শিয়া-সুন্নি সম্পর্ক
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।November 2018) ( |
![]() |
ইসলাম |
---|
এর ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ: |
![]() |
![]() |
শিয়া ইসলাম |
---|
ধারাবাহিকের অংশ |
![]() |
![]() |
শিয়া ও সুন্নি ইসলাম হল ইসলামের দুটি প্রধান সম্প্রদায়। তারা ৬৩২ খৃষ্টাব্দে ইসলামী নবী মুহাম্মদ (সা.) -র মৃত্যুর পর থেকেই নিজস্ব পক্ষ অবলম্বন শুরু করে। মুসলিম সম্প্রদায়ের খলিফা হিসেবে মুহাম্মদ সাঃ এর উত্তরাধিকার লাভ নিয়ে দ্বন্দ্ব-বিবাদ ইসলামী বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে, ফলশ্রুতিতে জামালের যুদ্ধ ও সিফ্ফিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। কারবালার যুদ্ধের পর এই বিরোধ কিছুটা কমে গেছে, যেখানে উমাইয়া খলিফা প্রথম ইয়াজিদের অধীনে হুসাইন ইবনে আলী ও তার পরিবার-পরিজন নিহত হন, এবং প্রতিশোধের স্পৃহা প্রারম্ভিক ইসলামী সম্প্রদায়কে দুভাগে বিভক্ত করে দেয়, যা বর্তমানে ইসলামী শিয়াবাদ নামে পরিচিত, ইসলামী শব্দটি ব্যবহারের কারণ হল যেন একে খ্রিস্টান শিয়াবাদ হতে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। [২]
শিয়া ও সুন্নিদের বর্তমান জনসংখ্যার অনুপাত নির্ণয় করা কঠিন ও সূত্র অনুযায়ী বিভিন্ন পরিমাণের হলেও, গড় অনুমান অনুযায়ী বিশ্বের ৮০℅ মুসলিম হল সুন্নি আর ২০℅ মুসলিম হল শিয়া, যাদের বেশিরভাগই ১২ ইমাম প্রথার অনুসারী, বাকিরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত।[৩] অধিকাংশ মুসলিম সম্প্রদায়েই সুন্নিরা হল সংখ্যাগরিষ্ঠ: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, চীন, দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা, ও আরব বিশ্বের অন্যান্য অংশে। শিয়ারা যেসব দেশের জনসংখ্যার বড় অংশ সেগুলো হল, ইরাক, বাহরাইন, লেবানন, ইরান ও আজারবাইজান, এছাড়াও তারা পাকিস্তান, সিরিয়া, ইয়েমেন ও কুয়েতে রাজনৈতিকভাবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু হিসেবে পরিগণিত। [১৪]
বর্তমানে, এই দুই গোষ্ঠীর ধর্মীয়চর্চা, ঐতিহ্য, প্রথার মাঝে পার্থক্য রয়েছে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফিকহর সাথে সম্পর্কিত। যদিও সকল কোরআন কে মেনে চলে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সুন্নি-শিয়া সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান হারে সাংঘর্ষিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে,[১৫] বিশেষত ইরান-সৌদি দলীয় বিরোধ। বর্তমানে পাকিস্তান থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত সকল স্থানে আন্তঃদলীয় কোন্দল স্থায়ীরূপ লাভ করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম বিভক্তির এটি অন্যতম কারণ।[১৬][১৭] বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, উদাহরণস্বরূপ বাহরাইনি অভ্যুত্থান, ইরাক যুদ্ধ, দ্ধ[১৮][১৯][২০] এবং স্বঘোষিত আইসিস এর প্রতিষ্ঠা, যা শিয়াদের বিরুদ্ধে গণহত্যার কার্যক্রম চালু করেছে।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
- ইরান-সৌদি আরব দলীয় বিরোধ
- খারেজী
- আম্মান বার্তা
- শিয়া ইসলামের সমালোচনা
- ইসলামের ফিকহ ও শাখা
- রাফিদা
- ইসমাইলিবাদের সপ্তস্তম্ভ
- শিয়া চন্দ্র
- আরব বিশ্বে শিয়া মুসলিম
- শিয়াদের উপর সুন্নি ফতোয়া
- দ্য ওয়ার্ল্ড ফোরাম ফর প্রক্সিমিটি অফ ইসলামিক স্কুলস অফ থট
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Badruddīn, Amir al-Hussein bin (20th Dhul Hijjah 1429 AH)। The Precious Necklace Regarding Gnosis of the Lord of the Worlds। Imam Rassi Society। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ https://www.bbc.com/news/world-middle-east-16047709
- ↑ "Religions"। CIA World Factbook।
- ↑ "Azerbaijan"। CIA Factbook।
- ↑ "India – Iran relations: Converging Interests or Drifting Equations"। Institute for Defence Studies and Analyses। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১০।
- ↑ "Obama's Overtures"। The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১০।
- ↑ "Imperialism and Divide & Rule Policy"। Boloji। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১০।
- ↑ "Ahmadinejad on way, NSA says India to be impacted if Iran 'wronged by others'"। Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১০।
- ↑ Parashar, Sachin (১০ নভেম্বর ২০০৯)। "India, Iran to make common cause over terror from Pak"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০১০।
- ↑ Jahanbegloo, Ramin (১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯)। "Aspiring powers and a new old friendship"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১০।
- ↑ Mehta, Vinod (২ সেপ্টেম্বর ২০০৪)। "India's Polite Refusal"। BBC NEWS। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১০।
- ↑ "India Iran Culture"। Tehran Times। ২৩ এপ্রিল ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১০।
- ↑ "Connecting India with its Diaspora"। Overseas Indian। ২২ এপ্রিল ২০০৮। ৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১০।
- ↑ [৪] ইন্দোনোশিয়ায় বৃহত্তম সুন্নি মুসলিম জনগোষ্ঠী বাস করে, যেখানে ইরানে বিশ্বের বৃহত্তম শিয়া (বারো ইমাম) জনগোষ্ঠী বাস করে। পাকিস্তানের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুন্নি জনগোষ্ঠী রয়েছে, যেখানে ভারতে রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিয়া মুসলিম (বারো ইমাম) জনগোষ্ঠী।[৫][৬][৭][৮][৯][১০][১১][১২][১৩]
- ↑ "The Sunni-Shia Divide"। ৮ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৯।
- ↑ "Ishtiaq Ahmed on Pakistan movement"। lu.se। ১৮ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Sunnis and Shiites"। scribd.com।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি: অবৈধ
<ref>
ট্যাগ;Nasr, Vali 2006, p.106
নামের সূত্রের জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ "Iraq 101: Civil War"। Mother Jones।
- ↑ Arango, Tim; Anne Barnard; Duraid Adnan (১ জুন ২০১৩)। "As Syrians Fight, Sectarian Strife Infects Mideast"। New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৩।
- Kepel, Gilles (২০০২)। Jihad: The Trail of Political Islam। Harvard University Press। আইএসবিএন 9780674010901।
আরও পড়ুন[সম্পাদনা]
![]() |
উইকিউক্তিতে নিচের বিষয় সম্পর্কে সংগৃহীত উক্তি আছে: Sunni-Shia relations। |
- Nasr, Hossein (১৯৭২)। Sufi Essays। Suny press। আইএসবিএন 978-0-87395-389-4।
- The Arab Shia: The Forgotten Muslims, by Graham E. Fuller and Rend Rahim Francke. New York: Saint Martin's Press, 1999, আইএসবিএন ০-৩১২-২৩৯৫৬-৪
- Shi'a Islam, by Muhammad Husayn Tabatabaei and Hossein Nasr, SUNY Press, 1979. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৭৩৯৫-২৭২-৯
- Saudi Clerics and Shia Islam, by Raihan Ismail, Oxford University Press, 2016. আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-০২৩৩৩১-০
- Don’t Fear the Shiites: The Idea of a Teheran-Controlled »Shiite Crescent« over the Greater Middle East is at Odds with Reality, by Michael Bröning. In: International Politics and Society, 3 /2008, pp. 60–75.
- Here Are Some of the Day-To-Day Differences Between Sunnis and Shiites. Azadeh Moaveni. Huffington Post, 25 June 2014
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
![]() |
ইসলাম বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |