আমিনুল ইসলাম (মৃত্তিকা বিজ্ঞানী)
আমিনুল ইসলাম | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ১ জানুয়ারি ১৯৩৫ |
মৃত্যু | ২৯ নভেম্বর, ২০১৭ |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | ![]() |
শিক্ষা | পিএইচডি (মৃত্তিকা বিজ্ঞান) |
মাতৃশিক্ষায়তন | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি |
পেশা | শিক্ষাবিদ |
কর্মজীবন | ১৯৯৬-২০০০ (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়) এবং ২০০১-২০১১ (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি |
পরিচিতির কারণ | শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী |
আদি নিবাস | কুমিল্লা |
বোর্ড সদস্য | বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি |
পুরস্কার | স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯০) |
অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম (জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯৩৫ - মৃত্যু: ২৯ নভেম্বর ২০১৭) হলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত মৃত্তিকা বিজ্ঞানী এবং শিক্ষাবিদ।[১] মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও গবেষণা প্রযুক্তিতে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে তাকে “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[২]
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি:
[সম্পাদনা]আমিনুল ইসলাম ১৯৩৫ সালের ১ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলার হোমনা থানা নাগের চর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষাজীবন
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৬০ সালে মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচ.ডি. সম্পন্ন করেন।[৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]আমিনুল ইসলাম ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে জুনিয়র লেকচারার হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৭৩ সালে তিনি অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পান।[১] তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়[৪] এবং ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ড্যাফোডিল ইউনিভার্তিটির উপাচার্য্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৩][৫] ২০১৬ - ২০১৮ মেয়াদে সায়েন্স কাউন্সিল অব এশিয়ার সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্সস (BAS)–এর সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]ড. আমিনুল ইসলাম বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ৮৩ বছর বয়সে ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[৪]
পুরস্কার ও সম্মননা
[সম্পাদনা]বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৯০ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৬][৭][৮] হিসাবে “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রচলণকালীনই তাকে “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম সায়েন্স কাউন্সিল অব এশিয়ার সভাপতি নির্বাচিত"। দৈনিক নয়াদিগন্ত অনলাইন। ২ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "Dr. Aminul Islam"। Daffodil International University। ২১ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আমিনুল ইসলামের মৃত্যু"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম অনলাইন। ২৯ নভেম্বর ২০১৭। ২৯ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Encourage children to study science"। দ্য ডেইলি স্টার। ২৩ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী
- ১৯৩৫-এ জন্ম
- ২০১৭-এ মৃত্যু
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
- কুমিল্লা জেলার ব্যক্তি
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য
- বাংলাপিডিয়ার সম্পাদক
- বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী
- বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো