ললিতা ঘাট
ললিতা ঘাট | |
---|---|
স্থানীয় নাম হিন্দি: ललिता घाट | |
অবস্থান | বারাণসী |
স্থানাঙ্ক | ২৫°১৮′৩৬″ উত্তর ৮৩°০০′৪৮″ পূর্ব / ২৫.৩১০০১৩° উত্তর ৮৩.০১৩২৭৬° পূর্ব |
উচ্চতা (সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে) | ৭৩.৯ মিটার |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮০০-১৮০৪ |
প্রতিষ্ঠাতা | রানা বাহাদুর শাহ |
নির্মিত | ১৯শ শতাব্দী |
পরিচালকবর্গ | বারাণসী নগর নিগম |
মালিক | বারাণসী নগর নিগম |
ললিতা ঘাট বারাণসীর গঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রধান ঘাট। হিন্দু দেবী ললিতার নামে ঘাটটির নামকরণ করা হয়েছে। ১৯শ শতকের প্রথম দিকে নেপালের রাজা রানা বাহাদুর শাহ এটি নির্মাণ করেন। ঘাটের পাশে বিখ্যাত নেপালি মন্দির এবং ললিতা গৌরী মন্দির রয়েছে।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]নেপালের রাজা রানা বাহাদুর শাহ ১৮০০ থেকে ১৮০৪ সাল পর্যন্ত বারাণসীতে নির্বাসিত হন এবং নিজেকে "স্বামী নির্গুণন্দ" উপাধি দেন। নির্বাসনে থাকাকালীন তিনি বারাণসীতে কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথ মন্দিরের প্রতিরূপ একটি মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। বারাণসীতে তার নির্বাসনবাসের সময় মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণের সময় রাজা শাহ নেপালে ফিরে যান। ১৮০৬ সালের ২৫ এপ্রিল রানা বাহাদুর শাহকে তার সৎ ভাই শের বাহাদুর শাহ ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। তাঁর পুত্র গির্ভান যোদ্ধা বিক্রম শাহ দেব একটি মন্দির (বর্তমানে নেপালি মন্দির বলা হয়), একটি ধর্মশালা এবং ললিতা ঘাট নির্মাণের কাজ হাতে নেন। অবশেষে নির্ধারিত সময়সীমার ২০ বছর পরে নির্মাণ কাজগুলি সম্পন্ন হয়েছিল।[২] [৩] [৪]
নামকরণ এবং ধর্মীয় বিশ্বাস
[সম্পাদনা]হিন্দু দেবী ললিতার নামে ঘাটটির নামকরণ করা হয়। দেবী ললিতা হলেন হিন্দু বিশ্বাসের দশ মহাবিদ্যার দশ দেবীর একটি রূপ। দশ-মহাবিদ্যায় তিনিই অগ্রগণ্য ও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য সমস্ত মহাবিদ্যা তার বিদ্যায় সমাপ্ত হয় অর্থাৎ শ্রী বিদ্যা। তার স্ত্রী মহা কামেশ্বর। এটি দেবী আদিশক্তির সর্বোচ্চ দিক। পার্বতী হলেন ললিতা মহা ত্রিপুরা সুন্দরীর সম্পূর্ণ অবতার।
একটি জনপ্রিয় বিশ্বাস আছে যে, ললিতা দেবীকে এক ঝলক দর্শন করা মানে সমগ্র বিশ্বকে প্রদক্ষিণ করার মতো একই আশীর্বাদ। এটাও বিশ্বাস করা হয় যে দেবী ললিতার আশীর্বাদ সমস্যা দূর করে এবং সমৃদ্ধি আনে।[১] [৫]
অবস্থান
[সম্পাদনা]ললিতা ঘাট গঙ্গার তীরে অবস্থিত। এটি বারাণসী জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩.৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং মণিকর্ণিকা ঘাট থেকে ১০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "History"। Varanasi.org। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Nepali Mandir"। ixigo.com। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "A piece of Nepal in Varanasi"। The Times of India। ১১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "This ghat of Goddess Lalita"। The Times of India। ৩০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Ghats in Varanasi"। Varanasi.nic.in। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Location"। Google Maps। ১২ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১৫।