স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স

এই পাতাটি স্থানান্তর করা থেকে সুরক্ষিত।
এই পাতাটি অর্ধ-সুরক্ষিত। শুধুমাত্র নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরাই সম্পাদনা করতে পারবেন।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের প্রতীক
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের পদচিহ্ন
সংস্থার রূপরেখা
গঠিত১৫ জুন ১৯৮৬; ৩৭ বছর আগে (1986-06-15)
সদর দপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
নীতিবাক্যআল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ রক্ষাকর্তা
বার্ষিক বাজেটগোপনীয়
সংস্থা নির্বাহী
মূল সংস্থানাই (স্বাধীন)
ওয়েবসাইটhttp://www.ssf.gov.bd/

স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (সংক্ষেপেঃ এসএসএফ) বা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী একটি বাংলাদেশী আইন প্রয়োগকারী বিশেষ সংস্থা যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্টপতি, জাতির পিতার পরিবারবর্গসহ রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তায় নিয়োজিত।[১][২][৩] এসএসএফ বেসামরিক প্রশাসন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় সাধন করে দেশ ও দেশের বাইরে উল্লেখিত ব্যক্তিদের শারীরিক নিরাপত্তায় যেকোন ধরনের হুমকি থেকে রক্ষা ও সেগুলো প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এছাড়াও তারা অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাড়ি ও অফিসে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।[৪]

এসএসএফের কার্যক্রম পরিচালনায় যেকোন সময় প্রয়োজন হলে তারা দেশের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেমন, আধা সামরিক বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাহায্য নিতে পারে।

ইতিহাস

১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চের ঘোষণা অনুসারে, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালে “প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স অর্ডিন্যান্স” নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করেন যা একই বছর ১৯শে জুন থেকে কার্যকর হয়।[৫] পূর্বের ঘোষণা অনুসারে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এরশাদের তত্ত্বাবধানে রাষ্ট্রপতি ও বিদেশ থেকে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তার জন্য ১৫ই জুন ১৯৮৬ সালে “প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স” নামে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠন করেন।[৬] পরবর্তিতে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সালে এর নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স নামকরণ করা হয়।

যদিও প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্র কর্তৃক ঘোষিত অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা প্রদানে এসএসএফ গঠিত হয়েছিল কিন্তু সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সরকার প্রধানকেও এসএসএফ নিরাপত্তা প্রদান করে আসছে এবং এ সংস্থাটিকে তখন থেকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতারের অধিকার দেওয়া হয়। ১৫ই অক্টোবর ২০০৯ সালে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন গ্যাজেট আকারে প্রকাশ হওয়ার পর, সংস্থাটি বর্তমানে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদেরও সর্বস্থানে নিরাপত্তা প্রদান করছে।[৭][৮][৯][১০][১১]

তথ্যসূত্র

  1. "Govt to upgrade SSF's communications | Dhaka Tribune"archive.dhakatribune.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "Bangabandhu family to get more security, free utility, foreign treatment"। ২০১৫-০৫-২৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০১ 
  3. "Police launches SPBn for VVIP security | Dhaka Tribune"archive.dhakatribune.com। ২০১৭-০৩-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০১ 
  4. "Kerry to visit RMG, hold formal meetings in 9-hr stay"। ২০১৬-১০-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০১ 
  5. http://bdlaws.minlaw.gov.bd/print_sections_all.php?id=698,
  6. "এসএসএফ সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মধ্যাহ্নভোজ"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৭ 
  7. http://bdlaws.minlaw.gov.bd/bangla_all_sections.php?id=1028
  8. Rahman, Shameema (২০০৯-০৮-১৯)। "Bangladesh: Law to Protect Family Members of the Founding Father | Global Legal Monitor"www.loc.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২২ 
  9. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭ 
  10. "Law on security of Bangabandhu family okayed"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৯-০৭-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২২ 
  11. "ত্রিশ বছরে এসএসএফ"দৈনিক সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ২৯ এপ্রিল ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