বারো ইমাম
| |||
---|---|---|---|
চৌদ্দ অভ্রান্ত | |||
|
|||
মূলনীতি | |||
অন্যান্য বিশ্বাস | |||
অনুশীলন | |||
পবিত্র শহর | |||
দলসমূহ | |||
|
|||
স্কলারশিপ | |||
হাদীস সংগ্রহ | |||
সম্পর্কিত বিষয় | |||
সম্পর্কিত প্রবেশদ্বার | |||
বারো ইমাম হচ্ছেন ইসলামের নবী মোহাম্মদ উনার আধ্যাত্মিক এবং রাজনৈতিক উত্তরসূরী। যারা দ্বাদশবাদি বা আতনা আশারিয়া নামে পরিচিত শিয়া মুসলিমদের কাছে আলাউয়ি এবং আলেভি শাখাসহ।[১] দ্বাদশবাদির ধর্মতত্ত্ব অনুযায়ী, বারো ইমাম হচ্ছেন স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব যারা সমাজকে শুধু ন্যায় দ্বারা পরিচালনা করেনা বরং তারা শরিয়াহ এবং কুরআনের ভাবানুবাদ ব্যাখ্যা করতে পারে। মোহাম্মদ এবং ইমামদের কথা ও ক্রিয়াকলাপ হচ্ছে সমাজের পথপ্রদর্শক এবং আদর্শ, ফলস্বরূপ, তাদের মধ্যে কোন প্রকার ক্রুটি বা পাপ থাকতে পারবে না এবং তারা নবীদ্বারা দৈবচয়নে নির্বাচিত হতে হবে।[২][৩]
ইমামদের বিশ্বাস[সম্পাদনা]
শিয়া মুসলিমদের দ্বাদশবাদিতে এটা বিশ্বাস করা হয় যে বুদ্ধি, স্বর্গীয় জ্ঞান, হচ্ছে নবীর এবং ইমামদের আত্নার উৎস এবং তারা যে বৈশিষ্টপূর্ণ জ্ঞান পায় সেটা হিকমাহ নামে পরিচিত এবং তাদের সেগুলো বহন করা হচ্ছে তাদের উপাসনার জন্য স্বর্গীয় অনুগ্রহ।[৪][৫] যদিও ইমামরা কোন স্বর্গীয় বার্তা গ্রহণ করে না, কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সাথে তাদের একটি সম্পর্ক রয়েছে, যেটির মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তা তাকে পথপ্রদর্শন করেন এবং ইমামরা সে পথ মানুষকে দেখান। ইমামরা পথপ্রদর্শিত হন লুকানো গ্রন্থ এবং তাদের উপস্থিতি সম্পর্কে যেমন আল-জাফর এবং আল-জামিয়া। ইমামদের উপর বিশ্বাস হচ্ছে দ্বাদশবাদি শিয়াদের মূল ধর্ম বিশ্বাসের একটি এবং সেটির ভিত্তি হচ্ছে যে সৃষ্টিকর্তা কখনো মানুষদের কখনো পথপ্রদর্শন ছাড়া ছেড়ে দিবেন না।[৬]
দ্বাদশবাদিদের মতে, সবসময় একজন ইমাম থাকেন সব শতাব্দীর জন্য, যে স্বর্গীয়ভাবে নির্বাচিত ব্যক্তি যে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশ্বাস এবং আইনের উপর কর্তৃত্ব রাখে। আলী ইবনে আবু তালিব ছিলেন বারো ইমামের প্রথম ইমাম এবং দ্বাদশবাদি ও সুফীদের দর্শন অনুযায়ী মোহাম্মদের যোগ্য উত্তরসূরী হচ্ছেন মোহাম্মদের বংশধররা যারা তার কন্যা ফাতেমার সাথে সম্পর্কযুক্ত। প্রত্যেক বর্তমান ইমাম তাদের ঠিক আগের ইমামের পুত্র শুধুমাত্র হোসাইন ইবনে আলী ছাড়া যিনি হাসান ইবনে আলীর ভাই ছিলেন। দ্বাদশ এবং সর্বশেষ ইমাম হচ্ছেন মোহাম্মদ আল-মাহদি, দ্বাদশবাদিরা বিশ্বাস করে যে বর্তমানে তিনি জীবিত এবং গুপ্ত আছেন যিনি ফিরবেন পৃথিবীতে ন্যায় নিয়ে আসার জন্য।[৬] দ্বাদশবাদি,শিয়া এবং আলেভী মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে বারো ইমামের কথা হাদিসের মধ্যে রয়েছে বারো উত্তরাধিকারী হিসাবে। সকল ইমামই অপ্রাকৃতিক ভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন, শুধুমাত্র শেষ ইমাম ছাড়া, দ্বাদশবাদি এবং আলেভী বিশ্বাস অনুযায়ী যিনি এখন গুপ্তভাবে আছেন।
বারো ইমামদের মধ্যে অনেকেই সুফী ক্রমের প্রধান ব্যক্তিও ছিলেন, এবং ইসলামের আধ্যাত্মিক প্রধান হিসাবে দেখা যায়। কারণ সুফী ক্রমের বেশিরভাগের পূর্বসূরী বারো ইমামের একজনের সাথে সংযুক্ত।
ইমামদের তালিকা[সম্পাদনা]
ক্রম | ইসলামি চারুলিপি | নাম কুনিয়াত |
আরবি উপাধি তুর্কি উপাধি[৭] |
জীবনকাল (খ্রি.) জীবনকাল (হিজরি)[৮] জন্মস্থান |
ইমামত গ্রহণকালে বয়স | মৃত্যুকালে বয়স | ইমামতকাল | গুরুত্ব | মৃত্যুর কারণ ও মৃত্যুস্থল সমাধি[৯] |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ![]() |
ʿআলী ʾইবনে আবী তালিব ٱلْإِمَام عَلِيّ ٱبْن أَبِي طَالِب عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবুল হ়াসান أَبُو ٱلْحَسَن |
হয়দর
|
৬০০–৬৬১[১০]
২৩ (হিজরতপূর্ব)–৪০[১২] মক্কা, হেজাজ[১০] |
৩৩ বছর | ৬১ বছর | ২৮ বছর | মুহম্মদের চাচাতো ভাই ও জামাতা। শিয়া বিশ্বাসমতে তিনি ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবার অভ্যন্তরে জন্মগ্রহণকারী একমাত্র ব্যক্তি এবং প্রথম ইসলামগ্রহণকারী পুরুষ। শিয়া মুসলমানেরা তাঁকে মুহম্মদের একমাত্র ন্যায্য স্থলাভিষিক্ত এবং প্রথম ইমাম হিসেবে বিবেচনা করেন। সুন্নি মুসলমানেরা তাঁকে চতুর্থ খলিফা হিসেবে বিবেচনা করেন। সুফিবাদের প্রায় সকল তরিকায় তাঁকে উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়; তরিকাসমূহের সদস্যগণ মুহম্মদ পর্যন্ত তাদের সিলসিলা আলীর মাধ্যমে জারি রাখেন।[১০] | রমজান মাসের শবে কদরে কুফার মহামসজিদে নামাজে সেজদারত অবস্থায় আব্দুর রহমান আল-মুলজিম নামক এক খারিজি গুপ্তঘাতকের বিষাক্ত তরবারি আঘাতে মৃত্যুবরণ করেন।[১০][১৩] শিয়া বিশ্বাসমতে তাঁকে ইরাকের নাজাফ শহরের ইমাম আলী মসজিদে দাফন করা হয়। |
২ | ![]() |
হ়াসান ʾইবনে ʿআলী ٱلْإِمَام ٱلْحَسَن ٱبْن عَلِيّ عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবু মুহ়ম্মদ أَبُو مُحَمَّد |
|
৬২৫–৬৭০[১৪]
৩–৫০[১৫] মদীনা, হেজাজ[১৪] |
৩৯ বছর | ৪৭ বছর | ৮ বছর | তিনি ছিলেন মুহম্মদের কন্যা ফাতিমার গর্ভজাত দৌহিত্রদের মধ্যে সবার বড়। হাসান কুফায় তাঁর পিতা আলীর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নিযুক্ত হন। মুয়াবিয়া ইবনে আবী সুফিয়ানের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তির ভিত্তিতে তিনি সাত মাস খলিফা হিসেবে দায়িত্বপালনের পর পদত্যাগ করেন।[১৪] | মুয়াবিয়ার চক্রান্তে স্বীয় স্ত্রী কর্তৃক বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়।[১৬] মদীনার জান্নাতুল বাকিতে তাঁকে দাফন করা হয়। |
৩ | ![]() |
