীনতার পরে যে শিল্প আমাদের অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়েছে তার মাঝে একমাত্র মাধ্যম কিন্তু এই পোশাক শিল্পই। বিশ্বের বুকে নিজেদের কঠোর শ্রম ও উৎপাদন দক্ষতা দেখাতে পারার প্রমাণ মিলে এই শিল্পের মাধ্যমে।
পোশাক শিল্পের ইতিহাস[সম্পাদনা]
আদিকাল থেকে মানুষ কোন না কোন বস্ত্র ব্যবহার করে আসলেও আসলে সেলাই মেশিনের সাহায্যে তৈরি বস্ত্র ব্যবহার শুরু হয় সর্বপ্রথম ১৭৫৫ সালে। সেখান থেকে বাংলাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয় অনেক পরেই বলা যাই। বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬০ সালে। আর রিয়াজ গার্মেন্টস ছিল তার পথ-প্রদর্শক। ১৯৬০ সালে ঢাকার উর্দুরোডে রিয়াজ স্টোর নামে একটি ছোট দর্জির কারখানা কাজ শুরু করে। তখন থেকেই রিয়াজ গার্মেন্টস স্থানীয় বাজারে কাপড় সরবরাহ করতো। ১৯৭৩ সালে কারখানাটি নাম পরিবর্তন করে মেসার্স রিয়াজ গার্মেন্টস লিমিটেড নামে আত্মপ্রকাশ করে। রিয়াজ গার্মেন্টস ১৯৭৭ সালে ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক একটি ফার্মের সাথে ১৩ মিলিয়ন ফ্রাংক মূল্যের ১০ হাজার পিস ছেলেদের শার্ট রপ্তানি করে। আর এটাই ছিল প্রথম বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পোশাক রপ্তানি। এরপর ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৭ বাংলাদেশের প্রথম সংস্থাপন (বর্তমান জনপ্রশাসন) সচিব মোহাম্মদ নূরুল কাদের খান দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন । ১৯৭৯ সালে দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু কর্পোরেশনের সহায়তায় প্রথম যৌথ উদ্যোগে নন-ইকুইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে। ফলে দেশ গার্মেন্টস ও দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েয়ু কর্পোরেশনের মধ্যে প্রযুক্তিগত এবং বাজারজাতকরণে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থাপিত হয়। মেশিনে কাজ করার মতো উপযোগী করে তোলার জন্য প্রথমে শ্রমিকদের এবং পরে পরিদর্শকদের দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই ১৯৮০ সালে উৎপাদন শুরু করে। দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড ছিল প্রথম শতভাগ রপ্তানিমুখী কোম্পানি। ১৯৮০ সালে ইয়াঙ্গুন নামে অপর একটি কোরিয়ান কর্পোরেশন বাংলাদেশি ট্রেকসীম লিমিটেড নামে অপর একটি কোম্পানির সঙ্গে প্রথম যৌথ উদ্যোগে তৈরি পোশাক কারখানা গড়ে তোলে। বাংলাদেশি অংশীদাররা নতুন প্রতিষ্ঠান ইয়াঙ্গুনস বাংলাদেশ-এ শতকরা ৫১ ভাগ ইকুইটির মালিক হয়। ট্রেকসীম লিমিটেড ১৯৮০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে প্যাডেড এবং নন-প্যাডেড জ্যাকেট সুইডেনে রপ্তানি করে। উভয় ক্ষেত্রেই বাজারজাতকরণের দায় বিদেশি অংশীদাররাই নিয়েছিল। গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক ও গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রকৃতপক্ষে ১৯৮১-৮২ সালে ০.১ বিলিয়ন টাকার রেডিমেইড গার্মেন্টস রপ্তানি করে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পদচারণা আরম্ভ হয়। উক্ত সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্পের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। অথচ মাত্র ১০ বৎসরের ব্যবধানে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ১৯৯২-৯৩ সালে ১৪৪৫ মিলিয়ন ইউ.এস ডলারে উন্নীত হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। দিনকে দিন পোশাক রপ্তানির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। যেখানে ২০১১-১২ অর্থবছরে সর্বমোট পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৯,০৮৯.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সেখানে তা ২০১২-১৩ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১,৫১৫.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ ৯,৬৫৩.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয় বাড়ার সাথে সাথে বাংলাদেশে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সংখ্যাও দিনকে দিন বাড়ছে । বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫০০০ এর উপর গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। যেগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে পোশাক উৎপন্ন করা হচ্ছে। ৯০ দশকের পর নারীদের অন্তর্ভুক্তি এই শিল্পকে আরো গতিশীল করে তোলে।
