সূরা ইখলাস
![]() | |
শ্রেণী | মক্কী সূরা |
---|---|
নামের অর্থ | বিশুদ্ধ |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ১১২ |
আয়াতের সংখ্যা | ৪ |
পারার ক্রম | ৩০ |
রুকুর সংখ্যা | ১ |
সিজদাহ্র সংখ্যা | ০ |
শব্দের সংখ্যা | ১৫ |
অক্ষরের সংখ্যা | ৪৭ |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা লাহাব |
পরবর্তী সূরা → | সূরা ফালাক |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
কুরআন |
---|
ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
![]() |
অনুবাদ |
সূরা আল ইখলাস (আরবি ভাষায়: الإخلاص, বাংলা ভাষায়: নিষ্ঠা) বা সূরা আল-তাওহিদ (আরবি ভাষায়: التوحيد, বাংলা ভাষায়: একেশ্বরবাদ) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১১২ তম সূরা। একে সচরাচর সূরা ইখলাস বা ক্বুল হু আল্লাহু আহাদ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।
সূরা আল ইখলাস-এর আয়াত সংখ্যা ৪টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আল ইখলাস সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরাটিকে ইসলামের শেষ পয়গম্বর মুহাম্মদ (সা:) বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাৎপর্যের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই আয়াতে আল্লাহ্র সবচেয়ে সুন্দর সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে । এটি কুরআনের অন্যতম ছোট একটি সূরা হিসেবেও বিবেচিত হয়ে থাকে।
কুরআনের বিভিন্ন সূরার বিষয়বস্তু প্রধানত: তিন শ্রেণীর যথা আল্লাহর পরিচয়, হয়রত মুহাম্মদ (সা:)-এর রিসালত এবং পরকালের বর্ণনা। সূরা ইখলাসে কেবল আল্লাহ’র কথাই আলোচিত।
পরিচ্ছেদসমূহ
শানে নুযূল[সম্পাদনা]
মুশরিকরা মুহাম্মদ (সা:)-কে আল্লাহ্ তাআলার বংশপরিচয় জিজ্ঞেস করেছিল, যার জওয়াবে এই সূরা নাযিল হয়। অন্য এক বিবরণে আছে যে, মদীনার ইহুদিরা এ প্রশ্ন করেছিল। কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আছে যে, তারা আরও প্রশ্ন করেছিলঃ আল্লাহ্ তাআলা কিসের তৈরি, স্বর্ণ-রৌপ্য অথবা অন্য কিছুর? এর জওয়াবে সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছে ৷[১][২]
অনুবাদ[সম্পাদনা]
আরবি ভাষায় | উচ্চারণ | বাংলায় অনুবাদ |
---|---|---|
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম | ||
قُلۡ هُوَ اللّٰہُ اَحَدٌ*** |
|
|
হাদিস[সম্পাদনা]
- হযরত আবু হোরায়ারা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার রসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ তোমরা সবাই একত্রিত হয়ে যাও। আমি তোমাদেরকে কোরআনের এক তৃতীয়াংশ শুনাব। অতঃপর যাদের পক্ষে সম্ভব ছিল তারা একত্রিত হয়ে গেল এবং তিনি সূরা এখলাস পাঠ করে শুনালেন। তিনি আরও বললেন: এই সূরাটি কোরানের এক তৃতীয়াংশের সমান। - (মুসলিম, তিরমিযী)[৩]
- আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস পাঠ করে তা তাকে বালা-মসীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। - (ইবনে-কাসীর)
- ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা তওরাত, ইঞ্জীল, যবুর ও কোরআনসহ সব কিতাবেই রয়েছে। রাত্রিতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেও না, যতক্ষণ সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা (রাঃ) বলেনঃ সেদিন থেকে আমি কখনও এই আমল ছাড়িনি। - (ইবনে কাসীর)
- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবীব (রাঃ) বর্ণনা করেন, এক রাত্রিতে বৃষ্টি ও ভীষণ অন্ধকার ছিল। আমরা রসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে খুঁজতে বের হলাম। যখন তাকে পেলাম, তখন প্রথমেই তিনি বললেনঃ বল। আমি আরয করলাম, কী বলব? তিনি বললেনঃ সূরা এখলাস ও কূল আউযু সূরাদ্বয়। সকাল-সন্ধ্যায় এগুলো তিন বার পাঠ করলে তুমি প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে। - (মাযহারী)[৪]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ http://quranerkotha.com/ikhlas/
- ↑ নাম="কোরআন">তফসীর মাআরেফুল ক্বোরআন (১১ খন্ডের সংহ্মিপ্ত ব্যাখ্যা)।
- ↑ মারেফুল কোরআন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], পৃষ্ঠা নং ১৪৮৩।
- ↑ মারেফুল কোরআন[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], পৃষ্ঠা নং ১৪৮৪-৮৫
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
- কুরআনের কথা আধুনিক মানুষের জন্য সমসাময়িক ব্যাখ্যা ৷
- ডিজিটাল 'আল কোরআন' - ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ।
- কোরআন শরীফ.অর্গ।
![]() |
ইংরেজি ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: |