হ়োসেন ʾইবনে ʿআলী ٱلْإِمَام ٱلْحُسَيْن ٱبْن عَلِيّ عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবু ʿআব্দুল্লাহ أَبُو عَبْد ٱللَّٰه |
|
৬২৬–৬৮০[১৭]
৪–৬১[১৮] মদীনা, হেজাজ[১৭] |
৪৬ বছর | ৫৭ বছর | ১১ বছর | তিনি ছিলেন মুহম্মদের দৌহিত্র, আলীর পুত্র এবং হাসানের ভাই। হোসেন উমাইয়া শাসক ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার দুঃশাসনের বিরোধিতা করেন। ফলস্রুতিতে তিনি, তাঁর পরিবার ও সহচারীগণ কারবালার যুদ্ধে ইয়াজিদের সৈন্যবাহিনী কর্তৃক নির্মমভাবে নিহত হন। এই ঘটনার পর থেকে হোসেনের শাহাদতের স্মৃতিচারণ শিয়া আত্মপরিচয়ের একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে ওঠে।[১৭] | কারবালার যুদ্ধে শিরশ্ছেদ করে হত্যা করা হয়। ইরাকের কারবালার ইমাম হোসেনের মাজারে দাফন করা হয়।[১৭] |
৪ | ![]() |
ʿআলী ʾইবনে হ়োসেন ٱلْإِمَام عَلِيّ ٱبْن ٱلْحُسَيْن ٱلسَّجَّاد عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবু মুহ়ম্মদ أَبُو مُحَمَّد |
|
৬৫৮/৬৫৯[১৯] – ৭১২[২০]
৩৮[১৯]–৯৫[২০] মদীনা, হেজাজ[১৯] |
২৩ বছর | ৫৭ বছর | ৩৪ বছর | সহিফা আস-সজ্জাদিয়ার রচয়িতা, যা আহল আল-বাইতের স্তোত্র হিসেবে পরিচিত।[২০] দুর্বলতাজনিত অসুস্থতার কারণে কারবালার যুদ্ধে অংশগ্রহণ না করায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। | উমাইয়া খলিফা প্রথম আল-ওয়াহিদের নির্দেশে তাঁকে বিষপ্রয়োগে হত্যা করা হয়।[২০] মদীনার জান্নাতুল বাকিতে তাঁকে দাফন করা হয়। |
৫ | ![]() |
মুহ়ম্মদ ʾইবনে ʿআলী ٱلْإِمَام مُحَمَّد ٱبْن عَلِيّ ٱلْبَاقِر عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবু জাʿফর أَبُو جَعْفَر |
|
৬৭৭–৭৩২[২১]
৫৭–১১৪[২১] মদীনা, হেজাজ[২১] |
৩৮ বছর | ৫৭ বছর | ১৯ বছর | সুন্নি ও শিয়া উভয় সূত্রমতে তিনি অন্যতম প্রাচীন ও বিশিষ্ট ফিকহশাস্ত্রবিদ ছিলেন যিনি তাঁর জীবদ্দশায় অসংখ্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করেন।[২১][২২] | উমাইয়া খলিফা হিশাম ইবনে আবদুল মালিকের নির্দেশে ইব্রাহীম ইবনে ওয়ালিদ ইবনে আব্দুল্লাহ কর্তৃক বিষপ্রয়োগে মদীনায় তাঁকে হত্যা করা হয়।[২০] মদীনার জান্নাতুল বাকিতে তাঁকে দাফন করা হয়। |
৬ | ![]() |
জাʿফর ʾইবনে মুহ়ম্মদ ٱلْإِمَام جَعْفَر ٱبْن مُحَمَّد ٱلصَّادِق عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবু ʿআব্দুল্লাহ[২৩] أَبُو عَبْد ٱللَّٰه |
|
৭০২–৭৬৫[২৪]
৮৩–১৪৮[২৪] মদীনা, হেজাজ[২৪] |
৩১ বছর | ৬৫ বছর | ৩৪ বছর | শিয়া বিশ্বাসমতে তিনি জাফরি ফিকহ এবং দ্বাদশী ধর্মতত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অসংখ্য পণ্ডিতদের শিক্ষাদান করেছিলেন। তাঁর ছাত্রদের মধ্যে ফিকহশাস্ত্রে আবু হানিফা ও মালিক ইবনে আনাস, কালামশাস্ত্রে ওয়াসিল ইবনে আতা ও হিশাম ইবনে হাকাম, এবং বিজ্ঞান ও আলকেমিতে জাবির ইবনে হাইয়ান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।[২৪] | উমাইয়া খলিফা আল-মনসুরের নির্দেশে মদীনায় বিষপ্রয়োগ করে তাঁকে হত্যা করা হয়।[২৪] তাঁকে মদীনার জান্নাতুল বাকিতে দাফন করা হয়। |