দারিদ্র[সম্পাদনা]
১৬ কোটি জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে একটি বিশ্ব ব্যাংকের মতে, বাংলাদেশের চরম দারিদ্র্যের হার ২০১৬ সালে ১২.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের মুখ্য উন্নয়নের প্রশংসা করেন, যেখানে ১৯৯১ সালের ৪৪.২ শতাংশ থেকে দারিদ্র্যের এই হার ২০১০ সালে ১৮.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ তার দারিদ্র্যের হার কমাতে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করছে এবং বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের বড় সুযোগ রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দারিদ্র্যতা হল বাংলাদেশের একটা বহুমাত্রিক সমস্যা। এইটি অনেক বছর ধরেই এদেশকে আকড়ে ধরে আছে।
বাংলাদেশের দারিদ্র্য হার ২০১৯ : দারিদ্র্য হার ২০.৫ এবং হত দারিদ্র্য হার ১০.৫।
বৈদেশিক খাত[সম্পাদনা]
দেশজ খাত[সম্পাদনা]
রপ্তানি খাত[সম্পাদনা]
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৩ সালে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৩৪৮.৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ; যার সিংহভাগ (৯০%) আসত পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে৷ তৎকালীন অন্যান্য প্রধান রপ্তানী পণ্যের মধ্যে অন্যতম চা শিল্প ও চামড়া শিল্প৷ পরবর্তী চার দশকে বাংলদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান অবস্থায় পৌঁছানোর পেছনে প্রধান খাত হল তৈরি পোশাক শিল্প৷ অন্যান্য সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাত হল ঔষধ শিল্প ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সরকারি ব্যয়ের ধারা[সম্পাদনা]
বাৎসরিক উন্নয়ন পরিকল্পনা[সম্পাদনা]
একনজরে[সম্পাদনা]
১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ অর্থনীতিতে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে। ১৯৯০ দশকে প্রভূত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাধিত হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের এখনও বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠানের অদক্ষতা সত্ত্বেও এখানে দ্রুত শ্রমিক শ্রেণী বৃদ্ধি পেয়েছে যাদেরকে কেবল কৃষি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয়। একারণে সরকার বিভিন্ন বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে বিভিন্ন বিদেশী কোম্পানিকে অনুমোদন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আগ্রহ সৃষ্টি এবং প্রশাসনের বিরোধিতা সত্ত্বেও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদন উল্লেখযোগ্য। ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দের ভয়াবহ বন্যার পর দেশটির অর্থনীতি আবার বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভর করতে শুরু করে। অবশ্য এখন পর্যন্ত পূর্ব এশীয় অর্থনৈতিক মন্দাবস্থার কোন প্রভাব বাংলাদেশের ওপর পড়েনি। বিশ্ব ব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী বর্তমান বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হওয়ার কথা প্রায় ৬.৫%। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ ১০% কমে গেছে। তবে অনেক অর্থনীতিবিদ এটিকে স্বনির্ভরতা অর্জনের পথে একটি শুভলক্ষণ হিসেবে দেখে থাকেন। রপ্তানিতে ৯ মাসে দেশটিতে ১৮% প্রগতি সাধন হয়েছে এবং রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২৫% হারে। ২০০৫ অর্থবছরে রপ্তানি ছিল প্রায় ১০.৫ বিলিয়ন ডলার যা অনুমিত পরিমানের চেয়ে ০.৪ বিলিয়ন ডলার বেশি। ২০০৬ সালের জন্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১১.৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৬ অর্থবছরের জন্য জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬.৭%।
মূল অর্থনৈতিক সূচক | |
---|---|
জিডিপি-ক্রয়ক্ষমতা সমতা | ২৭৫ বিলিয়ন ডলার (২০০৪ অনুমিত) |
জিডিপি-প্রকৃত প্রবৃদ্ধি হার | ৭.০% (২০০৬ অনুমিত) |
জিডিপি-মাথাপিছু: ক্রয়ক্ষমতা সমতা | ২,০০০ ডলার(২০০৪ অনুমিত) |
সাহায্য-মাথাপিছু | $১০.১ (২০০৩) |
জিডিপি-খাতওয়ারী | |
কৃষি | ২০.৫% (২০০৪) |
শিল্প | ২৬.৭% (২০০৪) |
সেবা | ৫২.৮% (২০০৪) |
আয়, মঞ্জুরি বহির্ভূত | ২৩.৪% (২০০৪) |
দারিদ্রসীমার নিচে জনসংখ্যা | ৩৫.৬% (১৯৯৫-৯৬ অনুমিত) |
