অপরাধ তদন্ত বিভাগ (বাংলাদেশ)
সি.আই.ডি. | |
সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ১৯৭১ |
সদর দপ্তর | মালিবাগ, ঢাকা |
মূল সংস্থা | বাংলাদেশ পুলিশ |
ওয়েবসাইট | www |
অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিশেষ শাখা। এটি সন্ত্রাসবাদ, খুন এবং সংগঠিত অপরাধের তদন্ত করে থাকে। এছাড়াও প্রয়োজন অনুসারে ফরেনসিক সাহায্যও দিয়ে থাকে। ঢাকার মালিবাগে এটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। এটি ডিটেক্টিভ ট্রেনিং স্কুল (গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়) নামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালায়। এই শাখার কর্মীবৃন্দ সাধারণ পোশাকে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
অপরাধ তদন্ত বিভাগ সম্পর্কিত তথ্য[সম্পাদনা]
অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সি আই ডি) বাংলাদেশ পুলিশের অন্যতম প্রাচীন ও বিশেষায়িত বিভাগ। এটি বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষস্থানীয় একটি বিভাগ। আদালতের ঘটনাসমূহের তদন্ত করা এই বিভাগের প্রধান কাজ। এছাড়াও যেসব অপরাধসমূহের বিশেষ তদন্ত প্রয়োজন সেসব তদন্তের দায়িত্বও গ্রহণ করে থাকে। তদন্ত ছাড়াও তারা বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনসমূহকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে থাকে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৮৬১ সালের ৫নং ধারার পর থেকে ব্রিটিশ ভারতের পুলিশ ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়। পুলিশের একটি গোয়েন্দা শাখা খোলার জন্য নিয়মিত বিরতিতে প্রস্তাব আসতে লাগলে ১৯০২-০৩ সালে পুলিশ কমিশনার প্রত্যেক প্রদেশের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগ গড়ে তোলার সুপারিশ করে। তার সুপারিশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন প্রত্যেক প্রদেশের জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি ইন্সপেক্টর এর অধীনে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গড়ে তোলার সুপারিশ করে। এটি রেলওয়ে পুলিশ ও ফিংগার প্রিন্ট ব্যুরো তত্ত্বাবধান করে। বিশেষায়িত ঘটনাগুলো সিআইডি এর কাছে হস্তান্তরিত করা হতে থাকে। পরবর্তীতে ২১ মার্চ ১৯০৫ সালে, ভারত সরকার কমিশন এর প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং ১৯০৭ সালে প্রত্যেক প্রদেশে সিআইডি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলায় সিআইডি সি.ডাব্লিউ.সি এর দ্বারা ১ এপ্রিল ১৯০৭ সালে প্রথম পরিচালিত হয়।
সংগঠন সম্পর্কিত তথ্য[সম্পাদনা]
সিআইডি বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক দ্বারা পরিচালিত হয়। পুলিশের অন্যান্য শাখার মতো এখানেও ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, সুপারিটেন্ডেন্ট, অ্যাডিশনাল সুপারিটেন্ডেন্ট, এসিস্ট্যান্ট সুপারিটেন্ডেন্ট, ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর এবং কন্সটেবল বাহিনী রয়েছে। অফিসারদের পদবির আগে 'বিশেষ' উপসর্গ যুক্ত করা হয়।[১]
সিআইডি সাধারণত নিম্নোক্ত বিষয়গুলো তদন্ত করে থাকে: ১. ডাকাতি ২. সড়কপথ, রেলপথে ডাকাতি ৩. জাল নোট ও স্ট্যাম্প জালিয়াতি ৪. মাদক ও বিষ সম্পর্কিত ৫. প্রতারণা ৬. ভোগ-দখলের জন্য খুন ৭. ইন্সুরেন্স প্রতারণা ৮. মাদক সম্পর্কিত অপরাধ ৯. মুক্তিপণ এর জন্য অপহরণ ১০. প্রাচীন বস্তু পাচার ১১. ব্যাংক জালিয়াতি ইত্যাদি।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Criminal Investigation Department"। ২০১১-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-০৬।