বিরূপাক্ষ মন্দির
বিরূপাক্ষ মন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
জেলা | বেল্লারি |
অবস্থান | |
অবস্থান | পম্পা ক্ষেত্র |
রাজ্য | কর্ণাটক |
দেশ | ভারত |
স্থাপত্য | |
সৃষ্টিকারী | চালুক্য |
হিন্দুধর্ম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
বিরূপাক্ষ মন্দির বেঙ্গালুরু শহর থেকে ৩৫০ কিমি দূরে হাম্পি নামক স্থানে অবস্থিত। [১] এটি দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের অন্তর্গত। হাম্পিতে একগুচ্ছ মন্দির রয়েছে। বিরূপাক্ষ মন্দির সেগুলোরই একটি। সবগুলো মন্দিরই ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি প্রাপ্ত। বিরূপাক্ষ শিবের আরেক নাম।এখানকার সব গুলো মন্দিরই শিব মন্দির।
তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে অবস্থিত হাম্পি ঐতিহাসিক শহর বিজয়নগরের অন্তর্গত ছিল যেটি ছিল বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজধানী। বিরূপাক্ষ মন্দির ছিল হাম্পির প্রধান ও সবথেকে পবিত্র মন্দির। মন্দিরটি সকল প্রকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়েছিল এবং এখনও এখানে পূজা-অর্চনা হয়। এই মন্দিরে প্রধান দেবতা শিব এবং তাঁর পত্নী দুর্গা যিনি এখানে পম্পা নামে পুজিত হন যিনি নিকটস্থ তুঙ্গভদ্রা নদীর সাথে সম্পর্কিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মন্দিরটির কথা সপ্তম শতক থেকে জানা যায়। বিরুপাক্ষ-পম্পা মূর্তি বিজয় নগর সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই প্রকটিত ছিল।[২] এখানকার ছোট মন্দিরটিকেই পড়ে বিজয় নগর সম্রাজ্যের রাজারা বিশাল মন্দির কমপ্লেক্সে রূপান্তরিত করেন। এখানে চালুক্য এবং হয়সালা রাজত্ব আমলেও মন্দির নির্মিত হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। [৩] ১৪ শতকে বিজয় নগর রাজত্বকালে এখানে স্থানীয় শিল্প ও সংস্কৃতির উৎকর্ষতার চরম পর্যায় ছিল। ১৬ শতকে বিজয়নগর সম্রাজ্যের পতনের পর লুটেরারা ধীরে ধীরে এই অসাধারণ শিল্প নিদর্শন গুলো ধ্বংস করা শুরু করে। [৪] ১৫৬৫ সালে শহর ধ্বংসের পরও বিরুপাক্ষ-পম্পার পূজা চালু ছিল। ১৯ শতকের শুরুতে এখানে বড় আকারের সংস্কার কাজ করা হয়। এখানে বিভিন্ন চিত্র সংযুক্ত করা হয় এবং উত্তর ও পূর্বের গপুরা (টাওয়ার)নির্মাণ করা হয়। [২]
মন্দির স্থাপত্য
[সম্পাদনা]বর্তমানে মূল মন্দিরটি তিনটি চেম্বারের সমন্বয়ে গঠিত।