পারিবারিক আয় অথবা ভোগ, শতাংশ হারে | |
সর্বনিম্ন ১০% | ৩.৯% |
সর্বোচ্চ ১০% | ২৮.৬% (১৯৯৬) |
মূল্যস্ফীতি হার (ভোক্তা মূল্য) | ৫.৮% (২০০০) |
শ্রম শক্তি | ৬৪.১ মিলিয়ন (১৯৯৮) |
নোট: সোদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অমান, কাতার ও মালয়েশিয়াতে উচ্চ হারে শ্রম শক্তি রপ্তানি হয়েছে; শ্রমিকদের রেমিটেন্স ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ১.৭১ বিলিয়ন ডলার হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল | |
শ্রম শক্তি-পেশা হিসেবে | |
কৃষি | ৬৫% |
সেবা | ২৫% |
শিল্প ও খনি | ১০% (১৯৯৬) |
বেকারত্বের হার | ৩.৬% (২০০২) |
বাজেট | |
আয় | ৪.৯ বিলিয়ন ডলার |
ব্যয় | ৬.৮ বিলিয়ন ডলার, মূলধন ব্যয় সহ (২০০০) |
শিল্প | পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদন, সূতা কাপড়, তৈরি পোষাক, চা প্রক্রিয়াকরণ, কাগজ নিউজপ্রিন্ট, সিমেন্ট, রাসায়নিক, হালকা প্রকৌশল, চিনি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সার |
শিল্প উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হার | ৬.২% (২০০১) |
বিদ্যুত-উৎপাদন | ১৩.৪৯৩ বিলিয়ন কিলো ওয়াট (২০০০) |
বিদ্যুত-উৎপাদন, উৎস হিসেবে | |
জীবাশ্ম জ্বালানি | ৯২.৪৫% |
পানিসম্পদ | ৭.৫৫% |
অন্যান্য | ০% (২০০০) |
বিদ্যুত-ব্যবহার | ১২.৫৪৮ বিলিয়ন কিলো ওয়াট (২০০০) |
বিদ্যুত-রপ্তানি | ০ কিলো ওয়াট (২০০০) |
বিদ্যুত-আমদানি | ০ কিলো ওয়াট (২০০০) |
শিল্প ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য | |
কৃষি-পণ্য | ধান, পাট, চা, গম, ইক্ষু, আলু, তামাক, ডাল, তৈলবীজ, মশলা, ফল-ফলাদি; মাংস, দুধ, পোলট্রি |
রপ্তানি | ৬.৬ বিলিয়ন ডলার (২০০১) |
রপ্তানি-পণ্য | তৈরি পোষাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, হিমায়িত মৎস ও সামুদ্রিক খাদ্য |
রপ্তানি-সহযোগী | যুক্তরাষ্ট্র ৩১.৮%, জার্মানি ১০.৯%, যুক্তরাজ্য ৭.৯%, ফ্রান্স ৫.২%, নেদারল্যান্ডস ৫.২%, ইতালি ৪.৪২% (২০০০) |
আমদানি | ৮.৭ বিলিয়ন ডলার (২০০১) |
আমদানি-পণ্য | মেশিনারি ও যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক দ্রব্য, লোহা ও ইস্পাত, পোষাক-সামগ্রী, সূতা, খাদ্য, অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি, সিমেন্ট ক্লিংকার |
আমদানি-সহযোগী | ভারত ১০.৫%, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ৯.৫%, জাপান ৯.৫%, সিঙ্গাপুর ৮.৫%, চীন ৭.৪% (২০০০) |
অর্থনৈতিক সাহায্য-গ্রহীতা | ১.৫৭৫ বিলিয়ন ডলার (২০০০ অনুমিত) |
মুদ্রা বিনিময় হার | টাকা (৳) প্রতি মার্কিন ডলারে (US$1) - ৬৯.০০০ (অক্টোবর ২০০৬), ৪৯.০৮৫ (১৯৯৯), ৪৬.৯০৬ (১৯৯৮), ৪৩.৮৯২ (১৯৯৭) |
Source:Discovery Bangladesh |
দেনা - বাহ্যিক: ১৬.৫ বিলিয়ন ডলার (১৯৯৮)
অর্থনৈতিক সাহায্য - গ্রহীতা: ১.৪৭৫ বিলিয়ন ডলার (১৯৯৬/৯৭ অর্থবছর)
মুদ্রা: ১ টাকা (৳) = ১০০ পয়সা
মুদ্রা বিনিময় হার: টাকা (৳) প্রতি মার্কিন ডলারে (US$1) - ৬৯.০০০ (অক্টোবর ২০০৬), ৪৯.০৮৫ (১৯৯৯), ৪৬.৯০৬ (১৯৯৮), ৪৩.৮৯২ (১৯৯৭), ৪১.৭৯৪ (১৯৯৬), ৪০.২৭৮ (১৯৯৫)
অর্থ বছর: ১ জুলাই - ৩০ জুন
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ "World Economic Outlook Database, April 2019"। IMF.org। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৯।
- ↑ "IMF, world economic outlook, April 2018 database"। www.imf.org। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ১৯ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Global Economic Prospects, June 2020"। Asian Development Bank। পৃষ্ঠা 98। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২০।
- ↑ "Decent GDP growth amid extraordinary circumstances"। The Daily Star। ১২ আগস্ট ২০২০।
- ↑ Kabir, FHM Humayan (৮ জুন ২০২০)। "Budget for FY '21: Govt set to target $2,326 per-capita income"। The Financial Express। Dhaka।
- ↑ Gross Domestic Product (GDP) of Bangladesh (Final) 2017-18 (PDF) (প্রতিবেদন) (Final সংস্করণ)। Agargaon, Dhaka 1207: Bangladesh Bureau of Statistics (BBS)। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮। পৃষ্ঠা 5। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Industries helping to achieve record GDP growth"। Dhaka Tribune। ৫ এপ্রিল ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৮।
