- العربية
- مصرى
- Azərbaycanca
- Bosanski
- Català
- کوردی
- Čeština
- Dansk
- Deutsch
- Ελληνικά
- English
- Español
- فارسی
- Suomi
- Français
- Galego
- עברית
- Հայերեն
- Bahasa Indonesia
- Italiano
- 日本語
- ქართული
- Қазақша
- 한국어
- Кыргызча
- മലയാളം
- Bahasa Melayu
- Nederlands
- Norsk bokmål
- Polski
- پنجابی
- پښتو
- Română
- Русский
- Srpskohrvatski / српскохрватски
- Slovenčina
- Svenska
- தமிழ்
- Türkçe
- Українська
- اردو
- Oʻzbekcha/ўзбекча
- 中文
মুতাজিলা
ইসলাম |
---|
বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
![]() |
মুতাজিলা (আরবি: المعتزلة) হল ইসলামি ধর্মতত্ত্বের একটি শাখা।[১][২] এটি কারণ ও যুক্তি আলোচনার উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। ৮ম থেকে ১০ শতাব্দীতে বসরা ও বাগদাদে এর প্রাধান্য ছিল। কুরআন আল্লাহর সৃষ্ট এবং তা সংশোধন যোগ্য বলার কারণে তারা বেশি আলোচিত এবং সমালোচিত। তাদের মতে কুরআন আল্লাহর সাথে একই অস্তিত্বে ছিল না বরং তা আল্লাহর সৃষ্ট।[৩]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
উমাইয়া যুগে মুতাজিলা আন্দোলনের আবির্ভাব হয়। ওয়াসিল ইবনে আতাকে মুতাজিলা মতবাদের জনক হিসেবে ধরা হয়। তিনি ছিলেন হাসান বসরির শিষ্য, একটি মাসলাকে কেন্দ্রকরে তিনি হাসান বসরীর মতাবাদ থেকে বের হয়ে নিজে একটি মতাদর্শ চালু করেন, যা মুতাজিলা মতবাদ নামে পরিচিতি পায়। মুতাজিলা শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় "নিজেকে আলাদা করে নেয়া বা কিছু থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া"।
আব্বাসীয় যুগে এটি রাজনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় কারণ আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুন এই মতবাদ গ্রহণ করেন। কিন্তু এই মতবাদকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ধর্মীয় নিপিড়ন শুরু হয় শিয়া, সুন্নি আলেমদের উপর এবং অন্য যারা এই মতবাদ গ্রহণ করে নি। এই নীতি পনের বছর (৮৩৩-৮৪৮ খ্রিষ্টাব্দ) ধরে চলে এবং এই সময়ের মধ্যে একজন বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম ইমাম আহমদ বিন হাম্বল কারারুদ্ধ হন। মুতাজিলা মতবাদের আলেমরাও এই সকলের প্রতিবাদ না করে নিরব থাকেন। পরে আল-মুতাওয়াক্কিল (১০ম আব্বাসীয় খলিফা) ক্ষমতায় এলে বিন হাম্বল মুক্তি পান।
চিন্তাধারা[সম্পাদনা]
মুতাজিলাদের চিন্তাধারাকে পাঁচটি মূলনীতির মধ্যে সংক্ষিপ্ত করা যায়ঃ
১। তারা আল্লাহর নাম ও গুণাবলী তথা সিফতকে আল্লাহর সাথে অন্তর্ভুক্ত করতে স্বীকার করে না। তারা যুক্তি দেয় আল্লাহকে কোন কিছুর সাথে তুলনা করা যাবে না। তাই এগুলো আল্লাহর প্রতি দেওয়া যাবে না।
২। মুতাজিলারা কুরআনকে আল্লাহর অস্তিত্বের অংশ বলে মনে করে না, বরং আল্লাহর অন্যান্য সৃষ্টির মতই সংশোধনযোগ্য সৃষ্টি বলে মনে করে।
৩। প্রাচীন গ্রীকদের মত মুতাজিলারাও মানুষের স্বাধীন ইচ্ছায় বিশ্বাস করে। তারা মনে করে যে আল্লাহ মানুষের ভাগ্য পূর্বনির্ধারণ করতে পারেন না। বরং মানুষ আল্লাহর ইচ্ছার বাইরেও সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
৪। মুতাজিলারা তাদের যুক্তি প্রয়োগ করার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে আল্লাহর কোন দয়া বা অনুকম্পা হবে ন্যায়বিচারের লঙ্ঘন ও তার প্রকৃতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। মুতাজিলারা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ পরিপূর্ণ ন্যায়বিচার করতে বাধ্য।
৫। মুতাজিলারা মনে করে যে একজন মুসলিম যদি সর্বোচ্চ পাপ বা কবিরা গুনাহ করে তাওবা করা ছাড়াই মৃত্যুবরণ করে, তবে ঐ ব্যক্তিকে বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী-এই দুইয়ের কোনটির মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
৬। ‘সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ’ ধারণাকে মুতাজিলারা গ্রহণ করে। এই লক্ষ্যে শক্তিপ্রয়োগকে তারা বৈধ মনে করে, যা মিহনা নামে নতুন এক ধারণার সাথে পরিচিত করায়।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Mu'tazilah"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২০।
- ↑ "Ash'ariyya and Mu'tazila"। www.muslimphilosophy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২০।
- ↑ Kadri, Sadakat,। Heaven on Earth : a journey through Shari'a law। London। আইএসবিএন 978-0-09-952327-7। ওসিএলসি 809935849। উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: একাধিক নাম: লেখকগণের তালিকা (link)
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||
|
ইসলাম প্রসঙ্গসমূহ | |||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
| |||||||||||||||
|