হিন্দু পরকালবিদ্যা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

হিন্দু পরকালবিদ্যা, হিন্দু ঐতিহ্য অনুসারে দেবতা বিষ্ণুর দশম ও শেষ অবতার কল্কির সাথে যুক্ত, এবং মহাবিশ্বের স্থায়িত্বকাল সমাপ্ত হত্তয়ার আগেই দেবতা হরিহর একই সাথে মহাবিশ্বকে দ্রবীভূত করেন এবং পুনরুৎপাদন করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

হিন্দুধর্ম অনুসারে সময় চক্রাকার, যা কল্প নিয়ে গঠিত। হিন্দুধর্মীয় সৃষ্টিতত্ত্ব অনুযায়ী প্রায় ৮৬৪ কোটি বছর পরপর ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি ও ধ্বংস হয় এবং এই প্রক্রিয়া চক্রাকারে চলতে থাকে।[১] প্রতিটি মহাবিশ্ব ৪.৩২ বিলিয়ন বছর স্থায়ী হয়। এই সময়কালকে এক কল্প বা ব্রহ্মার এক দিন বলা হয়। এক কল্পের সমান সময়কাল পরে আসে ব্রহ্মাণ্ডের প্রলয় বা রাত। সৃষ্টি ও ধ্বংসের মধ্যবর্তি সময়কে বলা হয় ব্রাহ্ম অহোরাত্র। এই কল্পসমূহ আবার অসংখ্য চতুর্যুগে বিভক্ত। বর্তমান যুগকে হিন্দুরা শেষযুগ, কলিযুগ বলে বিশ্বাস করে, এবং এটি শুরু হয়েছিল যখন ভগবান কৃষ্ণ ৩১০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পৃথিবী ত্যাগ করেছিলেন।[টীকা ১] বৰ্তমান কলি যুগ শেষে, প্ৰায় ৪,৩২,০০০ বছর পর বিষ্ণুর অন্তিম অবতার কল্কি কলিযুগের সমাপ্ত করে নতুন সত্যযুগ শুরু করবেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. Calculation excludes year zero. 1 BCE to 1 CE is one year, not two.

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Andrew Zimmerman Jones (২০০৯)। String Theory For Dummies। John Wiley & Sons। পৃষ্ঠা 262। আইএসবিএন 9780470595848