বাংলাদেশ আনসার
বাংলাদেশ আনসার | |
---|---|
![]() লোগো | |
সক্রিয় | (১৯৪৮–বর্তমান) |
দেশ | ![]() ![]() |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
ধরন | অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগ, আধা সামরিক বাহিনী |
আকার | প্রায় ৫,৮৪০,০০০ |
গ্যারিসন/সদরদপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
নীতিবাক্য | শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, নিরাপত্তায় সর্বত্র আমরা |
বার্ষিকী | ১২ ফেব্রুয়ারি |
সরঞ্জামাদি | লি এনফিল্ড রাইফেল (রিটায়ার্ড), থ্রী নট থ্রী (রিটায়ার্ড), টাইপ-৫৬ এস এম জি, টাইপ-৫৬ লাইট মেশিনগান, এম-২ ভারি মেশিনগান, টাইপ-৫৬ এসল্ট রাইফেল, ৬০মিঃ মর্টার, টাইপ-৫৬ কার্বাইন, মিলস বোম্ব গ্রেনেড, পাম্প-অ্যাকশন শটগান, এম-৪ শটগান, টাইপ-৫৪ পিস্তল। |
যুদ্ধসমূহ | বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ |
সজ্জা | ১. বীর শ্রেষ্ঠ ২. বীর উত্তম ৩. বীর বিক্রম ৪. বীর প্রতীক |
কমান্ডার | |
মহাপরিচালক | মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিপি, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি [১] |
অতিরিক্ত মহাপরিচালক | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান, বিজিবিএম, পিবিজিএম (বার), এনডিসি [১] |
উপ-মহাপরিচালক (প্রশাসন) | কর্নেল মোহাম্মদ রফিকুল হাসান, পি এস সি [১] |
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একটি বাংলাদেশী আধা-সামরিক বাহিনী। আনুমানিক ৬২ লক্ষ সদস্য নিয়ে এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ একক বাহিনী।[২] এর মূল দায়িত্ব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগ ও সংরক্ষণ। এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। আনসার মুলত একটি আরবি শব্দ যার অর্থ যে ব্যক্তি সাহায্য করে এবং বিশেষ করে তাদের বুঝায় যারা মুহাম্মদ (সা.) এর সাথে মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করে আসা মুহাজিরদেরকে সাহায্য করেন। বর্তমানে এই বাহিনী তিনটি শাখার সমন্বয়ে গঠিত। সেগুলি যথাক্রমে- ব্যাটালিয়ন আনসার, সাধারণ আনসার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি)।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় ভারতীয় গার্ডের কিছু সদস্য, যারা পরবর্তীতে পাকিস্তানের নাগরিক হয়, সেখান থেকে বের হয়ে আনসার বাহিনী গঠন করে। ১৯৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান আনসার আইন দ্বারা আনসার বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান আনসার হিসাবে গঠিত এবং ১৯৪৮ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে[৩]।
স্বাধীনতা পূর্ব[সম্পাদনা]
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, আনসারের বেশির ভাগ সদস্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনীর গেরিলা সদস্য হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর, বাংলাদেশ আইন দ্বারা আনসার বাহিনী আবার পুনর্গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর সরকার আনসার বাহিনীর ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে আনসার বাহিনীকে জনগণের প্রতিরক্ষা বাহিনী হিসেবে মনোনীত করেন।[৪]।
বাহিনীর নাম পরিবর্তন প্রস্তাব[সম্পাদনা]
সম্প্রতি বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি বাহিনীর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্ড করার প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হচ্ছে।[৫]
প্রকাশনা[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি একাডেমি থেকে মাসিক, ত্রি-মাসিক, ষান্মাসিক প্রকাশনা বের করে থাকে।
- প্রতিরোধ শিরোনামে একটি মাসিক প্রতিবেদনমুলক সাময়িকী বা ম্যাগাজিন।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ কর্মকর্তাবৃন্দ
- ↑ Logic। "Ansar-VDP world's largest disciplined force: Director General | Bangladesh Sangbad Sangstha (BSS)" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৮।
- ↑ "Take a look at the history"। www.ansarvdp.gov.bd। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "War of Liberation"। www.ansarvdp.gov.bd। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "আনসারে চাকরি ৬ বছরে স্থায়ী বিদ্রোহে মৃত্যুদণ্ড"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-১৯।