বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স
![]() | |
সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ১৯৮১ |
পূর্ব সংস্থা |
|
ধরন | অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার পরিসেবা |
অধিক্ষেত্র | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
সদর দপ্তর | ৩৮-৪৬ কাজী আলাউদ্দিন সড়ক, ঢাকা-১০০০[২] |
নীতিবাক্য | গতি, সেবা, ত্যাগ |
কর্মী | ১৩,৩১৬ জন (০১/০৪/২০২১ খ্রিঃ পর্যন্ত) |
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী |
|
সংস্থা নির্বাহী |
|
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর (বাংলাদেশ দমকল বাহিনী ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম জনগণের সেবায় নিবেদিত। প্রথম সাড়া প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে এ বিভাগের কর্মীরা অগ্নি নির্বাপণ, অগ্নি প্রতিরোধ, উদ্ধার, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে প্রেরণ ও দেশী-বিদেশী ভিআইপিদের অগ্নি নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে।[১] উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনাকারী সংস্থা হিসেবে সব ধরনের প্রাকৃতিক ও মানবিক দুর্ঘটনার উদ্ধারকার্যে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়াধীন একটি জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম জনগণের সেবায় নিবেদিত। তৎকালীন বৃটিশ সরকার অবিভক্ত ভারতে ১৯৩৯-৪০ সালে দমকল পরিষেবা সৃষ্টি করে। বিভক্তিকালে আঞ্চলিক পর্যায়ে কলকাতা শহরের জন্য কলকাতা ফায়ার সার্ভিস এবং অবিভক্ত বাংলায় বাংলার জন্য (কলকাতা বাদে) বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস সৃষ্টি করা হয়। ১৯৪৭ সালে এই অঞ্চলের দমকল পরিষেবাকে পূর্ব পাকিস্তান ফায়ার সার্ভিস নামে অভিহিত করা হয়। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ভারতে বে-সামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগ প্রাথমিক পর্যায়ে Air Raid Precautions (ARP) এবং পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৫১ সনে আইনি প্রক্রিয়ায় সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর সৃজিত হয়। কর্মব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন রেসকিউ বিভাগ নামে ১টি বিভাগ সৃষ্টি হয়। ১৯৮১সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন ফায়ার সার্ভিস পরিদপ্তর, সিভিল ডিফেন্স পরিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্ধার পরিদপ্তর- এই তিনটি পরিদপ্তরের সমন্বয়ে বর্তমান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরটি গঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট আইন[সম্পাদনা]
বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সকল কার্যক্রম ২০০৩ সনে প্রণীত অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন-২০০৩ এবং ফায়ার সার্ভিস বিধিমালা-১৯৬১ দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।
কাঠামো[সম্পাদনা]
- মহাপরিচালক
- পরিচালক
- উপ-পরিচালক/অধ্যক্ষ
- সহকারী পরিচালক/উপাধ্যক্ষ
- উপ-সহকারী পরিচালক / প্রশিক্ষক / সিনিয়র স্টাফ অফিসার / পিও কাম অ্যাডজুট্যান্ট
- সিনিয়র স্টেশন অফিসার / সহকারী প্রশিক্ষক / অফিসার ইনচার্জ / স্টোর অফিসার
- গুদাম পরিদর্শক
- স্টেশন অফিসার/স্টাফ অফিসার/জুনিয়র প্রশিক্ষক/মোবিলাইজিং অফিসার
- উপ অফিসার
- নেতা
- অগ্নিনির্বাপক কর্মী / নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট / ডুবুরি
- ড্রাইভার
স্টেশন[সম্পাদনা]
বাংলাদেশে ৪৫৬টি বেশি স্টেশন রয়েছে:
- ৮৮ (ক শ্রেণীর স্টেশন)
- ২৫১ (খ শ্রেণীর স্টেশন)
- ২ (খ শ্রেণীর ভূমি ও নদী স্টেশন)
- ১০৪ (গ শ্রেণীর স্টেশন)
- ১১ (নদী স্টেশন)
কিছু প্রথম শ্রেণীর স্টেশনে একজন সিনিয়র স্টেশন অফিসার, অগ্নিনির্বাপক কর্মী, চালক (জনবল-৩৫ জন) এবং অগ্নি নির্বাপণী গাড়ী থাকে, বাকী দ্বিতীয় শ্রেণির স্টেশনে একজন স্টেশন এবং অগ্নিনির্বাপক কর্মী, চালক থাকে।
যন্ত্রপাতি[সম্পাদনা]
নাম | ছবি | উৎপত্তির দেশ | ধরন |
---|---|---|---|
ইসুজু এনপিআর অগ্নি টেন্ডার | ![]() |
![]() |
অগ্নি ইঞ্চিন |
মিৎসুবিশি এল২০০ পিকআপ | ![]() |
![]() |
পিকআপ |
কিংস্টার নেপচুন এল৬ অ্যাম্বুলেন্স | ![]() |
![]() |
অ্যাম্বুলেন্স |
ফোটন টুনল্যান্ড পিকআপ | ![]() |
![]() |
উদ্ধার আদেশ যানবাহন |
এসপিভি-সিনোট্রুক ৩২০ পানির টেন্ডার | ![]() |
![]() |
পানির টেন্ডার |
ইসুজু এফটিআর রাসায়নিক টেন্ডার | ![]() |
![]() |
রাসায়নিক টেন্ডার |
এসপিভি-সিনোট্রুক ২২০ ফোম টেন্ডার | ![]() |
![]() |
ফোম টেন্ডার |
মাগিরাস মাল্টিস্টার ২ | ![]() |
![]() |
বহুমুখী বাহন |
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৪।