৭ | ![]() |
মুসা ʾইবনে জাʿফর ٱلْإِمَام مُوسَىٰ ٱبْن جَعْفَر ٱلْكَاظِم عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবুল হ়াসান أَبُو ٱلْحَسَن ٱلْأَوَّل[২৫] |
|
৭৪৪–৭৯৯[২৬]
১২৮–১৮৩[২৬] আল-আবওয়াʿ, হেজাজ[২৬] |
২০ বছর | ৫৫ বছর | ৩৫ বছর | তিনি জাফর আস-সাদিকের মৃত্যুর পর ইসমাইলি ও ওয়াকিফি বিচ্ছেদকালীন শিয়া সম্প্রদায়ের নেতা ছিলেন।[২৭] তিনি মধ্যপ্রাচ্য ও বৃহত্তর খোরাসানের শিয়া সম্প্রদায়ের কাছ থেকে খুমুস সংগ্রহের উদ্দেশ্যে প্রতিনিধিদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন। তিনি মাহদাওয়ী তরিকায় উচ্চ সম্মানে ভূষিত যারা তাঁর মাধ্যমে মুহম্মদ অবধি সিলসিলা চিহ্নিত করে থাকে।[২৮] | আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের নির্দেশে বাগদাদে তাঁকে কারাবন্দী করা হয় এবং বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করা হয়। ইরাকের বাগদাদ শহরের আল কাজিমিয়া মসজিদের তাঁকে দাফন করা হয়।[২৬] |
৮ | ʿআলী ʾইবনে মুসা ٱلْإِمَام عَلِيّ ٱبْن مُوسَىٰ ٱلرِّضَا عَلَيْهِ ٱلسَّلَام দ্বিতীয় আবুল হ়াসান أَبُو ٱلْحَسَن ٱلثَّانِي[২৫] |
|
৭৬৫–৮১৭[২৯]
১৪৮–২০৩[২৯] মদীনা, হেজাজ[২৯] |
৩৫ বছর | ৫৫ বছর | ২০ বছর | আব্বাসীয় খলিফা আল-মামুন তাঁকে যুবরাজ ঘোষণা করেন। তিনি মুসলিম ও অমুসলিম ধর্মীয় পণ্ডিতদের সাথে তাঁর আলোচনার জন্য বিখ্যাত।[২৯] | শিয়া সূত্রমতে আল-মামুনের নির্দেশে পারস্যের মাশহাদে তাঁকে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করা হয়৷ তাঁকে ইরানের মাশহাদের ইমাম রেজার মাজারে দাফন করা হয়।[২৯] | |
৯ | ![]() |
মুহ়ম্মদ ʾইবনে ʿআলী ٱلْإِمَام مُحَمَّد ٱبْن عَلِيّ ٱلْجَوَّاد عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবু জাʿফর أَبُو جَعْفَر |
|
৮১০–৮৩৫[৩০]
১৯৫–২২০[৩০] মদীনা, হেজাজ[৩০] |
৮ বছর | ২৫ বছর | ১৭ বছর | আব্বাসীয় খলিফাদের নিপীড়নের মুখেও তাঁর উদারতা ও ধার্মিকতার জন্য বিশেষভাবে খ্যাত। | খলিফা আল-মুতাসিমের নির্দেশে আল-মামুনের কন্যা ও স্বীয় স্ত্রী কর্তৃক বিষপ্রয়োগ করে তাঁকে হত্যা করা হয়। তাঁকে ইরাকের বাগদাদস্থ আল কাজিমিয়া মসজিদে দাফন করা হয়।[৩০] |
১০ | ![]() |
ʿআলী ʾইবনে মুহ়ম্মদ ٱلْإِمَام عَلِيّ ٱبْن مُحَمَّد ٱلْهَادِي عَلَيْهِ ٱلسَّلَام তৃতীয় আবুল হ়াসান أَبُو ٱلْحَسَن ٱلثَّالِث[৩১] |
|
৮২৭–৮৬৮[৩১]
২১২–২৫৪[৩১] মদীনার নিকটস্থ সুরাইয়া গ্রাম, হেজাজ[৩১] |
৮ বছর | ৪২ বছর | ৩৪ বছর | তিনি শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রতিনিধিদের নেটওয়ার্ককে জোরদার করেন। তিনি তাঁদের নির্দেশনা প্রদান করেন এবং বিনিময়ে বিশ্বাসীদের কাছ থেকে খুমুস জাতীয় আর্থিক দান ও ধর্মীয় প্রতিশ্রুতি লাভ করেন।[৩১] | খলিফা আল-মুতাজের নির্দেশে ইরাকের সামাররায় তাঁকে বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করা হয়।[৩২] তাঁকে ইরাকের সামাররার আল-আসকারী মসজিদে দাফন করা হয়। |
১১ | ![]() |
হ়াসান ʾইবনে ʿআলী ٱلْإِمَام ٱلْحَسَن ٱبْن عَلِيّ ٱلْعَسْكَرِيّ عَلَيْهِ ٱلسَّلَام আবুল মাহদী أَبُو ٱلْمَهْدِيّ |
|
৮৪৬–৮৭৪[৩৩]
২৩২–২৬০[৩৩] মদীনা, হেজাজ[৩৩] |
২২ বছর | ২৮ বছর | ৬ বছর | তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়ই খলিফা আল-মুতামিদের নজরদারিতে গৃহবন্দী অবস্থায় কাটে। এই সময় শিয়া মুসলমানেরা সংখ্যায় ও শক্তিতে বৃদ্ধি পাওয়াতে তাদের ওপর নিপীড়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়।[৩৪] | ইরাকের সামাররায় খলিফা আল-মুতামিদের নির্দেশে বিষপ্রয়োগ করে তাঁকে হত্যা করা হয়।[৩৫] তাঁকে ইরাকের সামাররার আল-আসকারী মসজিদে দাফন করা হয়। |
১২ | ![]() |
মুহ়ম্মদ ʾইবনে হ়াসান مُحَمَّد ٱبْن ٱلْحَسَن আবুল ক়াসিম أَبُو ٱلْقَاسِم |
|
৮৬৯–বর্তমান[৩৯]
২৫৫–বর্তমান[৩৯] সামাররা, ইরাক[৩৯] |
৫ বছর | অজানা | বর্তমান | দ্বাদশী শিয়া তত্ত্ব অনুসারে তিনি হলেন বর্তমান ইমাম এবং প্রতীক্ষিত মাহদী, একজন মশীহীয় ব্যক্তিত্ব যিনি নবী ঈসার (যীশু) সঙ্গে শেষ জমানায় আবির্ভূত হবেন। তিনি ইসলামের ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন এবং সমগ্র পৃথিবীতে ন্যায়বিচার ও শান্তি কায়েম করেন।[৪০] | দ্বাদশী শিয়া তত্ত্বমতে তিনি ৮৭৪ সাল থেকে গায়বত বা সমাবরণে চলে গিয়েছেন এবং আল্লাহর নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এ অবস্থাতেই থাকবেন।[৩৯] |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Olsson, Ozdalga এবং Raudvere 2005, পৃ. 65
- ↑ Tabataba'i 1977, পৃ. 10
- ↑ Momen 1985, পৃ. 174
- ↑ Tabataba'i 1977, পৃ. 15
- ↑ Corbin 2014, পৃ. 45–51
- ↑ ক খ Gleave, Robert। "Imamate"। Encyclopaedia of Islam and the Muslim world; vol.1। MacMillan। আইএসবিএন 0-02-865604-0।
- ↑ The Imam's Arabic titles are used by the majority of Twelver Shia who use Arabic as a liturgical language, including the Usooli, Akhbari, Shaykhi, and to a lesser extent Alawi. Turkish titles are generally used by Alevi, a fringe Twelver group, who make up around 10% of the world Shia population. The titles for each Imam literally translate as "First Ali", "Second Ali", and so forth. Encyclopedia of the Modern Middle East and North Africa। Gale Group। ২০০৪। আইএসবিএন 978-0-02-865769-1।
- ↑ The abbreviation CE refers to the Common Era solar calendar, while AH refers to the Islamic Hijri lunar calendar.
