বিষয়বস্তুতে চলুন

রংপুর এক্সপ্রেস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রংপুর এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পরিষেবা ধরনআন্তঃনগর ট্রেন
অবস্থাসচল
প্রথম পরিষেবা২১ আগস্ট ২০১১; ১৩ বছর আগে (2011-08-21)
বর্তমান পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ে
যাত্রাপথ
শুরুঢাকা রেলওয়ে স্টেশন
বিরতি১৩টি
শেষরংপুর রেলওয়ে স্টেশন
ভ্রমণ দূরত্ব৪৪৭ কিলোমিটার (২৭৮ মাইল)
যাত্রার গড় সময়৯ ঘণ্টা ৫০ মিনিট (৭৭১)
১০ ঘণ্টা (৭৭২)
পরিষেবার হারসপ্তাহে ৬ দিন, বন্ধের দিনগুলো হচ্ছে-
  • রবিবার (৭৭২)
  • সোমবার (৭৭১)
রেল নং৭৭১/৭৭২
ব্যবহৃত লাইনমিটারগেজ
যাত্রাপথের সেবা
শ্রেণীশোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা চেয়ার, তাপানুকূল কেবিন ও স্লিপার
আসন বিন্যাসআছে
ঘুমানোর ব্যবস্থাআছে
খাদ্য সুবিধাআছে
মালপত্রের সুবিধাআছে (লাগেজ ভ্যান)
কারিগরি
গাড়িসম্ভারমিটারগেজ লাল-সবুজ পিটি ইনকা রেক
ট্র্যাক গেজমিটারগেজ ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট   ইঞ্চি)
পরিচালন গতি৮৫ কিলোমিটার/ঘণ্টা (সর্বোচ্চ)
ট্র্যাকের মালিকবাংলাদেশ রেলওয়ে
রক্ষণাবেক্ষণলালমনিরহাট
পথের মানচিত্র
ঢাকা ⇌ যমুনা রেলসেতু ⇌ ঈশ্বরদী বাইপাস ⇌ সান্তাহার ⇌ বগুড়া ⇌ কাউনিয়া ⇌ রংপুর

রংপুর এক্সপ্রেস (ট্রেন নং-৭৭১/৭৭২) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকা জেলার ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রংপুর জেলার রংপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। সড়ক পথের তুলনায় রংপুর এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ ঘন্টা বেশি সময় লাগে রংপুর পৌঁছাতে। যাত্রাপথে ট্রেনটি ঢাকা, টাঙ্গাইল, পাবনা, নাটোর, বগুড়া, গাইবান্ধারংপুর জেলাকে সংযুক্ত করেছে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা ও রংপুর জেলার মধ্যে চলাচলকারী প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন। দীর্ঘ ৭ বছর রংপুরবাসীর আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ২০১১ সালের ২০ই মার্চ তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন রংপুর সফরকালে ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে একটি নতুন ট্রেন চালু প্রতিশ্রুতি দেন। সেই ঘোষণা মোতাবেক একই বছরের ২১শে আগস্ট রংপুর এক্সপ্রেস চালু হয়।[]

সময়সূচী

[সম্পাদনা]

২০২০ সাল অব্দি, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭৭১ হিসেবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে সন্ধ্যা ৭টায় রংপুর রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছে। আবার, ফিরতি পথে ট্রেন নং ৭৭২ হিসেবে রংপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ভোর ৬টা ১০ মিনিটে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে।[] রবিবার এর সাপ্তাহিক ছুটি।

যাত্রাবিরতি

[সম্পাদনা]

৭৭১/৭৭২ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাপথে যেসব স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে তা হচ্ছে-

  1. কাউনিয়া
  2. পীরগাছা
  3. বামনডাঙ্গা
  4. গাইবান্ধা
  5. বোনারপাড়া
  6. সোনাতলা
  7. বগুড়া
  8. তালোড়া
  9. সান্তাহার জংশন
  10. নাটোর
  11. চাটমোহর
  12. ইব্রাহিমাবাদ
  13. ঢাকা বিমানবন্দর

রোলিং স্টক

[সম্পাদনা]

এই ট্রেনে সাধারণত ২৬০০ বা ২৯০০ বা ৩০০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়। ট্রেনটি প্রথমে সবুজ-হলুদ রঙের পুরনো ভ্যাকুয়াম ব্রেকের কোচের রেকে চলাচল করতো। ট্রেনটির লোড ছিলো ১১/২২, তবে পরবর্তীতে তাপানুকুল স্লিপারসহ দুটি কোচ বাদ দেওয়া হয়।[] পরে ২০১৭ সালের ২০ই ফেব্রুয়ারিতে এই রেক পাল্টিয়ে সাদা রঙের চীনা এয়ার ব্রেক কোচের রেক দেওয়া হয়। লোডও বাড়িয়ে ১৪/২৮ করা হয়।[] সবশেষে, ২০১৯ সালের ১৬ই অক্টোবর এই রেক পাল্টিয়ে লাল-সবুজ রঙের ইন্দোনেশীয় এয়ার ব্রেক কোচের রেক দেওয়া হয়।[] বর্তমানে ট্রেনটি ১৪/২৮ লোডে চলাচল করছে। উল্লেখ্য যে, ট্রেনটি ১ রেকে চলাচল করে, এবং কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে ১টি ও বুড়িমারী এক্সপ্রেসের লালমনি এক্সপ্রেসের ১টি রেকের সাথে মিলে এই ৪টি রেক এই ৪টি ট্রেন শেয়ার করে চলে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "'রংপুর এক্সপ্রেস' চালু হচ্ছে আজ"prothom-alo.com। প্রথম আলো। ২১ আগস্ট ২০১১। ২০১৯-১২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. "নতুন স্টপেজ চালু হলো রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের"Barta24। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৬ 
  3. "সাদা হচ্ছে মহানগর ও রংপুর এক্সপ্রেস"দৈনিক ইনকিলাব। ২০১৭-০২-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৬ 
  4. "রেলকে লাভজনক করতে বললেন প্রধানমন্ত্রী"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]