জাফরুল্লাহ চৌধুরী
জাফরুল্লাহ চৌধুরী | |
---|---|
![]() জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী | |
জন্ম | রাউজান, চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে রাউজান উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা, বাংলাদেশ) | ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪১
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
পেশা | চিকিৎসক |
পরিচিতির কারণ | সমাজ সেবা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | দ্য পলিটিক্স অফ এসেনশিয়াল ড্রাগস: দ্য মেকিংস অফ আ সাকসেসফুল হেলথ স্ট্রাটেজি: লেসনস ফ্রম বাংলাদেশ (১৯৯৬) |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৭) |
জাফরুল্লাহ চৌধুরী (জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪১)[১] একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য সক্রিয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা।[২][৩] তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা।[৪] ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]
জাফরুল্লাহর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে।[১] তার বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। পিতামাতার দশজন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড় ।[৫] ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণের পর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[১][৬]
মুক্তিযুদ্ধে অবদান[সম্পাদনা]
বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।[১][৬] তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন এবং তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার “ল্যানসেট”-এ প্রকাশিত হয়।[৬]
পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।[৭] এছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।[১] ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান।[৮]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "আমি শেখ হাসিনারও শুভানুধ্যায়ী : জাফরুল্লাহ চৌধুরী"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৭ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "জাফরউল্লাহর শাস্তি বাংলাদেশের শাস্তি: কাদের সিদ্দিকী"। দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইন। ১২ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "এক ঘণ্টার সাজা খাটলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী"। দৈনিক যায় যায় দিন। ১১ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "জবাব দিতে ডা. জাফরুল্লাহ দুই সপ্তাহ সময় পেলেন"। দৈনিক জনকন্ঠ অনলাইন। ২২ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "কে এই জাফরুল্লাহ চৌধুরী"। www.m.mzamin.com। ২৯ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ গ "ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরি: একটি নাম, একটি ইতিহাস"। মেডি ভয়েস ডটকম। ১৬ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পেলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |