প্রাণ গোপাল দত্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রাণ গোপাল দত্ত
কুমিল্লা-৭ আসনের
সংসদ সদস্য
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
পূর্বসূরীআলী আশরাফ
বিএসএমএমইউর উপাচার্য
কাজের মেয়াদ
২০০৯ – ২০১৫
উত্তরসূরীকামরুল হাসান খান
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম১ অক্টোবর ১৯৫৩
মহিচাইল, চান্দিনা, কুমিল্লা, পাকিস্তান
(বর্তমান বাংলাদেশ)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীজয়শ্রী রায় জয়া
সন্তানএক ছেলে ও এক মেয়ে
প্রাক্তন শিক্ষার্থীচট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ
ভিক্টোরিয়া কলেজ
চান্দিনা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
পুরস্কারস্বাধীনতা পুরস্কার (২০১২)

প্রাণ গোপাল দত্ত (জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৫৩) বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক ও রাজনীতিবিদ।[১] তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য।[২][৩] চিকিৎসা সেবায় অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে “চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কারর” প্রদান করেন।[১][৪]

২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে তিনি কুমিল্লা-৭ আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

গোপাল ১ অক্টোবর ১৯৫৩ সালে কুমিল্লার চান্দিনার মহিচাইলে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কালা চান দত্ত এবং মা কিরণ প্রভা দত্তের ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

মহিচাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখা-পড়া করে। ১৯৬৮ সালে কুমিল্লার চান্দিনা পাইলট হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ১৯৭০ সালে ইন্টার পাশ করেন। এর পর ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। এরপর ২০ জানুয়ারি ১৯৮০ সালে স্কলারশিপ নিয়ে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়ে প্রথমে মাস্টার্স (এমএস), এবং পরবর্তীতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ৭ জুলাই ১৯৮৩ সালে দেশে ফিরেন।[৫]

১৮ জুন ১৯৭৯ সালে তিনি জয়শ্রী রায় জয়াকে (ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে সহযোগী অধ্যাপক) বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে অরিন্দম দত্ত, এক মেয়ে, সন্তান অনিন্দিতা দত্ত।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

প্রাণ গোপাল দত্ত ১৯৭৭ সালে প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। নাক কান গলা বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও রংপুর মেডিকেল কলেজর সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। অধ্যাপক হিসেবে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে নিয়োজিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৯ সালে যোগদান করেন নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান পদে। ২০০০ সালে ট্রেজারার পদে দায়িত্ব পান তিনি। এই পদে দায়িত্ব পালন করেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত পর্যন্ত। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

গোপাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্র লীগের রাজনীতি শুরু করেন। তিনি কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।

৩০ জুলাই ২০২১ সালে কুমিল্লা-৭ আসনের সংসদ সদস্য আলী আশরাফ মৃত্যুবরণ করলে শূন্য আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।[৬]

গ্রন্থ[সম্পাদনা]

গোপাল বিভিন্ন বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেন। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:

  • একান্ত ভাবনা
  • অবিচল সতর্কতা: স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য
  • পদোন্নতির সাতকাহন
  • যুবসমাজ ও মূল্যবোধ
  • আমার যত কথা
  • সমকালীন ভাবনা

পুরস্কার ও সম্মননা[সম্পাদনা]

গোপাল চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৭][৮][৯] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” লাভ করেন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "প্রখ্যাত ব্যক্তি"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. "১২০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৯ 
  3. "অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত স্বেচ্ছায় অবসরে"সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৩-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-০৬ 
  4. "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  5. "এমপি হলেও 'ডাক্তারি ছাড়ব' না: প্রাণ গোপাল দত্ত"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  6. "কুমিল্লায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হচ্ছেন প্রাণ গোপাল"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ 
  7. সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম[[বাংলাপিডিয়া]]ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  8. "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭ 
  9. "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