- ↑ "Poverty rate lowers to 20.5pc in 2018-19"। New Age (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Freeing the poor from poverty and hunger"। The Financial Express (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "South Asia Economic Focus, Spring 2020 : The Cursed Blessing of Public Banks"। openknowledge.worldbank.org। World Bank। পৃষ্ঠা 89। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Select by country: Bangladesh"। World Poverty Clock।
- ↑ Ferreira, Francisco (৪ অক্টোবর ২০১৫)। "The international poverty line has just been raised to $1.90 a day, but global poverty is basically unchanged. How is that even possible?"। Let's Talk Development। The World Bank।
- ↑ "GINI index (World Bank estimate)"। World Bank। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Report on Labour Force Survey (LFS) 2016-17 (PDF)। BBS। জানুয়ারি ২০১৮। পৃষ্ঠা 173। আইএসবিএন 978-984-519-110-4। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ Report on Labour Force Survey (LFS) 2016-17 (PDF)। BBS। জানুয়ারি ২০১৮। পৃষ্ঠা 70। আইএসবিএন 978-984-519-110-4। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "ডুয়িং বিজনেস সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতি বাংলাদেশের | অর্থনীতি"। দৈনিক ইত্তেফাক। ২৪ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Exports from computer services jump 15.24% in FY20"। dhakatribune। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Bangladesh ranks 2nd in WTO export growth index"। Prothom-Alo। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। WTO। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ অবৈধ; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "wto_stat" নাম একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ "Bangladeshi currency strongest among Asian peers"। dhakatribune। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Trade deficit falls by 14.76% in FY19"। ১৯ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Bangladesh"। The World Factbook। Central Intelligence Agency। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৯।
- ↑ Akter, Doulot (২ জুলাই ২০১৮)। "NBR misses revised target by 9.0pc, original 17.0pc"। The Financial Express। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০১৮।
- ↑ "Parliament passes budget for 2020-21 FY"। The daily star। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৯।
- ↑ Karim, Naim Ul (৭ জুন ২০১৮)। "Roundup: Bangladesh unveils about 55.31 bln USD national budget"। xinhuanet.com। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৮।
- ↑ "Sovereigns rating list"। Standard & Poor's। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২। (নিবন্ধন করা প্রয়োজন (সাহায্য))।
- ↑ "Mighty taka puts Bangladesh Bank in a bind"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২৮ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২০।
- ↑ Riaz, Ali; Rahman, Mohammad Sajjadur (২০১৬-০১-২৯)। Routledge Handbook of Contemporary Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা ১৬৫। আইএসবিএন 978-1-317-30876-8।
- ↑ http://earthtrends.wri.org/text/economics-business/variable-638.html
