কুতুব আল-আরবাহ
হাদিথ |
---|
বিষয়ের উপর ধারাবাহিকভাবে লিখিত |
|
আল্-কুতুব্ আল্ আর্বঽঅঃ (আরবি: ٱلْكُتُب ٱلْأَرْبَعَة, প্রতিবর্ণীকৃত: al-Kutub al-ʾArbaʿah) বা আল্-উষূল্ আল্-আর্বঽঅঃ (আরবি: ٱلأصُوُل ٱلْأَرْبَعَة, প্রতিবর্ণীকৃত: al-Uṣūl al-ʾArbaʿah) হল দ্বাদশী শিয়া ইসলামের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ চারটি হাদিস সংকলন:
নাম | সংগ্রাহক | হাদিস সংখ্যা |
---|---|---|
কিতাব আল-কাফী [ক] | মুহম্মদ ইবনে ইয়াকুব আল-কুলায়নী | ১৬,১৯৯ |
মান লা ইয়াহদুরুহু আল-ফকীহ | শেখ সদুক | ৯,০৪৪ |
তহজীব আল-আহকাম | শেখ তুসী | ১৩,৫৯০ |
আল-ইস্তিবসার | শেখ তুসী | ৫,৫১১ |
শিয়া মুসলমানেরা সুন্নি মুসলমানদের ছ’টি প্রসিদ্ধ হাদিস সংগ্রহ কুতুব আল-সিত্তাহ থেকে ভিন্ন হাদিস সংকলন ব্যবহার করে থাকে। শিয়া পণ্ডিতগণ অনেক সুন্নি হাদিস বর্ণনাকারীদের নির্ভরযোগ্য মনে করেন না কারণ তাদের অনেকেই আলী ও নবীপরিবারের সদস্যদের পক্ষে না থেকে আবু বকর, উমর ইবনুল খাত্তাব ও উসমান ইবন আফফানের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন এবং সুন্নি হাদিসসমূহের অধিকাংশ বর্ণনাকারী আহল আল-বাইতের বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন বা তাদের শত্রুদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। যেমন: আয়িশা উটের যুদ্ধে এবং মুয়াবিয়া সিফফিনের যুদ্ধে আলীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। মুয়াবিয়ার পুত্র ইয়াজিদ মহানবীর দৌহিত্র ও আলীর পুত্র হোসাইন ইবনে আলীকে কারবালার যুদ্ধে হত্যা করেছিলেন।[১] শিয়ারা কেবল নবীবংশীয় ইমামদের দ্বারা বর্ণিত হাদিসে আস্থা রাখে।[২]
শিয়া ধর্মীয় পণ্ডিতেরা কিতাব আল-আরবাহের ভূয়সী প্রশংসা করে থাকেন। যেমন:
- আব্দুল হোসেন শরফুদ্দীন আল-মুসাওয়ী বলেন: “আল-কাফী, আল-ইস্তিবসার, আত-তাহজীব এবং মান লা ইয়াহদুরুহু আল-ফকীহ হল মুতাওয়াতিরাহ ও সহীহ। এর মধ্যে আল-কাফী সর্বাধিক প্রাচীন, মহান, উত্তম ও নির্ভুল গ্রন্থ।” [কিতাব আল-মুরাজা‘আত (একটি শিয়া-সুন্নি কথোপকথন), মুরাজা‘আহ নং ১১০]
- আল-তাবারসী বলেন: “চার গ্রন্থের মধ্যে আল-কাফী হল তারকাদের মধ্যকার সূর্যের মতো।” [মুস্তাদরাক আল-ওয়াসাইল, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৩২]
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ উসূল আল-কাফী, ফুরূ আল-কাফী ও রওদাত আল-কাফী অংশে বিভক্ত
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Momen, Moojan, Introduction to Shi'i Islam, Yale University Press, 1985, p.28-31
- ↑ Momen, Moojan, Introduction to Shi'i Islam, Yale University Press, 1985, p.174