আবদুল গণি (মেজর)
আবদুল গণি | |
---|---|
ডাকনাম | টাইগার গণি |
জন্ম | ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কুমিল্লা জেলা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১১ নভেম্বর ১৯৫৭ ফ্রাঙ্কফুর্ট, পশ্চিম জার্মানি |
সমাধি | কুমিল্লা সেনানিবাস |
আনুগত্য |
|
সার্ভিস/ | |
কার্যকাল | ১৯৪১-১৯৫৪ |
পদমর্যাদা | মেজর |
নেতৃত্বসমূহ | ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর প্রতিষ্ঠাতা |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ |
মেজর আবদুল গণি (১৯১৯-১১ নভেম্বর ১৯৫৭) ছিলেন একজন বাঙালি সামরিক কর্মকর্তা[১]
প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]
আবদুল গণি পূর্ব বাংলার কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নাগাইশ গ্রামে ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে কুমিল্লা এবং পরে কলকাতায় পড়াশোনা করেছেন। কলকাতায় তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪০ সালে স্নাতক হন।[১]
সামরিক জীবন[সম্পাদনা]
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ১৯৪১ সালে আবদুল গণি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন পান। তিনি বার্মা সেক্টরের লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। সাহসিকতার জন্য তিনি "টাইগার গণি" নামে পরিচিত ছিলেন।[১]
ভারত বিভাগের পর তিনি ১৯৪৮ সালে ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতি পান। আবদুল গণি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পানির দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।[১][২]
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
১৯৫৪ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হন। তার মেয়াদকালে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন।[১] ভাষা আন্দোলনেও তিনি ভূমিকা পালন করেছেন।[২]
মৃত্যু[সম্পাদনা]
মেজর আবদুল গণি ১৯৫৭ সালের ১১ নভেম্বর পশ্চিম জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে মারা যান। এখানে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ভেটেরান সোলজার্স কনফারেন্সে তিনি পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। কুমিল্লা সেনানিবাসে তাকে দাফন করা হয়েছে।[১]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ মুহাম্মদ লুৎফুল হক (২০১২)। "গণি, মেজর আবদুল"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ ক খ BSS। "Khosru recalls contribution of Major Gani"। bssnews.net। BSS। ২০১৫-০৯-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১২, ২০১৫।