- ↑ "Labor force, total - Bangladesh | Data"। data.worldbank.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "Real GDP growth of Bangladesh"। IMF (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "২৫ বড় অর্থনীতির তালিকায় ঢুকবে বাংলাদেশ"। প্রথম আলো। ২০১৯-০১-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "Report for Selected Countries and Subjects 2019 (Bangladesh)"। IMF (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "Report for Selected Countries and Subjects 2020 (Bangladesh)"। IMF (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "Report for Selected Countries and Subjects 2020 (Bangladesh)"। IMF (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ ক খ "জিডিপিতে ৬৭% অবদান ৫ খাতের"। প্রথম আলো। ২০২০-০১-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "২০১৭-১৮ অর্থবছরের জিডিপি" (PDF)। বিবিএস। ২৫ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Industries helping to achieve record GDP growth"। ঢাকা ট্রিবিউট (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৪-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "প্রবাসী আয়ে বিশ্বে নবম বাংলাদেশ"। প্রথম আলো। ২০১৯-১২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "বিদায়ী বছরে রেমিট্যান্স ১৮৩৩ কোটি ডলার- ২০১৯ সালের রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি"। ভোরের কাগজ।
- ↑ "রেকর্ড রেমিট্যান্স"। দৈনিক ইনকিলাব। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "'ধ্বংসের মুখে বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকরা'"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "করোনাভাইরাস: বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প টিকে থাকতে পারবে?"। বিবিসি বাংলা। ২০২০-০৪-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "বাংলাদেশ এখন রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে দ্বিতীয়"। প্রথম আলো। ২০১৯-০৮-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "বিশ্বের সেরা ১০ কারখানার ৭ টি বাংলাদেশের"। একুশে টিভি। ২০২০-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "চাল, গম ও আমের উপাদন বেড়েছে দেশে, বাঁচাবে কৃষি খাত"। বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "South Asia :: Bangladesh — The World Factbook - Central Intelligence Agency"। www.cia.gov (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "Bangladesh to emerge as 'power house' in drug manufacturing"। The Financial Express। Dhaka। ২৯ আগস্ট ২০১২। ২০১৩-১২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Shipbuilding prospects shine bright"। The Daily Star। ৩ মার্চ ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Bangladesh IT industry going global"। The Daily Star। ৬ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Leather industry aims to cross $1b exports"। The Daily Star। ১৮ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "The prince of steel"। The Daily Star। ১৯ ডিসেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Bangladesh can tap potential in electronics, ICT sectors"। Daily Sun। ২০ এপ্রিল ২০১৩। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Light engineering in limelight"। The Daily Star। ৮ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Bangladesh looks to diversify"। Dhaka Courier। ২১ জুলাই ২০১২। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৩।
- ↑ "Report for Selected Countries and Subjects"। International Monetary Fund। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-১১।
- ↑ "কৃষক কি এমন প্রণোদনা চেয়েছিল"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২।
- ↑ "কৃষির সালতামামী"। কৃষি মন্ত্রনালয়। ১২ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Background Note: Bangladesh". Bureau of South and Central Asian Affairs (March 2008). Accessed 11 June 2008. This article incorporates text from this source, which is in the public domain.
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০০৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (PDF)। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০০৭।
- ↑ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা, অর্থ মন্ত্রনালয়, ১৯৯৬, ২০০৩, ২০১১
বহিসংযোগ[সম্পাদনা]
- Global Economic Prospects: Growth Prospects for South Asia The World Bank, Dec. 13, 2006
- Bangladesh: Strategy for Sustained Growth, The World Bank, 2007-07-27
- Bangladesh Budget 2007 - 2008