নেপালি মন্দির
নেপালি মন্দির | |
---|---|
नेपाली मंदिर | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | বারাণসী |
ঈশ্বর | শিব |
উৎসবসমূহ | মহাশিবরাত্রি নাগ পঞ্চমী |
অবস্থান | |
অবস্থান | ললিতা ঘাট, বারাণসী |
রাজ্য | উত্তরপ্রদেশ |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৫°১৮′৩৫″ উত্তর ৮৩°০০′৪৬″ পূর্ব / ২৫.৩০৯৮২১° উত্তর ৮৩.০১২৮৫৯° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | প্যাগোডা |
সৃষ্টিকারী | রানা বাহাদুর শাহ ও গির্ভান যোদ্ধা বিক্রম শাহ দেব (নেপালের রাজা) |
সম্পূর্ণ হয় | ১৮৪৩ |
উচ্চতা | ৭৮.১৬১ মি (২৫৬ ফু) |
নেপালি মন্দির ভারতের পবিত্র শহর বারাণসীর অন্যতম প্রাচীন এবং বিখ্যাত মন্দির। এটি শ্রী সম্রাজেশ্বর পশুপতিনাথ মহাদেব মন্দির নামেও পরিচিত। এছাড়া মন্দিরটি সাধারণ মানুষের কাছে কাঁথাওয়ালা মন্দির (অনু. কাঠের মন্দির) এবং মিনি খাজুরাহো নামেও পরাচিত। এটি ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত। ১৯শ শতাব্দীতে নেপালের রাজা এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। মন্দিরটি পোড়ামাটি, পাথর এবং কাঠের সামগ্রী দিয়ে নেপালের কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে।[১] [২][৩][৪][৫]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
নেপালের রাজা রানা বাহাদুর শাহ ১৮০০ থেকে ১৮০৪ সাল পর্যন্ত বারাণসীতে নির্বাসিত হন এবং নিজেকে "স্বামী নির্গুণন্দ" উপাধি দেন। নির্বাসনে থাকাকালীন তিনি বারাণসীতে পশুপতিনাথ মন্দিরের আদলে একটি মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। বারাণসীতে তার নির্বাসনবাসের সময় মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মন্দির নির্মাণের কাজ চলার সময় রাজা রানা বাহাদুর শাহ নেপালে ফিরে যান। ১৮০৬ সালের ২৫ এপ্রিল রানা বাহাদুর শাহকে তার সৎ ভাই শের বাহাদুর শাহ ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। রাজা শাহের পুত্র গির্ভান যোদ্ধা বিক্রম শাহ দেব নির্ধারিত সময়সীমার ২০ বছর পরে মন্দির প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করেন। এরপর ১৮৪৩ সালে এই জমিটি কাশীর রাজা রানা বাহাদুর শাহকে হস্তান্তর করে দেন। মন্দির সংলগ্ন এলাকা ললিতা ঘাট এবং একটি ধর্মশালা নেপাল সরকারের অধীন।[১][২][৩][৪]
নির্মাণ[সম্পাদনা]
মন্দিরটি টেরাকোটা, পাথর এবং কাঠ দিয়ে তৈরি। এটি সম্পূর্ণ হতে তিন দশক সময় লেগেছে। এটি নির্মাণে যে কাঠ ব্যবহার হয়েছে সেগুলি উইপোকারোধী। এটি নেপালি স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এবং এর চারপাশে তেঁতুল এবং অশ্বত্থ গাছ রয়েছে। মন্দিরের স্থাপত্যে প্যাগোডা শৈলীর ছাপ রয়েছে। এটিতে খাজুরাহো স্মারকসমূহে প্রদর্শিত ভাস্কর্যগুলির অনুরূপ শিল্পরীতি কাঠে খোদাই করা বিধায় একে "মিনি খাজুরাহো"ও বলা হয়।[১][২][৩][৪]
অবস্থান[সম্পাদনা]
নেপালি মন্দির বারাণসীর ললিতা ঘাটে অবস্থিত। এটি বারাণসী জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩.৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং মণিকর্ণিকা ঘাট থেকে ১০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।[৬]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ "Nepali Mandir"। ixigo.com। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "A piece of Nepal in Varanasi"। The Times of India। ১১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "This ghat of Goddess Lalita"। The Times of India। ৩০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "Kathwala Temple"। TripAdvisor। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Information"। buzzntravel। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Location"। Google Maps। ১২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৫।
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |