গোদাবরী মহা পুষ্করম
গোদাবরী মহা পুষ্করম্ | |
---|---|
ধরন | হিন্দু উৎসব |
পুনরাবৃত্তি |
|
ঘটনাস্থল | প্রধান ঘাটের তালিকা |
অবস্থান (সমূহ) | গোদাবরী নদী |
দেশ | ভারত |
পূর্ববর্তী ঘটনা | ১৪ আগস্ট ২০১৫ |
পরবর্তী ঘটনা | ২০২৭ |
অংশগ্রহণকারী | ১১ কোটি (অন্ধ্রপ্রদেশের ৬.৪ কোটি + তেলেঙ্গানার ৪.৬ কোটি) (সরকারী হিসাবমতে)[১] |
ক্ষেত্র | মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, ছত্তিসগড়, অন্ধ্র প্রদেশ |
বাজেট | আইএনআর(INR) ২৩০০ কোটি (২০১৫) |
কার্যকলাপ | পবিত্র নদীতে অবগাহন ও তত্রস্থ মন্দিরে পূজা ইত্যাদি |
ওয়েবসাইট | |
godavarimahapushkaram.org |
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
গোদাবরী মহা পুষ্করম ( আক্ষ. 'গোদাবরী নদীর বৃহৎ পূজা' ) ছিল একটি হিন্দু উৎসব। এটি ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই উৎসব প্রতি ১৪৪ বছরে একবার অনুষ্ঠিত হয় যা ১২ বছরের গোদাবরী পুষ্করম চক্রের ১২ তম পুনরাবৃত্তির সাথে মিল রেখে করা হয়। [২]
উৎসব শুরু হয় আষাঢ় (জুন/জুলাই) মাসের চতুর্দশীর দিন ( তিথি ) (১৪ তম দিনে) যখন বৃহস্পতি গ্রহ সিংহ রাশিতে প্রবেশ করে। [২] [৩] উৎসবটি "তাত্ত্বিকভাবে" বারো মাস ধরে পালন করা হয় যে গ্রহটি সেই চিহ্নে থাকে। তবে ১২তম দিনটিকে সবচেয়ে পবিত্র মনে করা হয়[৪] [২] [৫] [৩] গোদাবরী পুষ্করমের প্রথম ১২ দিন "আধি পুষ্করম্" ও শেষ ১২ দিন "অন্ত্য পুষ্করালু" নামে পরিচিত। [৬] পরবর্তী মহা পুষ্করম্ ২১৫৯ সালে উদ্যাপিত হবে। [২] গোদাবরী নদীর তীরে একটি প্রধান স্নানস্থানে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ২৭ জন তীর্থযাত্রী, যাদের মধ্যে ১৩ জন মহিলা, মারা গেছে ও ২০ জন আহত হয়েছে যেখানে 'পুষ্করম্' উৎসবের উদ্বোধনী দিনে ভক্তদের বিশাল ভিড় হয়েছিল। [৭]
ব্যুৎপত্তি
[সম্পাদনা]"মহা" মানে "মহান্"। পুষ্করম বলতে নদীর উপাসনাকে বোঝায়। এখানে প্রতি ১২ বছর পর দেবতা পুষ্কর আবির্ভূত হন। [৮] পুষ্করম্ তেলেগুতে পুষ্করালু, তামিলে পুষ্করম, কন্নড় ভাষায় পুষ্করা ও হিন্দিতে পুষ্কর নামে লেখা হয়।
পটভূমি
[সম্পাদনা]পুষ্করম হল একটি ভারতীয় উৎসব যা ১২টি পবিত্র নদীর উপাসনার জন্য নিবেদিত। উৎসবটি প্রতি ১২ বছরে একবার প্রতিটি নদীর ক্ষেত্রে ঘটে। প্রতিটি নদী একটি রাশিচক্রের চিহ্নের সাথে যুক্ত।প্রতি বছরের উৎসবের জন্য নদীটি সেই সময়ে বৃহস্পতির কোন চিহ্নের উপর ভিত্তি করে সংযুক্ত করা হয়। [৩] বিশ্বাস করা হয়, পুষ্করমের সময় পবিত্র নদীতে স্নান করলে ভক্তরা পাপ থেকে মুক্তি পায়। [৮]
গোদাবরী ১২টি পবিত্র নদীর মধ্যে একটি। বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে অবস্থানকালীন প্রতি ১২ বছরে একবার গোদাবরী পুষ্করম সংঘটিত হয়। মহা পুষ্করম ("মহান্ পুষ্করম") প্রতি ১৪৪ বছরে একবার হয়।
উৎসবের তারিখ
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের গোদাবরী পুষ্করম্ একটি মহা পুষ্করম্ বলে মনে করা হয় যা ১৪৪ বছরে একবার হয়। ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই বৃহস্পতি (মঙ্গলবার) সকাল ৬:২৬ টায় সিংহ রাশিতে প্রবেশ করে। তখন মহা পুষ্করম শুরু হয় ও ২৫ জুলাই ২০১৫ তে (শনিবার) ১২ দিন পরে শেষ হয়। [৮]
একাধিক পঞ্জিকা লেখক ও অন্যান্য সংশয়বাদীরা বিতর্ক করেছেন, ১২ গোদাবরী পুষ্করম একটি "মহা পুষ্করম"। রাজ্য দ্রুকঘনিথা অ্যালম্যানাক রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হনমন্তবজ্জুলা সুব্রহ্মণ্য শর্মার মতে, "১৪৪ বছরের তত্ত্বটি পৌরাণিক"। কেউ জানে না "কে এটি গণনা করেছে এবং কীভাবে তারা এটি গণনা করেছে"। [৯]
স্থানের বিশদ বিবরণ
[সম্পাদনা]তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের পাঁচটি জেলায় গোদাবরী নদীর তীরের স্থানগুলিতে তীর্থযাত্রীরা বিখ্যাত মন্দিরে যান। উল্লেখযোগ্য স্থানগুলি হল মন্থনি ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ মে ২০১৬ তারিখে, বাসর, ধর্মপুরী, কোটি লিঙ্গালা, কালেশ্বরম, ভদ্রাচলম [১০] তেলেঙ্গানা, রাজমুন্দ্রি, [১১] অন্ধ্রপ্রদেশের কভভুর, নরসাপুরম, অন্তর্বেদী ।
সু্যোগ - সুবিধা
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের মহা পুষ্করম উৎসবে অন্ধ্র প্রদেশের ৪.৮১ কোটি ও ভারতের সমস্ত রাজ্যের মধ্যে তেলেঙ্গানা রাজ্যের ৫.৭ কোটি মানুষ সমবেত হয়েছিল। [১২] এই উপলক্ষ্যে, উন্নত শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতার অনুমিত সুবিধা পেতে গোদাবরী নদীতে পবিত্র স্নান অপরিহার্য। [১৩] অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা সরকার তাদের নিজ নিজ রাজ্যে এই অনুষ্ঠানের জন্য সমস্ত বন্দোবস্ত করেছে যেমন স্নানঘাট তৈরি, রাস্তা যোগাযোগের উন্নতি, জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও শৌচাদির মৌলিক সুবিধা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি ।
অন্ধ্রপ্রদেশে অবকাঠামোগত সুবিধার উন্নতির জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছিল ১,২৯৫ কোটি টাকা । [৪]
প্রতীকবাদ
[সম্পাদনা]এই উৎসবের জন্য রাজ্য সরকার দ্বারা "গোদাবরী মহা পুষ্করম ২০১৫" ও "গোদাবরী পুষ্করমালু" শিরোনামের একটি প্রতীক গৃহীত হয়েছে। উৎসব সম্পর্কিত সমস্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একই নামে একটি বিশেষ সংস্থাও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।একটি সাধারণ নকশা সমন্বিত প্রতীক বা লোগোতে গোদাবরী নদীর দ্রুত প্রবাহের অবস্থা, একটি "জ্যোতি" বা প্রদীপ্ত আলো ও সূর্যকে "অর্ঘ্যম্" নামক অর্ঘ্য নিবেদনের প্রতিনিধিত্বের রেখা রয়েছে। [১৪]
উৎসবের সময় প্রস্তাবিত আরেকটি প্রতীকী ঘটনা [১৫] হলো "শোভা যাত্রা"। একটি শোভাযাত্রা গোদাবরী নদীর সীমানায় অবস্থিত ১৩টি জেলার সমস্ত গ্রামে জলাশয়ের সাথে মিশ্রিত করার জন্য গোদাবরী নদীর পবিত্র জল বহন করে। [১৫]
"গোদাবরী হরথী" নামক একটি ধর্মীয় প্রতীকী অনুষ্ঠান, বারাণসীতে গঙ্গার তীরে পরিচালিত গঙ্গা আরতির অনুরূপ বেশ কয়েকটি প্রদীপের সাথে পূজার একটি অনুষ্ঠান রাজমুন্দ্রিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে সমুদ্রের বাইরে নদী প্রবাহিত হয়। [২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Over 11 crore took dip in Godavari during 12 days"। Business Standard India। IANS.in। ২৬ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Godavari Maha Pushkaram 2015"। Official website of Godavari Mahapushkaram Organization। ২ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জুন ২০১৫।
- ↑ ক খ গ Dalal 2014।
- ↑ ক খ "CM Chandrababu reviews Godavari 'Maha Pushkaram'"। Eenadu India.com। ২০১৫-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-১১।
- ↑ Ranee Kumar (২০০৩-০৭-২৬)। "Holy Dip"। The Hindu। ২০১৬-০৭-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Pillai 1996।
- ↑ "Business News Today: Read Latest Business news, India Business News Live, Share Market & Economy News"।
- ↑ ক খ গ "Godavari Pushkaralu 2015 schedule Pushkar Ghat Details"। News19। ৯ জুন ২০১৫। ৫ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Confusion over '144 Year' old Godavari Kumba Mela grips Pushkaram"। Deccan Chronicle। ২০১৪-০৭-১৮।
- ↑ "Bhadrachalam readies for Pushkaralu"। The Hindu। ১৪ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Volunteers flocking to Rajahmundry"। The Hindu। ১৪ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৫।
- ↑ Bureau, Andhra Pradesh (২৫ জুলাই ২০১৫)। "4.81 cr. pilgrims took holy dip in Godavari Pushkaram: AP Minister"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-২৫।
- ↑ "Godavari Pushkaralu"। The Hindu। ২৮ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-২৮।
- ↑ PTI (২০ মে ২০১৫)। "Andhra Pradesh govt chalks out grand plans for Godavari 'Maha Pushkaram"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৮।
- ↑ ক খ "Godavari Mahpushkaram Recap of last 7 days"। ২৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০১৫।
গ্রন্থ পঞ্জী
[সম্পাদনা]- Dalal, Roshen (১৮ এপ্রিল ২০১৪)। Hinduism: An Alphabetical Guide। Penguin Books Limited। আইএসবিএন 978-81-8475-277-9।
- Pillai, L.D.S. (১ ডিসেম্বর ১৯৯৬)। Panchang and Horoscope। Asian Educational Services। আইএসবিএন 978-81-206-0258-8।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Godavari Pushkaralu Telangana ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে
- thirukalukundram temple pushkaramela