- ↑ Except Twelfth Imam
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Nasr, Seyyed Hossein। "Ali"। Encyclopædia Britannica Online। ২০০৭-১০-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১২।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ ট ঠ Encyclopedia of the Modern Middle East and North Africa। Gale Group। ২০০৪। আইএসবিএন 978-0-02-865769-1।
- ↑ Tabatabae (1979), pp.190–192
- ↑ Tabatabae (1979), p.192
- ↑ ক খ গ Madelung, Wilferd। "ḤASAN B. ʿALI B. ABI ṬĀLEB"। Encyclopaedia Iranica। ২০১৪-০১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-০৬।
- ↑ Tabatabae (1979), pp.194–195
- ↑ Tabatabae (1979), p.195
- ↑ ক খ গ ঘ Madelung, Wilferd। "ḤOSAYN B. ʿALI"। Encyclopaedia Iranica। ২০১১-০৪-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৩-২৩।
- ↑ Tabatabae (1979), pp.196–199
- ↑ ক খ গ ঘ Madelung, Wilferd। "ʿALĪ B. ḤOSAYN B. ʿALĪ B. ABĪ ṬĀLEB, ZAYN-AL-ʿĀBEDĪN"। Encyclopaedia Iranica। ২০১৭-০৮-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Tabatabae (1979), p.202
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Madelung, Wilferd। "BĀQER, ABŪ JAʿFAR MOḤAMMAD"। Encyclopaedia Iranica। ২০১১-০৪-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৮।
- ↑ Tabatabae (1979), p.203
- ↑ "JAʿFAR AL-ṢĀDEQ, ABU ʿABD-ALLĀH"। Encyclopaedia Iranica। ২০১৮-১০-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-০৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Tabatabae (1979), p.203–204
- ↑ ক খ Madelung, Wilferd। "ʿALĪ AL-REŻĀ"। Encyclopaedia Iranica। ২০১২-০৯-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Tabatabae (1979), p.205
- ↑ Tabatabae (1979) p. 78
- ↑ Sachedina 1988, পৃ. 53–54
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Tabatabae (1979), pp.205–207
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Tabatabae (1979), p. 207
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Madelung, Wilferd। "ʿALĪ AL-HĀDĪ"। Encyclopaedia Iranica। ২০১৫-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৮।
- ↑ Tabatabae (1979), pp.208–209
- ↑ ক খ গ ঘ Halm, H। "ʿASKARĪ"। Encyclopaedia Iranica। ২০১১-০৪-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৮।
- ↑ Tabatabae (1979) pp. 209–210
- ↑ Tabatabae (1979), pp.209–210
- ↑ "THE CONCEPT OF MAHDI IN TWELVER SHIʿISM"। Encyclopaedia Iranica। ২০১১-০৪-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-০৭।
- ↑ "ḠAYBA"। Encyclopaedia Iranica। ২০১৪-০৮-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৭-০৭।
- ↑ "Muhammad al-Mahdi al-Hujjah"। Encyclopædia Britannica Online। ২০০৭-১০-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১১-০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ Tabatabae (1979), pp.210–211
- ↑ Tabatabae (1979), pp. 211–214